পোস্টগুলি

কলিযুগের বৈশিষ্ট্যসমূহ এবং কলিযুগের পতন -

ছবি
কলিযুগের বৈশিষ্ট্যসমূহ: কলিযুগের পতন - ☯ এই যুগে মানুষ মেশিনের সাহায্যে নতুন নিত্য আবিষ্কার করবে।নতুন ইতিহাস তৈরি করবে,অনেক অসম্ভবকে সম্ভব করবে। অমরত্বের সন্ধানে মানুষ অমরত্বের কাছাকাছি পৌঁছাবো। মানুষ  মেশিনের সাহায্যে গ্রহ  এবং মহাকাশে গ্যালাক্সির মধ্যে   ভ্রমণ করবে,অনেক অজানাকে জানবে। মানুষ এবং মেশিন খুব বেশি শক্তিশালী হবে। কলি যুগে  চতুরাশ্রম প্রথা টি সম্পূর্ণ ভাবে নষ্ট হয়ে যাবে ,যার ফলে নানা প্রকার সামাজিক ব্যাধি দেখা যাবে।  কলিযুগের মানব সম্পর্কে  ঋষি মার্কণ্ডেয়র  বক্তব্য :- ☯কলিযুগের মানুষের প্রধান গুন হবে - লোভ এবং ক্রোধ । ☯কলিযুগে মানুষ খোলাখুলিভাবে একে অপরকে ঘৃণা প্রদর্শন করবে। ধর্মের জ্ঞানহীনতা(অজ্ঞতা) ঘটবে। ☯কলিযুগে মানুষ মানুষকে সামান্য ঝগড়া,বকাবকি ও বিবাদের জন্যে খুন করবে এবং এর জন্য অপরাধবোধ হবে না। ☯কলিযুগে লালসা সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য হিসাবে বিবেচিত হবে এবং যৌন সংসর্গকে জীবনের কেন্দ্রীয় প্রয়োজন হিসাবে দেখা হবে। ☯কলিযুগে পাপ দ্রুত বৃদ্ধি হবে । মানুষ মাদকদ্রব্য ও ওষুধের আসক্ত হয়ে উঠবে। ☯ ব্রাহ্মণরা  জ্ঞানবান্,বিচক্ষণ,হতে পারবেন না ,তারা সম্মান,শ্রদ্ধা হারাবেন, ক্ষত্র

মানুষ স্বপ্ন কেন দেখে? স্বপ্ন কি সত্যি হয়? স্বপ্ন নিয়ে প্রশ্ন ও তার উত্তর।

ছবি
 স্বপ্ন হল কতগুলো ধারাবাহিক ছবি ও আবেগের সমষ্টি যা ঘুমের সময় মানুষের মনের মধ্যে আসে। এগুলো কল্পনাও হতে পারে, অবচেতন মনের কথা ও হতে পারে, বা অন্য কিছুও হতে পারে। গ্রিক এবং রোমান যুগে মানুষ বিশ্বাস করতেন যে স্বপ্নগুলি এক বা একাধিক দেবতার কাছ থেকে আসা প্রত্যক্ষ বার্তা অথবা মৃত ব্যক্তিদের কাছ থেকে আসা বার্তা । মেসোপটেমিয়ার লোকদের বিশ্বাস ছিল যে আত্মা বা তার কিছু অংশ ঘুমন্ত ব্যক্তির শরীর থেকে বেরিয়ে আসে যা প্রকৃতপক্ষে ঐসব স্থান এবং ব্যক্তিদের মধ্যে ঘুরে বেড়ায় যা স্বপ্নদর্শীরা তাদের ঘুমের মধ্যে দেখে । ব্যাবিলনীয়রা এবং আসিরিয়ানরা স্বপ্নকে দুই ভাগে বিভক্ত করেছিলেন "ভাল স্বপ্ন" যা দেবতাদের দ্বারা প্রেরিত  এবং "মন্দ স্বপ্ন" যা ভূতদের দ্বারা পাঠানো । প্রাচীন মিশরীয়রা বিশ্বাস করতেন যে স্বপ্ন দেবতাদের কাছ থেকে বার্তা নিয়ে আসা শব্দগুচ্ছ । তারা মনে করতেন যে ঐশ্বরিক সান্নিধ্য লাভের সর্বোত্তম উপায় হল  স্বপ্ন দেখা । তাই মিশরীয়রা দেবতাদের কাছ থেকে পরামর্শ, সান্ত্বনা, বা নিরাময় পাওয়ার আশায় বিশেষ ধরনের "স্বপ্নের বিছানা"তৈরি করতেন এবং তার উপর ঘুমাতেন ।   ভারতীয় উপ

মানুষ চেনার সহজ উপায়।

ছবি
মানুষ চিনুন :- আপনার কাছের মানুষ ও  আপনার ক্ষতি পারেন।  ☯ মানুষ চেনার সহজ উপায়। যথা চতুর্ভিঃ কনকং পরীক্ষতে, নিঘর্ষণচ্ছেদন তাপ তাড়নৈঃ । তথা চতুর্ভিঃ পুরুষঃ পরীক্ষতে,ত্যাগেন শীলেন গুণেন কৰ্ম্মন :॥ এর বাংলা অর্থ :- সোনাকে যেমন ঘষা, কাটা, উত্তপ্ত করা  ও প্রহার দ্বারা পরীক্ষা করে চেনা যায়। তেমনি একজন মানুষকে তাঁর ত্যাগ,শীলতা ( শিষ্টাচার), গুণ  ও কর্ম দ্বারা চেনা যায়।  অত্যন্ত  সহজে এবং এক  কথায়  যদি আমরা জানতে চাই ভালো  মানুষ এবং খারাপ মানুষ চেনার উপায় কি ? তাহলে আমাদের মনে আসে  আমাদের সমাজে বহু দিন ধরে  প্রচলিত জ্ঞানী, গুণী জনের একটি স্বীকৃত উপদেশ /পরামর্শ। এই উপদেশ অনুসারে ;- ১ . আইডিয়াল  মানুষ তারাই যারা  ভালো ভালো আইডিয়া নিয়ে কথা বলতে  পছন্দ করেন।  ২ .ভালো মানুষ তারাই যারা  ভালো ভালো টপিক /বিষয়বস্তু   নিয়ে কথা বলতে পছন্দ করেন।  ৩ .খারাপ মানুষ তারাই যারা প্রায় সবসময় অন্য মানুষদের  নিন্দা, কুৎসা করতে পছন্দ করেন। এছাড়া আজকালকার  জ্ঞানী, গুণী জনের  উপদেশ/পরামর্শ অনুসারে,মানুষ কে যদি সহজেই  চিনতে চান তাহলে অবশ্যই সেই মানুষের নিচে যে বা যারা কাজ করেন তাদের সাথে তার আচার ,ব্যবহার নিরপেক্ষ ভাব

ভগবান/ ঈশ্বর কি সত্যিই আছেন? ঈশ্বর প্রাপ্তির উপায় কি? ঈশ্বর/ভগবান যদি আছেন তাহলে তার কোন প্রমাণ/যুক্তি আছে কি?

ছবি
অনেকের মনে জিজ্ঞাসা, জানিবার ইচ্ছা, প্রশ্ন, ও  কৌতূহল- ঈশ্বর কি সত্যিই আছেন? ঈশ্বর যদি আছেন তার কোন প্রমাণ/যুক্তি আছে কি? ঈশ্বর যে আছেন  তার সবচেয়ে জনপ্রিয় যুক্তিগুলি হলো নিম্ন রূপ।  ১. সত্তাতাত্ত্বিক যুক্তি :-সত্তাতাত্ত্বিক যুক্তিতে ঈশ্বর সম্পর্কিত ধারণা দিয়েই ঈশ্বরের অস্তিত্ব প্রমাণ করা।  এতে ঈশ্বর সম্বন্ধে যে সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, তাতে  বলা হয়েছে -‘তিনি এমন এক সত্ত্বা,তাঁর চেয়ে মহত্তর আর কিছু ভাবা যায় না ,তিনি মহান  ঐশ্বর্য,মহান বীর্য,মহা যশ,মহা শ্রী,মহা জ্ঞান,মহা বৈরাগ্য এর অধিকারী । যদি ঈশ্বরের অস্তিত্ব না থাকে, তাহলে ঈশ্বর সম্পর্কে এই রকম বড় কোন ধারণা করা যেত না । ২ . দ্বিতীয় যুক্তি হচ্ছে প্লানিং এন্ড আর্কিটেকচার থিওরি । (কেউ কিছু উপলব্ধি করুক বা না করুক,তা এখনও বিদ্যমান)।  এই  তত্ব অনুসারে ,যেহেতু এই বিশ্ব ব্রহ্মান্ড  আশ্চর্যজনক ভাবে পরিকল্পনা মাফিক  সাজানো এবং এতে বিদ্যমান গ্রহ ,গ্রহানুপুঞ্জ,নক্ষত্র ইত্যাদির পরিভ্ৰমণ গণিতের নিয়মে বাঁধা,সেহেতু এর /এগুলিকে সৃষ্টি করার জন্য একজন মহান গণিতজ্ঞ ও  পরিকল্পনাকারী অবশ্যই আছেন এবং সেই মহান গণিতজ্ঞ ও  পরিকল্পনাকারী অবশ্যই কোন মহান সত্বা এ

আকাশ মহান্তী- একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সফটওয়্যার ডেভেলপার, ইনভেন্টর এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সি এবং মেশিন লার্নিং এর ছাত্র ।

ছবি
Akash Mahanty-JSTSE-Scholar 2016-2017 আকাশ মহান্তী -দিল্লির গুরু গোবিন্দ সিং ইন্দ্রপ্রস্থ বিশ্ব বিদ্যালয়ের, ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ অটোমেশন অ্যান্ড রোবোটিক্স ,এর আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড মেশিন লার্নিং (এআই এবং এমএল) এর দ্বিতীয় বর্ষের একজন প্রতিভাবান ছাত্র ছিল এবং ২০২১ এ ইউনিভার্সিটির  Mystery of  Code Explorer এ দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছিল। ২০১৬-১৭ তে আকাশ দিল্লি সরকারের জুনিয়র সায়েন্স টেলেন্ট সার্চ পরীক্ষায় (JSTSE) দিল্লির মধ্যে ৩২ তম স্থান অধিকার করেছিল। মাত্র 21 বছর বয়সে  হেপাটাইটিস A এর কারণে আকাশের হঠাৎ করে  লিভার ফেল হয়ে যায় এবং 11 মে, 2023-এ  দিল্লির সাকেতের ম্যাক্স সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে  মৃত্যু হয় । আকাশের   কম্পিউটার সায়েন্স এবং সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রতি খুব বেশি উৎসাহ ও আগ্রহ ছিল । ১৮ বছর বয়স থেকেই ওপেন সোর্স কমিউনিটি তে যোগ দিয়ে ,মাত্র ২১ বছর বয়সেই আকাশ অনেক কিছু তৈরি করে গেছে। যে গুলির নাম হলো :- Waybackpy , Videohash , Redis Stream based video stream API, dHashPy, Youtube Playlist Length Analyzer Video Fingerprint, image dominant color