শ্রী শ্রী মা কালী এবং তাঁর বিভিন্ন রূপের বর্ণনা ও তাঁর ধ্যানমন্ত্র।



महामाया-स्तोत्रम्

ध्यानम्
कालीं कृपामयीं देवीं, नीलोत्पलनिभां प्रभाम्।
त्रिनेत्रां मुण्डमालां च, ध्यायामि जगदम्बिकाम्॥

स्तोत्रम्

१.
ब्रह्मशक्तिरूपा ब्रह्माणी, महेश्वरीति या स्मृता।
निर्मलाकुमारिरूपा, महावज्रैन्द्री तथा॥

२.
उग्रा शिवदूती नीला, मुण्डमालाविभूषिता।
तमोमयी सा नियतिः, चण्डिका चान्यथा स्मृता॥

३.
अम्बिका वैष्णवी चापि, महागौरी च कौशिकी।
कात्यायनी च कमला, भुवनेश्वरी ललिता॥

४.
दशमहाविद्यारूपा, काल्याख्या या प्रसिद्धिता।
नमामि तां महादेवीं, सर्वरूपां जगद्गुरुम्॥

५.
साैवैकैव सन्त्येव, तथापि नान्यरूपिणी।
अनन्तशक्तिसम्पन्ना, मायाशक्तिरनामया॥

६.
भक्तस्य हृदये नित्यं, नार्याः चाङ्के विराजते।
ब्रह्मणो वाणीस्वरूपा, देवशक्तिर्निरूपिता॥

७.
भयत्रासहरां देवीं, भक्तानुग्रहकारिणीम्।
जपमाला धरां नित्यं, त्राहि मां चण्डिकेश्वरीम्॥

८.
दुर्गां दुर्गतिनाशाय, कालिकां कालविग्रहम्।
तारिणीं तारकत्राणां, त्राहि मां तारिणी शुभे॥

९.
नीलसरस्वतीं वन्दे, मातङ्गीं रूपधारिणीम्।
धूमावतीं च बगला, मातरं मातृमण्डले॥

१०.
भुवनेशि जगन्माते, महालक्ष्मि नमोऽस्तु ते।
कृपया पाहि मां नित्यं, मायामोहनिवारिणि॥

फलश्रुतिः
महामाया-स्तोत्रं यः पठेन्नित्यं समाहितः।
स चाप्नोति परं ज्ञानं, सिद्धिं भक्तिं च शाश्वतीम्॥

  
মা কালী মহামায়া সনাতনী,শক্তিরূপা,গুণময়ী। তিনি এক,তবু প্রকাশ বিভিন্ন, তিনিই দেবী নারায়ণী,আবার ব্রহ্মশক্তিরূপা ব্রহ্মাণী,কখনো মহেশ্বেরী রূপে প্রকাশমানা,কখনো বা নির্মলা কুমারী রূপধারিণী,কখনো মহাবজ্ররূপিণী ঐন্দ্রী,উগ্রা শিবদূতী,নি মুণ্ডমালিনী  তিনিই আবার তমোময়ী নিয়তি। তিনিই কখনো বা চণ্ডিকা,কখনো বা অম্বিকা,কখনো বা বৈষ্ণবী,কখনো বা মহাগৌরী ,কখনো বা কৌষিকী,কখনো বা কাত্যায়নী ,কখনো বা কমলাত্মিকা,কখনো বা ভুবনেশ্বরী ও কখনো বা ললিতা কখনো বা দশমহাবিদ্যা,কখনো বা কালী নামে খ্যাতা। 

দেবী কালীর বিভিন্ন রূপের বর্ণনা 

গুণ ও কর্ম অনুসারে মা কালীর  রূপগুলি হল: দক্ষিণাকালী, ভদ্রকালী, সিদ্ধকালী, গুহ্যকালী, শ্মশানকালী, মহাকালী, রক্ষাকালী ইত্যাদি। এছাড়া দেবী কালী কে "ব্রহ্মময়ী", "ভবতারিণী", "আনন্দময়ী", "করুণাময়ী" ইত্যাদি নামে  পূজা করা হয়। 
এই সব রূপের মধ্যে দক্ষিণাকালীর বিগ্রহই সর্বাধিক পরিচিত ও পূজিত। দক্ষিণাকালী চতুর্ভূজা। তাঁর চার হাতে খড়্গ, অসুরের ছিন্ন মুণ্ড, বর ও অভয়মুদ্রা রয়েছে। তাঁর গলায় রয়েছে নরমুণ্ডের মালা। দেবীর গায়ের রং কালো। মাথায় আলুলায়িত চুল এবং তিনি শিবের বুকে ডান পা আগে রেখে দণ্ডায়মান।

দক্ষিণাকালী

দক্ষিণদিকের অধিপতি যম যে কালীর ভয়ে পলায়ন করেন, তাঁর নাম দক্ষিণাকালী।
 সিদ্ধকালী কালী।

 গুণ ও কর্ম অনুসারে কালীর আরেক রূপ সিদ্ধকালীগৃহস্থের বাড়িতে সিদ্ধকালীর পূজা হয় না; তিনি মূলত সিদ্ধ সাধকদের ধ্যান আরাধ্যা। কালীতন্ত্র-এ তাঁকে দ্বিভূজা রূপে কল্পনা করা হয়েছে। অন্যত্র তিনি ব্রহ্মরূপা ভুবনেশ্বরী। তাঁর মূর্তিটি নিম্নরূপ: দক্ষিণহস্তে ধৃত খড়্গের আঘাতে চন্দ্রমণ্ডল থেকে নিঃসৃত অমৃত রসে প্লাবিত হয়ে বামহস্তে ধৃত একটি কপালপাত্রে সেই অমৃত ধারণ করে পরমানন্দে পানরতা। তিনি সালংকারা। তাঁর বামপদ শিবের বুকে ও বামপদ শিবের উরুদ্বয়ের মধ্যস্থলে সংস্থাপিত
গুহ্যকালী


গুণ ও কর্ম অনুসারে মা কালীর আরেক রূপ গুহ্যকালী গুহ্যকালীর রূপ গৃহস্থের নিকট অপ্রকাশ্য। তিনি সাধকদের আরাধ্য। তাঁর রূপকল্প ভয়ংকর: গুহ্যকালীর গাত্রবর্ণ গাঢ় মেঘের ন্যায়; তিনি লোলজিহ্বা ও দ্বিভূজা; গলায় পঞ্চাশটি নরমুণ্ডের মালা; কটিতে ক্ষুদ্র কৃষ্ণবস্ত্র; স্কন্ধে নাগযজ্ঞোপবীত; মস্তকে জটা ও অর্ধচন্দ্র; কর্ণে শবদেহরূপী অলংকার; হাস্যযুক্তা, চতুর্দিকে নাগফণা দ্বারা বেষ্টিতা ও নাগাসনে উপবিষ্টা; বামকঙ্কণে তক্ষক সর্পরাজ ও দক্ষিণকঙ্কণে অনন্ত নাগরাজ; বামে বৎসরূপী শিব; তিনি নবরত্নভূষিতা; নারদাদিঋষিগণ শিবমোহিনী গুহ্যকালীর সেবা করেন; তিনি অট্টহাস্যকারিণী, মহাভীমা ও সাধকের অভিষ্ট ফলপ্রদায়িনী। 
 মহাকালী 

গুণ ও কর্ম অনুসারে মা কালীর আরেক রূপমহাকালী মহাকালী পঞ্চবক্ত্রা ও পঞ্চদশনয়না। তবে শ্রীশ্রীচণ্ডী-তে তাঁকে আদ্যাশক্তি, দশভূজা ও ত্রিংশল্লোচনা রূপে কল্পনা করা হয়েছে। তাঁর দশ হাতে রয়েছে যথাক্রমে খড়্গ,চক্র,গদা,ধনুক,বাণ,পরিঘ,শূল,ভূসুণ্ডি,নরমুণ্ড ও শঙ্খ। ইনিও ভৈরবী; তবে গুহ্যকালীর সঙ্গে এঁর পার্থক্য রয়েছে। ইনি সাধনপর্বে ভক্তকে উৎকট ভীতি প্রদর্শন করলেও অন্তে তাঁকে রূপ, সৌভাগ্য, কান্তি ও শ্রী প্রদান করেন। 
ভদ্রকালী

গুণ ও কর্ম অনুসারে মা কালীর আরেক রূপ ভদ্রকালী ভদ্রকালীর নামের ভদ্র শব্দের অর্থ কল্যাণ এবং কাল শব্দের অর্থ শেষ সময়। যিনি মরণকালে জীবের মঙ্গলবিধান করেন, তিনিই ভদ্রকালী। ভদ্রকালী নামটি অবশ্য শাস্ত্রে দুর্গা ও সরস্বতী দেবীর অপর নাম রূপেও ব্যবহৃত হয়েছে। কালিকাপুরাণ মতে, ভদ্রকালীর গাত্রবর্ণ অতসীপুষ্পের ন্যায়, মাথায় জটাজুট, ললাটে অর্ধচন্দ্র ও গলদেশে কণ্ঠহার। তন্ত্রমতে অবশ্য তিনি মসীর ন্যায় কৃষ্ণবর্ণা, কোটরাক্ষী, সর্বদা ক্ষুধিতা, মুক্তকেশী; তিনি জগৎকে গ্রাস করছেন; তাঁর হাতে জ্বলন্ত অগ্নিশিখা ও পাশযুগ্ম।
চামুণ্ডাকালী

গুণ ও কর্ম অনুসারে মা কালীর আরেক রূপ চামুণ্ডাকালী চামুণ্ডাকালী বা চামুণ্ডা ভক্ত ও সাধকদের কাছে কালীর একটি প্রসিদ্ধ রূপ। দেবীভাগবত পুরাণ ও মার্কণ্ডেয় পুরাণ-এর বর্ণনা অনুযায়ী, চামুণ্ডা চণ্ড ও মুণ্ড নামক দুই অসুর বধের নিমিত্ত দেবী দুর্গার ভ্রুকুটিকুটিল ললাট থেকে উৎপন্ন হন। তাঁর গাত্রবর্ণ নীল পদ্মের ন্যায়, হস্তে অস্ত্র, দণ্ড ও চন্দ্রহাস; পরিধানে ব্যাঘ্রচর্ম; অস্তিচর্মসার শরীর ও বিকট দাঁত। দুর্গাপূজায় মহাষ্টমী ও মহানবমীর সন্ধিক্ষণে আয়োজিত সন্ধিপূজার সময় দেবী চামুণ্ডার পূজা হয়। পূজক অশুভ শত্রুবিনাশের জন্য শক্তি প্রার্থনা করে তাঁর পূজা করেন
শ্মশানকালী

গুণ ও কর্ম অনুসারে মা কালীর আরেক রূপ শ্মশানকালী শ্মশানকালী দেবীর গায়ের রং কাজলের মতো কালো। তিনি সর্বদা শ্মশা বাস করেন। তাঁর চোখদুটি রক্তপিঙ্গল বর্ণের। চুলগুলি আলুলায়িত, দেহটি শুকনো ও ভয়ংকর, বাঁ-হাতে মদ ও মাংসে ভরা পানপাত্র, ডান হাতে সদ্য কাটা মানুষের মাথা। 
রক্ষাকালী
গুণ ও কর্ম অনুসারে মা কালীর আরেক রূপ রক্ষাকালী।  ইনি মহাদেবের শরীরে প্রবেশ করে তাঁর কণ্ঠের বিষে কৃষ্ণবর্ণা হয়েছেন। শিবের ন্যায় ইনিও ত্রিশূলধারিনী ও সর্পযুক্তা।তিনি যেমন একদিকে মন্দ শক্তির বিনাশ কারিনী তেমনী ভক্তদের বিপদ তারিনী।

কালী-মাতা স্তোত্র
ধ্যান
শ্যামা শ্মশাননিলয়ী করালবদনা শিবা।
ত্রিনেত্রা মুণ্ডমালাধ্যা বন্দে কাল্যা জগদ্গুরু্ম্॥

স্তোত্র
১।
জয় কালী মহাকালী, কালিকে পরমেশ্বরী।
সংসারদুঃখনাশায়, ভক্তানাং বরদা ভব॥

২।
ক্ষমশানবাসিনী কালী, দিগম্বরে করালিনী।
মুণ্ডমালাধারায়ে নিত্যং নমস্তে ভয়হারিণি॥

৩।
ত্রিনেত্রে করালবদনে, চণ্ডচামুণ্ডনাশিনী।
শরণাগতপালিনী ত্বং, ত্রাহতিদি মাতরি প্রিয়ে॥

৪।
রক্তকঙ্খালমালিন্যৈ, খাদ্গখেটধারায়ে চ।
ভয়ানকায়ে কাল্যৈ তে, নমোস্তু পরমেশ্বরী॥

৫।
সৃষ্টিস್ಥিতিলয়নাং ত্বং, কারণং শক্তিরূপিণি।
অনাদ্যন্তে নমস্তুভ্যং, কালিকে লোকনায়িকে॥

৬।
ক্রীড়াসি জগতাং মধ্য্যে, মায়ামোহসমন্বিতা।
ভক্তানাং মোক্ষদায়িনী, কালিকে তে নমো নমঃ॥

ফলশ্রুতি
কালীমাতা স্তোত্রং যঃ পাঠেন্নিত্যং সমাহতঃ।
স সর্বপাপবিনির্মুক্তঃ ভোগান ভূক্ত্বা হরিং ব্রজেত্॥




প্রবীর ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উৎকল ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। প্রবীরের  বইগুলি Amazon.com. flipkart.com, abebooks.com এর মাধ্যমে বিক্রি হয়। গুগল ও অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন থেকে সার্চ করে এখনো পর্যন্ত ১২ লাখের বেশি লোক  প্রবীরের লেখা আর্টিকেল গুলি পড়েছেন।

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আরতি কি ? আরতি কি ভাবে করবেন ? সন্ধ্যা দেওয়ার নিয়ম কি ? পড়ুন এবং দেখুন ।

ভীম একাদশী ও দক্ষিণ বঙ্গের ভৈম-একাদশীর ব্রত পালন।

আত্মা ও মৃত্যু। মৃত্যুর পরে কি হয় ও আত্মার শান্তির জন্য কি করতে হয় ? আত্মার সাথে কি ভাবে যোগাযোগ করবেন ? পুনর্জন্মের বৃত্তান্ত -আত্মা ও গর্ভাধান ,পূর্বজন্মের কথা /বৃত্তান্ত কি ভাবে জানবেন ?