পোস্টগুলি

মুক্তি ,ভক্তি ও ষড়রিপু এবং মানব জীবনে ষড়রিপুর প্রভাব:ষড়রিপু কে নিয়ন্ত্রণ বা দমন করার উপায়।

ছবি
পৃথিবীতে সৃষ্ট প্রাণীর মধ্যে মানুষই সর্বশ্রেষ্ঠ । এই  শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের পেছনে মানুষের মধ্যে যে বিষয়গুলো সদা-সর্বদা ক্রিয়াশীল তা হলো তার বিবেক, বুদ্ধি, বিচক্ষণতা ও আত্মনিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা। 1.বিবেক- হলো মানুষের অন্তর্নিহীত শক্তি যার দ্বারা ন্যায়, অন্যায়, ভালোমন্দ,  ধর্ম,অধর্ম বিচার-বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা অর্জিত হয়। 2.বুদ্ধি -হলো মানুষের বিচার শক্তি  বা বোধশক্তি যার দ্বারা আমরা পেয়ে থাকি  জীবন ও জগতে সংগঠিত যাবতীয় ক্রিয়াকলাপে নিজেকে খাপ খাইয়ে নেওয়ার বিজ্ঞানসম্মত ক্ষমতা ও দক্ষতা । 3.বিচক্ষণতা হলো মানুষের দূরদর্শীতা যার মাধ্যমে মানুষ জীবনে আগত ও অনাগত বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করে নিজেকে সর্বত্র সাবলীল ও সফল করে তুলতে সক্ষম হয়। 4.আত্মনিয়ন্ত্রণ- হলো মানুষের সংযমন যার দ্বারা মানুষ তার জীবনের সর্বত্র সংযত,সুসংবদ্ধ ও শৃঙ্খলিত জীবন অনুধাবনে সক্ষম হয়। সুন্দর ও আদর্শ জীবন গঠনের উল্লেখিত সূচকগুলো যার কারণে প্রায়ই বাধাপ্রাপ্ত ও শ্বাসরুদ্ধ হয় তার নাম হলো ষড়রিপু । এই ষড়রিপু আমাদের মন অনিয়ন্ত্রত করে এবং অনিয়ন্ত্রত মন আমাদের কুপথে চালনা করে। মন কে নিয়ন্ত্রণ করতে ভগবান শ্রী নারায়ণের চরণের ধ...

শ্রী শ্রী মা কালী এবং তাঁর বিভিন্ন রূপের বর্ণনা ও তাঁর ধ্যানমন্ত্র।

ছবি
   মা কালী মহামায়া সনাতনী,শক্তিরূপা,গুণময়ী। তিনি এক,তবু প্রকাশ বিভিন্ন, তিনিই দেবী নারায়ণী,আবার ব্রহ্মশক্তিরূপা ব্রহ্মাণী,কখনো মহেশ্বেরী রূপে প্রকাশমানা,কখনো বা নির্মলা কুমারী রূপধারিণী,কখনো মহাবজ্ররূপিণী ঐন্দ্রী,উগ্রা শিবদূতী,নি মুণ্ডমালিনী  তিনিই আবার তমোময়ী নিয়তি। তিনিই কখনো বা চণ্ডিকা,কখনো বা অম্বিকা,কখনো বা বৈষ্ণবী,কখনো বা মহাগৌরী ,কখনো বা কৌষিকী,কখনো বা কাত্যায়নী ,কখনো বা কমলাত্মিকা,কখনো বা ভুবনেশ্বরী ও কখনো বা ললিতা কখনো বা দশমহাবিদ্যা,কখনো বা কালী নামে খ্যাতা।  দেবী কালীর বিভিন্ন রূপের বর্ণনা   গুণ ও কর্ম অনুসারে মা কালীর  রূপ গুলি হল: দক্ষিণাকালী, ভদ্রকালী, সিদ্ধকালী, গুহ্যকালী, শ্মশানকালী, মহাকালী, রক্ষাকালী ইত্যাদি। এছাড়া  দেবী কালী  কে  "ব্রহ্মময়ী", "ভবতারিণী", "আনন্দময়ী", "করুণাময়ী" ইত্যাদি নামে  পূজা করা হয়।  এই সব রূপের মধ্যে দক্ষিণাকালীর বিগ্রহই সর্বাধিক পরিচিত ও পূজিত। দক্ষিণাকালী চতুর্ভূজা। তাঁর চার হাতে খড়্গ, অসুরের ছিন্ন মুণ্ড, বর ও অভয়মুদ্রা রয়েছে। তাঁর গলায় রয়েছে নরমুণ্ডের মালা...

শ্রী শ্রী সরস্বতী ।

ছবি
সরস্বতী পূজা শ্রী শ্রী সরস্বতী:-   সরস্বতী র  অর্থ  জ্যোতির্ময়ী । দেবীভাগবত পুরাণ অনুসারে,দেবী সরস্বতী ভগবান বিষ্ণুর জিহ্বাগ্র থেকে উৎপন্ন হয়েছেন।  তিনি    বুদ্ধি, বিদ্যা,   জ্ঞান ,  সংগীত ও   শিল্পকলার  অধিষ্ঠাত্রী দেবী,  তিনি  সকল সংশয় দূরকারিণী,সর্বসিদ্ধিপ্রদায়িনী এবং উপজীবিকা স্বরূপিনী ।  তিনি  শুক্লবর্ণা, পীতবস্ত্রধারিণী এবং বীণা ও পুস্তকহস্তা। তিনি   ব্রহ্মার  সৃষ্টিতে  যে  জ্ঞানের   দরকার হয়,  সেই   জ্ঞান প্রদায়িনী ।  তিনি   লক্ষ্মী - সরস্বতী - পার্বতী এই   ত্রিদেবীর   অন্যতম । বসন্ত পঞ্চমী:- বসন্ত পঞ্চমী তিথিতে ব্রহ্মা পরম জ্ঞানকে আহ্বান করেন, তখন  দেবী  সরস্বতী সাকার স্বরূপে প্রকট হন ও তিনি ব্রহ্মা কে বিবাহ করেন।  সেই জন্য  বসন্তপঞ্চমী  ( মাঘ   মাসের   শুক্লাপঞ্চমী   তিথি )  তিথিতে   দেবী  সরস্বতী র   পূজা হয় ।   জ্ঞান ,  সংগীত   ও   শিল্পকলার ...

কলি যুগের অবসান/সমাপ্তি ও কল্কি অবতার - সত্য যুগের পুনঃপ্রতিষ্ঠা- সত্য,ত্রেতা,দ্বাপর,কলি এই চার যুগের সময়,পরিমাণ,বৈশিষ্ট্যসমূহ ও অবতার এবং যুগ পরিবর্তন ।

ছবি
জগন্নাথঃ বলভদ্রশ্চ যদা সময়ঃ সমাগতঃ। তদা সত্যযুগং लोকে পুনঃ প্রাপ্যতে নিশ্চিতম্॥ চার যুগের সময় পরিমাণ ও বৈশিষ্ট্যসমূহ:-   ★ ১.সত্য যুগ হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী সত্য যুগ হলো, চার যুগের প্রথম যুগ। অন্য যুগ গুলো হলো ত্রেতা যুগ, দ্বাপর যুগ ও কলি যুগ। মৎস্য অবতার বৈশাখ মাসের শুক্ল পক্ষে তৃতীয়া তিথিতে রবিবারে সত্যযুগের উৎপত্তি।  এই যুগে ভগবান ৪ টি রূপে অবতার নিয়েছিলেন । 1. মৎস্য (মাছ), 2.কুর্ম (কচ্ছপ), 3.বরাহ (শুকর), 4. নরসিংহ (সংস্কৃত: नरसिंह, বানানান্তরে নৃসিংহ-মানুষ ও সিংহের সমন্বিত রূপ)। কুর্ম অবতার  বরাহ অবতার   এই যুগে শুধু পুণ্য ছিল,পাপ ছিল না। প্রাণ ছিল মজ্জায়। মৃত্যু ছিল ইচ্ছাধীন। এই যুগে সোনার পাত্র ব্যবহার করা হত। এই যুগে মানুষেরা ছিলেন আত্মজ্ঞানী। সেই জন্য এই যুগ সর্বশ্রেষ্ট। নরসিংহ অবতার ★২ ত্রেতা যুগ:-  ত্রেতা যুগ হলো হিন্দুধর্ম অনুযায়ী, চার যুগের দ্বিতীয় যুগ। কার্তিক মাসের শুক্ল পক্ষের নবমী তিথিতে সোমবারে ত্রেতা যুগের উৎপত্তি। এই যুগে পালনকর্তা বিষ্ণুর অবতার যথাক্রমে পরশুরাম এবং রাম। বামন অবতার পরশুরাম অবতার রাম অবতার এ...