পোস্টগুলি

বিলুপ্তির পথে পুরোহিত ও পৌরহিত্য' এবং সংক্ষেপে সনাতন হিন্দু ধর্মে পূজার ক্রম/নিয়ম।

ছবি
পৌরহিত্য' ও পুরোহিত ব্রাহ্মণ । পুরোহিত ও পৌরহিত্য নিয়ে জানার  আগে আমাদের কতগুলি টার্ম (সংজ্ঞা ) স্পষ্ট ভাবে  জানা  দরকার।  1.গুরু: গু এর  অর্থ অন্ধকার এবং রু এর অর্থ প্রকাশ । অর্থাৎ যিনি অন্ধকার থেকে  আলোর রাস্তায় নিয়ে যান  তিনি হলেন গুরু। উদাহরণ;দেব গুরু(বৃহস্পতি ), রাজগুরু ইত্যাদি।  2.আচার্য: যার বেদ এবং শাস্ত্রের জ্ঞান আছে  এবং যিনি গুরুকুলে  ছাত্রদের  শিক্ষা প্রদান করেন তাকে আচার্য বলা হয় ।মহান আচার্য্যের উদাহরণ - কৃপাচার্য,দ্রোণাচার্য্য ।  3.পুজারি:- যিনি মন্দির বা অন্য কোন স্থানে পূজা পাঠ করেন তিনি হলেন পূজারী।পূজারীগণ পূজা, আরতি, ভগবানের মূর্তির যত্ন নেওয়া সহ মন্দিরের নিত্যকর্মসমূহ সম্পাদন করেন। 4.পুরোহিত;- পুরোহিত দুটো শব্দ দিয়ে তৈরি :-পর এবং হিত অর্থাৎ যিনি অন্যের (হিত ) ভালো করেন। উদাহরণ;-রাজ পুরোহিত ,কুলপুরোহিত ইত্যাদি।  আমাদের সমাজের এই পুরোহিতরা অতি  সামান্য পারিশ্রমিকের বিনিময়ে আমাদের হিত করে চলেছেন কারণ এঁদের  ধর্মচিন্তা আলাদা  কিন্তু  আমাদের ধর্মচিন্তা বড়ই অদ্ভুত ও বিচিত্র। আমরা...

মুক্তি ,ভক্তি ও ষড়রিপু এবং মানব জীবনে ষড়রিপুর প্রভাব:ষড়রিপু কে নিয়ন্ত্রণ বা দমন করার উপায়।

ছবি
পৃথিবীতে সৃষ্ট প্রাণীর মধ্যে মানুষই সর্বশ্রেষ্ঠ । এই  শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের পেছনে মানুষের মধ্যে যে বিষয়গুলো সদা-সর্বদা ক্রিয়াশীল তা হলো তার বিবেক, বুদ্ধি, বিচক্ষণতা ও আত্মনিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা। 1.বিবেক- হলো মানুষের অন্তর্নিহীত শক্তি যার দ্বারা ন্যায়, অন্যায়, ভালোমন্দ,  ধর্ম,অধর্ম বিচার-বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা অর্জিত হয়। 2.বুদ্ধি -হলো মানুষের বিচার শক্তি  বা বোধশক্তি যার দ্বারা আমরা পেয়ে থাকি  জীবন ও জগতে সংগঠিত যাবতীয় ক্রিয়াকলাপে নিজেকে খাপ খাইয়ে নেওয়ার বিজ্ঞানসম্মত ক্ষমতা ও দক্ষতা । 3.বিচক্ষণতা হলো মানুষের দূরদর্শীতা যার মাধ্যমে মানুষ জীবনে আগত ও অনাগত বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করে নিজেকে সর্বত্র সাবলীল ও সফল করে তুলতে সক্ষম হয়। 4.আত্মনিয়ন্ত্রণ- হলো মানুষের সংযমন যার দ্বারা মানুষ তার জীবনের সর্বত্র সংযত,সুসংবদ্ধ ও শৃঙ্খলিত জীবন অনুধাবনে সক্ষম হয়। সুন্দর ও আদর্শ জীবন গঠনের উল্লেখিত সূচকগুলো যার কারণে প্রায়ই বাধাপ্রাপ্ত ও শ্বাসরুদ্ধ হয় তার নাম হলো ষড়রিপু । এই ষড়রিপু আমাদের মন অনিয়ন্ত্রত করে এবং অনিয়ন্ত্রত মন আমাদের কুপথে চালনা করে। মন কে নিয়ন্ত্রণ করতে ভগবান শ্রী  কৃষ্ণ ও অহংকার ...

শ্রী শ্রী মা কালী এবং তাঁর বিভিন্ন রূপের বর্ণনা ও তাঁর ধ্যানমন্ত্র।

ছবি
বেদ ও পুরান অনুসারে প্রথমে এই মহাবিশ্বে কিছুই ছিল না সম্পূর্ন শূন্য ছিল ,সেই শূন্যে ছিল স্রেফ  এক প্রদীপ্ত গর্ভ যার নাম হিরণ্যগর্ভ,  যার মধ্যে ছিল  অসীম ও অনন্ত জ্ঞান।ঋক বেদ অনুসারে হিরণ্যগর্ভ থেকেই সৃষ্টি  শুরু হয়েছে এবং পরব্রহ্মরই এক  রূপ হল এই হিরণ্যগর্ভ: এর মধ্যে বিদ্যমান তত্ব হলেন অসীম ও অনন্ত জ্ঞান।  এই হিরণ্যগর্ভ থেকে পরব্রহ্ম তাঁর ইচ্ছা অনুসারে  বিরাট রূপ ধারণ করলেন এবং যোগ মায়া কে প্রকাশ করলেন।  তাই ইনি ( যোগ মায়া)   হলেন বিষ্ণু শক্তি । এনারই অপর নাম গিরিজা এবং বিরজা।  ইনি ই  মাতা প্রকৃতি, এই অনন্ত কোটি ব্রহ্মাণ্ডে শ্রী হরি নারায়ণ বাদ দিয়ে এনার মত মায়া অন্য আর কারও নেই  তাই ইনি  যোগমায়া এবং বৈষ্ণব আচারানুষ্ঠানে এঁনাকে নারায়ণী বলা হয় । শৈবরা এঁনাকে শিবের অর্ধাঙ্গিনী রূপে পূজা করেন , শাক্তরা এঁনাকে আদি শক্তি রূপে পূজা করেন। এই দেবী যোগমায়াই পরে পুরান ও উপ পুরাণে আখ্যায়িত হন দেবী দূর্গা নামে। এই দেবী দূর্গার অন্য একটি রূপ হলেন মা কালী। কালী মন্ত্র- ওঁ ক্রিং কালিকায় নমঃ 108 বার    ...