পোস্টগুলি

মন পরিষ্কার রাখার,ও ধ্যান করার সহজ উপায়।

ছবি
  মানুষ যখন এই পৃথিবীতে জন্ম নেয়,তখন তাদের প্রত্যেকেরই মন গঙ্গা জলের  মতো পবিত্র হয়। তাদের মন দেবশিশুর মতো হয় । তখন দেবশিশু ও মানব শিশুর মনের মধ্যে কোন পার্থক্য থাকেনা।এই মানব শিশু যখন ধীরে, ধীরে বড়ো  হতে শুরু করে ,তখন যদি তার পরিবার ,আত্মীয়,স্বজন, কুটুম্ব,বন্ধু, বান্ধব, পাড়া, প্রতিবেশী এবং সমাজের  লোক তার সেই   গঙ্গা জলের  মতো পবিত্র মনে কাম-ক্রোধ-লোভ-অন্ধ মোহ,অহংকার,ঈর্ষা,  হিংসা,ঘৃণা নামক নোংরা/আবর্জনা ঢুকিয়ে দেয়, তখন সেই মানব শিশুর  গঙ্গা জলের  মতো পবিত্র মন নর্দমা তে পরিণত হয়। যার ফলে জন্মজাত দেব শিশু হয়ে উঠে দৈত্য ,দানব, মানুষ হয়ে উঠে  অমানুষ ।  তাই  আপনার  নিজের ও আপনার  ছেলেমেয়েদের  গঙ্গা জলের  মতো পবিত্র  মনে  অন্য কাউকে নোংরা/আবর্জনা ঢোকাতে  দিবেন না  এবং তাদের খারাপ মানুষদের কাছ থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করুন। এছাড়া নিজের ও আপনার  ছেলেমেয়েদের  মনকে সর্বদাই পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করুন। মন অপরিষ্কার হলেই মাথায় মধ্যে উল্টোপাল্টা চিন্তা বাসা বাঁধতে শুরু করে। অপরিষ্কার-মন। আমাদের মন একটা প্যারাসুটের মতো, খোলা থাকলেই ভালো কাজ করে ।’ আমরা সবাই খোলা মন নিয়ে জন্ম নিই। পারিবারিক, সামাজিক

মা বিপদতারিনীর পূজা ও তাঁর পূজার নিয়ম

ছবি
 মা বিপদতারিনীর পূজা ও তাঁর  পূজার নিয়ম পড়ার জন্য ক্লিক  করুন নিচে লাল রঙে লেখা মা বিপত্তারিণী  লিংক টি তে। মা বিপত্তারিণী

সিমলাপালের ইতিহাস।

ছবি
সিমলাপালের ইতিহাস পড়ার জন্য ক্লিক  করুন নিচে লাল রঙে লেখা - সিমলাপালের ইতিহাস লিংক টি তে। >>  সিমলাপালের ইতিহাস পড়ুন >>মাত্র ২১ বছর বয়স্ক এক আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সফটওয়্যার ডেভেলপার এবং একটি উৎকল ব্রাহ্মণ পরিবারের এক মাত্র সন্তান ৺ আকাশ মহান্তীর সংক্ষিপ্ত জীবনী ।

কলি যুগের নাথ প্রভু জগন্নাথ এবং তাঁর লীলা ও তাঁর মন্দিরের রহস্য এবং তাঁর পরম ভক্তদের কাহিনী।

ছবি
পুরির জগন্নাথ  মূর্তির মধ্যে এখনও স্পন্দিত হয় শ্রীকৃষ্ণের হৃদয় । কথিত আছে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের হৃদয় [ ব্রহ্ম পদার্থ ] রয়েছে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে। বিশ্বাস করা হয়, এই জগন্নাথ মন্দিরে ভগবান জগন্নাথের মূর্তির ভিতরে এখনও শ্রীকৃষ্ণের হৃদয় স্পন্দিত হয়।  ১২ বছর পর পর ভগবান জগন্নাথ, বলভদ্র এবং তাদের বোন সুভদ্রার মূর্তি পরিবর্তন করা হয়। যখনই এই প্রতিমাগুলি প্রতিস্থাপন করা হয়, তখনই পুরো শহরের বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় মন্দিরের চারপাশে সম্পূর্ণ অন্ধকার হয়ে যায়। মন্দিরের নিরাপত্তা সিআরপিএফ-এর হাতে তুলে দেওয়া হয় । এই সময় মন্দিরে কারও প্রবেশ করা চলে না। এই মূর্তিগুলি প্রতিস্থাপন করার জন্য শুধুমাত্র একজন পুরোহিতকে মন্দিরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। মূর্তি পরিবর্তন করার সময়, পুরোহিতের হাতে গ্লাভস থাকে এবং চোখ বেঁধে রাখা হয় যাতে তিনিও মূর্তিগুলি দেখতে বা সরাসরি অনুভব  করতে না পারেন।এই অন্ধকারেই প্রথা মেনে ভগবান জগন্নাথের পুরনো মূর্তি থেকে নতুন মূর্তিতে ব্রহ্ম পদার্থ পরিবর্তন করা হয়। মূর্তি পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল এই পুরানো মূর্তি থেকে ব্রহ্ম পদার্থকে নতুনটিতে স্থান

আত্মা ও মৃত্যু। মৃত্যুর পরে কি হয় ও আত্মার শান্তির জন্য কি করতে হয় ? আত্মার সাথে কি ভাবে যোগাযোগ করবেন ? পুনর্জন্মের বৃত্তান্ত -আত্মা ও গর্ভাধান ,পূর্বজন্মের কথা /বৃত্তান্ত কি ভাবে জানবেন ?

ছবি
                                          আত্মা কি ? পরমাত্মা কি ?  আত্মা বলতে সাধারণ অর্থে এমন এক সত্ত্বাকে বোঝানো হয়, যা অদৃশ্য এবং মানুষের শরীর ভিতরে  স্বাধীনভাবে বসবাস করে ,   ভগবত  গীতা"(2.20: Verse 20.)  অনুসারে न जायते म्रियते वा कदाचि- न्नायं भूत्वा भविता वा न भूयः । अजो नित्यः शाश्वतोऽयं पुराणो- न हन्यते हन्यमाने शरीरे ॥ ন জায়তে ম্রিয়তে বা কদাচি- নায়ং ভুত্বা ভবিতা বা ন ভূয়ঃ । অজো নিত্যঃ শাশ্বতোঃয়েং পুরাণো - ন হন্যতে হন্যমানে শরীরে।। এর বাংলা অর্থঃ- ''এই আত্মা কখনও জন্মান না বা মরেন না,অথবা একবার জন্মগ্রহন করে আবার জন্মাবেন না,-এমনও নয়  ।  এই আত্মা  জন্মহীন, নিত্য, সনাতন এবং পুরাতন , শরীরের মৃত্যু হলেও আত্মার মৃত্যু হয় না''।   পরমাত্মা   ।   পরমাত্মা  বা পরমাত্মান্ (সংস্কৃত: परमात्मन्)  শব্দটি র  দ্বারা কোন সীমাহীন জীবন, সীমাহীন চেতনা, সীমাহীন মহাকাশে সীমাহীন সত্তাকে  বোঝা য় ।  পরমাত্মা র অর্থ সমস্ত আত্মার আত্মা বা সর্বোচ্চ  আত্মা   । পরমাত্মা শব্দটি সকলের সৃষ্টিকর্তাকে নির্দেশ করে । মৃত্যু কি? মৃত্যু কাকে বলে । মৃত্যু হলো জীবনের একটি স্বাভাবিক এবং অবশ্

বেদ এবং পুরাণের সংক্ষিপ্ত বিবরণ ও ইতিহাস।

ছবি
 বেদ এবং পুরাণের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস:- कृष्णं नारायणं वन्दे कृष्णं वन्दे व्रजप्रियम्। कृष्णं द्वैपायनं वन्दे कृष्णं वन्दे पृथासुतम्॥ বেদ:- সনাতন হিন্দু ধর্মের সর্বপ্রাচীন পবিত্র ধর্মগ্রন্থ । বেদ "অপৌরুষেয়, "নৈর্বক্তিক ও রচয়িতা-শূন্য"। সনাতন ধর্মের  শাস্ত্র অনুযায়ী পরব্রহ্মই সৃষ্টির আদিতে মানব হিতার্থে বেদের জ্ঞান প্রকাশ করেন। তাই সনাতন হিন্দু ধর্মে বেদের স্থান সবার উপরে ,বেদ ই সনাতন হিন্দু ধর্মের মূল ভিত্তি স্তম্ভ।বেদ যেমন পরব্রহ্ম শ্রী হরি নারায়ণের মুখ নিঃসৃত বাণী তেমনি শ্রীমদ্ভগবদ গীতা  শ্রী হরি নারায়ণের অংশ অবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মুখ নিঃসৃত বাণী সেই কারনে গীতা বেদের সমতুল্য। সনাতন ধর্মে  বেদ বাক্য  ও গীতার বাণী সর্বোপরি। শ্রীমদ্ভগবত গীতা সংস্কৃত মহাকাব্য মহাভারতের  অংশ তথাপি এটি একটি স্বতন্ত্র ধর্মগ্রন্থের তথা পৃথক শাস্ত্রের মর্যাদা পেয়ে থাকে। বেদ শ্রুতি বিভাগের মধ্যে আসে,শ্রীমদ্ভগবত গীতা স্মৃতি সাহিত্যের মধ্যে আসে।  শ্রী হরি নারায়ণ ব্রহ্ম রূপে ব্রহ্মা কে বেদ প্রদান করেন এবং মৎস্য রূপে বেদ কে রক্ষা করেন।  পুরাণ:- অত্যন্ত  সহজ  সরল ভাষায় পুরাণ হলো -পুরাকালের  ইতিহাস,