শ্রী শ্রী মা মহালক্ষ্মী এবং তাঁর বিভিন্ন রূপ ও পূজার নিয়ম ।

ऊँ श्रीं ह्रीं श्रीं कमले कमलालये
प्रसीद प्रसीद श्रीं ह्रीं श्रीं ऊँ महालक्ष्मी नमः

শ্রী শ্রী মা লক্ষ্মী (সংস্কৃত: लक्ष्मी) হলেন  ধনসম্পদ, আধ্যাত্মিক সম্পদ, সৌভাগ্য ও সৌন্দর্যের দেবী। ভগবান নারায়নের বাম বাহুর থেকে এঁনার উৎপত্তি সেই জন্য দেবী লক্ষ্মীকে বিষ্ণু-শক্তি বলা হয় , ইনি ভগবান নারায়নের পত্নী। এঁনার  অপর নাম মহালক্ষ্মী ।  মা লক্ষ্মী প্রকৃতির রজোগুণের প্রতীক। ভগবান বিষ্ণু  রজোগুণের দ্বারা প্রাণিকুলকে পালন করছেন। যে শক্তি দ্বারা ভগবান বিষ্ণু জগৎকে পালন করছেন সে শক্তিই হলেন মা লক্ষ্মী ।


 আমাদের শাস্ত্রে অষ্টলক্ষ্মীর কথা বলা হয়েছে ।  মা লক্ষ্মীর এই আটটি রূপ হলেন। 1. আদিলক্ষ্মী 2.ধনলক্ষ্মী 3.ধান্যলক্ষ্মী 4.গজলক্ষ্মী 5. সন্তানলক্ষ্মী 6. ধৈর্য/বীর লক্ষ্মী 7. বিজয়লক্ষ্মী 8. বিদ্যালক্ষ্মী । শুনুন অষ্টলক্ষ্মীর বন্দনা/স্তুতি/ স্তব।

শ্রী শ্রী আদি লক্ষ্মী
অষ্টলক্ষ্মীর বিবরণ।
1.“আদি লক্ষ্মী” এঁনাকে কিছু পুরাণে সাগর কন্যা বলা হয়। সমুদ্র মন্থনের সময় ইনি প্রকটিত হয়ে ভগবান বিষ্ণুকে পতি রূপে বরণ করেন । ধনতেরাস (ধনতেরাস/ধন ত্রয়োদশী-এই দিন ভগবান নারায়ণের অংশ  অবতার ভগবান ধন্বন্তরি ও আদি লক্ষ্মী সমুদ্র মন্থন থেকে প্রকট হয়েছিলেন ) এবং দীপাবলির দিন মা  আদি লক্ষ্মীর  পূজা করা হয়।  
শ্রী শ্রী ধনলক্ষ্মী
  2.“ধনলক্ষ্মী” হলেন সোনাদানা, অর্থ  ইত্যাদির দেবী । ইনি প্রসন্না হলে ভক্ত কে অর্থ, ঐশ্বর্য এমন কি পারমার্থিক ধন সম্পত্তি, ব্রহ্মবিদ্যা প্রদান করেন । এঁনাকে বৈভব-লক্ষ্মীও বলা হয়।অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে মা ধনলক্ষ্মীর (বৈভব-লক্ষ্মীর) পূজা হয় ৷
শ্রী শ্রী ধান্য লক্ষ্মী
  3.“ধান্যলক্ষ্মী” হলেন  ধান, গম ইত্যাদি কৃষিজ ফসলের অধিষ্ঠাত্রী দেবী।ইনি প্রসন্না হলে  কৃষকের  মাঠ ফসলে ভরে ওঠে। কৃষকের  প্রধান কৃষিজ ফসল ঘরে আসার পরে  অগ্রহায়ণ বা অঘ্রান মাসের চতুর্থ বৃহস্পতিবারে মা ধান্য লক্ষ্মী কে ধানের বেদীর উপর বসিয়ে পূজা করা হয়। এই  পূজা ভারতবর্ষের উৎকল ব্রাহ্মণদের  একটি প্রধান পূজা । উৎকল ব্রাহ্মণদের ঘরে ঘরে এই পূজা অত্যন্ত  জাকঁজমকে পালিত হয়। অনেকেই মা ধান্য লক্ষ্মী কে গৃহ লক্ষ্মী অথবা ঘরের লক্ষ্মীও বলে থাকেন।
 
মা ধান্য লক্ষ্মীরভোগ:-
প্রথমে মা ধান্য লক্ষ্মী কে আমান্য (নতুন চাল,দুধ,গুড়,পাকা কলা ,নারিকেল কুচি ,চাছি ,ইত্যাদির  মিশ্রণ ) নিবেদন করা হয় এবং তার পরে  তাঁকে  ভোগ দেওয়া হয়। ভোগ হিসাবে আতপ চালের ভাত,ডাল ,বিভিন্ন প্রকারের ব্যঞ্জন(তরকারি), শাক , চালের পায়েস (ক্ষীর),গড়গড়ে (গড়গড়িয়া) পিঠে,আসকে পিঠে, কাখরা পিঠে  ইত্যাদি দেবীকে অর্পণ করা হয় ।

গড়গড়িয়া (গড়গড়ে) পিঠে

এই ধান্য  লক্ষ্মী পূজার সাথে প্রত্যখ্য ও পরোক্ষ ভাবে  জড়িয়ে আছে এখন প্রায় লুপ্ত হয়ে যাওয়া ,ডাক সংক্রান্তি ও ডেনি পূজা।
ডাক সংক্রান্তি-ধান ফুলো ফুলো। 

ডাক সংক্রান্তি হল হিন্দু বর্ষপঞ্জী অনুযায়ী আশ্বিন মাসের শেষ দিনে সমগ্র রাঢ়-বাংলার এবং  উড়িষ্যার  গ্রামীণ হিন্দু কৃষক সমাজের পালনীয় একটি লৌকিক উৎসব।এদিন কৃষক অথবা কৃষকের  কোনো প্রতিনিধি ধান ক্ষেতে  গিয়ে বলেন ধান ফুলো ফুলো। এই সময় ধান ক্ষেতে ফুল ধরা সবুজ ধানগাছকে গর্ভিণীজ্ঞানে পূজা করা হয় এবং ধান্য  সম্পদের অধিষ্ঠাত্রী লক্ষ্মীদেবীর আরাধনা করা হয় এবং লক্ষ্মীদেবী কে ঘরে  আসার জন্য কৃষকের পাঠানো প্রতিনিধি বা  কৃষকের দ্বারা  নিমন্ত্রণ দেওয়া  হয়।
 


ডেনি পূজা
 ডেনি পূজা-কৃষকের ধান যখন মাঠ থেকে ঘরে আনা হয় তখন সবশেষের ধানের একটি বাঁধা আঁটি কে কৃষক পরিবার ধার্মিক রীতি অনুসারে মাঠ থেকে তাদের ঘরে  নিয়ে আসেন এবং পূজা অর্চনা করেন। এর পর এই ধানের বাঁধা আঁটিটি কে কোনো গাছের ডালে অথবা  অন্য কোনো উঁচু জায়গায় পাখিদের খাবার জন্য তুলে দেন। এরই নাম ডেনি পূজা/ ডেনি পরব,বিভিন্ন জায়গায় এই পরম্পরা বিভিন্ন নামে পরিচিত।

শ্রী শ্রী গজলক্ষ্মী
  4.“গজলক্ষ্মী” হলেন পশু সম্পত্তি এমনকি পশু পালনের দ্বারা যে অর্থ আসে- তাঁর অধিষ্ঠাত্রী দেবী। এই দেবীর কৃপায় দেবতাদের রাজা ইন্দ্র দেব ঐরাবত কে বাহন রূপে প্রাপ্ত করেন। মা গজলক্ষ্মীর কৃপায় গবাদিপশু পালন থেকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে  আয় হয় ,তাই গ্রামের মানুষ পশু সম্পত্তির  দেবী মা গজলক্ষ্মীর আরাধনা  করেন,এছাড়া আগে বন্য হাতির উপদ্রবের কারণে গ্রামের মানুষ মাঠের ফসল ঘরে তুলতে হিমশিম খেতেন । সেই জন্যে বন্য হাতির উপদ্রবের থেকে মুক্তি পাওয়ার  জন্য ও গ্রামের মানুষ মা গজলক্ষ্মীর আরাধনা  করেন। বর্তমানে এই পূজা সর্বজনীন' বা 'সার্বজনীন পূজার রূপ নিয়েছে। দূর্গা পূজার পরের পুর্ণিমা তে মা গজলক্ষ্মীর পূজা হয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে আমাদের বেশ কিছু লোক গজ লক্ষ্মীপূজা কে কোজাগরী লক্ষ্মী পূজা বলেন কিন্তু  আমাদের বেদ এবং পুরাণে এর উল্লেখ নেই। 
শ্রী শ্রী সন্তানলক্ষ্মী

  5.“সন্তানলক্ষ্মী” হলেন সন্তান সন্ততি প্রদায়িনী দেবী। এঁনার কৃপায় সন্তান সুখ লাভ হয় ।
শ্রী শ্রী বীর/ধৈর্য লক্ষ্মী
6.“ধৈর্য/বীরলক্ষ্মী”  এই রূপে মা লক্ষ্মী  ভক্ত কে  সাহস, উদ্যম,ধৈর্য প্রদান করেন। এঁনার কৃপায় হতাশা, অলসতা আদির নিরাময় ঘটে ।
শ্রী শ্রী বিজয়ালক্ষ্মী

  7.“বিজয়লক্ষ্মী” রূপে মা লক্ষ্মী  ভক্ত কে  বিজয়ী করেন   ।
শ্রী শ্রী বিদ্যালক্ষ্মী

8. “বিদ্যালক্ষ্মী” হলেন জ্ঞান রূপ ধন প্রদায়িনী। তিনি ভক্ত কে সমস্ত রকম বিদ্যা রূপ ঐশ্বর্য প্রদান করেন ।
 এছাড়া দেবীমহালক্ষ্মী কে 1. ঐশ্বর্যলক্ষ্মী (এই রূপে দেবী ঐশ্বর্য প্রদান করেন) ,2. সৌভাগ্যলক্ষ্মী (এই রূপে দেবী সৌভাগ্য প্রদান করেন),  3.রাজ্যলক্ষ্মী ( এই রূপে দেবী রাজগৃহে থাকেন, রাজসুখ প্রদায়িনী), 4. বর লক্ষ্মী ( এই রূপে দেবী সকল প্রকার শুভ আশীষ ও সৌন্দর্য দান করেন) রূপেও  পূজা করা হয়।


এবার জানা যাক অতি সংক্ষেপে শ্রী শ্রী মা লক্ষীর  পূজা পদ্ধতি 
পূজার আগের দিন মা কে গোটা সুপারি দিয়ে নিমন্ত্রণ করুন (এটি  আগের দিন সন্ধ্যা আরতির পর করলে ভালো হয়) । পূজার দিনে পূজা শুরু করার আগে শ্রীগণেশের মন্ত্র বলুন। 
ওঁ গং গনপতেয় নমঃ
ওঁ গং গনপতেয় সর্ব কার্য সিদ্ধি  কুরু কুরু স্বাহা।
এর পর মায়ের ধ্যান করুন এবং মাকে আবাহন করুন। 
মাকে  আসনে/বেদীতে বসান। 
মায়ের পা ধোয়ান ও তার পরে পা মোছান। 
*পাথর/ধাতুর বিগ্রহ হলে ,মাকে শুদ্ধ জল  দিয়ে স্নান করাতেও  পারেন । একসাথে লক্ষী ও নারায়ণের বিগ্রহ হলে ঋক বেদের পুরুষ সুক্ত মন্ত্র শুনতে শুনতে  ও মনে মনে পাঠ  করতে করতে লক্ষী ও নারায়ণ কে শুদ্ধ হলুদ জল দিয়ে স্নান করান অথবা অষ্টলক্ষ্মীর বন্দনা/স্তুতি/ স্তব শুনতে শুনতে  ও মনে মনে পাঠ  করতে করতে  শুদ্ধ হলুদ জল দিয়ে স্নান করান ।

এর পর  মালা পরান ,কপালে চন্দন লাগান । 
এর পর সুগন্ধি পদার্থ- ধূপ,দীপ ,ইত্যাদি অর্পণ করুন।
এর পর নৈবেদ্য অর্পণ করুন ।
এর পর মায়ের পূজা করুন। পূজার মন্ত্র  টি শুনুন ও সাথে পাঠ করুন।

এর পর ভোগ (নৈবেদ্য)পাত্রগুলির দিকে নির্দেশ করে মাকে তাঁর  উদ্দেশ্যে নিবেদিত ভোগ এবং জল গ্রহণের জন্য প্রার্থনা জানান। 
মাকে পান /সুপারি গ্রহণের জন্য প্রার্থনা জানান।  
এর পর পুষ্পাঞ্জলি ।
পুষ্পাঞ্জলী মন্ত্র ;- এষ সচন্দনপুষ্পাঞ্জলি ওঁ শ্রীঁ লক্ষ্মীদেব্যৈ নমঃ
এরপর মা লক্ষ্মীর আরতিটি শুনুন ও সাথে পাঠ করুন।


এর পর প্রার্থনা।
পূজার শেষে  ক্ষমা প্রার্থনা  মন্ত্র।
মন্ত্র হিনং ক্রিয়া হিনং
ভক্তি হিনং সুরেসরী
যত পুজিতং ময়া দেবী
পরিপুর্নং তদুস্তুমে
 অথবা   
ওঁযদক্ষরং পরিভ্রষ্টং মাত্রাহীনঞ্চযদ্ ভবেৎ।
পূর্ণং ভবতু ত্বৎসর্বং ত্বৎপ্রসাদাত জনার্দ্দন।।
অর্থঃ হে ভগবান,তোমার পূজারকাজে যদি কোনঅক্ষর বাদ গিয়ে থাকে বা মাত্রা বিবর্জিতহয়ে থাকে, তোমার অনুগ্রহে তা পূর্ণত্বপ্রাপ্ত হউক।
মা লক্ষ্মীর  পূজায় কি করতে নেই  । 
মা লক্ষ্মীর পূজায় কাঁসর-ঘণ্টা বাজাতে নেই কেন না তীব্র ও কর্কশ শব্দে দেবী বিরক্ত হন। তাঁকে দিতে নেই তুলসীপাতাও, আর ব্যবহার করতে নেই লোহার কোনও বাসন। কেন না, লোহা দেওয়া হয় অলক্ষ্মীকে। 

মা লক্ষ্মীর প্রিয় ও অপ্রিয় স্থান:-

মা লক্ষ্মীর অপ্রিয় স্থান
মা লক্ষ্মীর কোন কোন স্থান প্রিয় আর কোন কোন স্থান অপ্রিয়, তা ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণে উল্লেখ আছে। দেবী বলেছেন- যে সকল গৃহে গুরু, ঈশ্বর, পিতা,মাতা, আত্মীয়, অতিথি ও পিতৃলোক রুষ্ট হন সে সকল গৃহে আমি প্রবেশ করি না। যে সকল ব্যক্তি স্বভাবতঃ মিথ্যাবাদী, বিশ্বাসঘাতক ও কৃতঘ্ন, সর্বদা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত, মন্দবুদ্ধি সম্পন্ন, স্ত্রী-বশীভূত, কটুভাষী বা অপ্রিয়ভাষী, কলহপরায়ণ, যারা ভগবানের পূজা ও তাঁর নাম-গুণকীর্তনে বিমুখ, যাদের পরিধেয় বস্ত্র অপরিচ্ছন্ন,ময়লাযুক্ত, তাদের গৃহে আমি কখনো গমন করি না। 

মা লক্ষ্মীর প্রিয়  স্থান

मूर्खा यत्र न पूज्यन्ते धान्यं यत्र सुसञ्चितम् ।
दाम्पत्ये कलहो नास्ति तत्र श्रीः स्वयमागता ॥

মূর্খ যত্র ন পূজ্যন্তে ধান্যং যত্র সুসঞ্চিতম্।
দাম্পত্যোঃ কলহো নাস্তি তত্র শ্রীঃ স্বয়মাগতা ॥

এর বাংলা অর্থঃ- যেখানে মূর্খ ব্যক্তির পূজা হয় না, ধান গম ইত্যাদি  খাদ্য শস্য যেখানে  ভালো ভাবে সংরক্ষন করা হয় ,স্বামী স্ত্রীতে কলহ নেই,সেখানে মা লক্ষ্মী স্বয়ং এসে বিরাজ করেন। 

পুরাণে বলা হয়েছে :- দেবী সে গৃহেই বাস করেন, যেখানে গৃহিনী/গৃহ বধূ প্রিয়বাদিনী (মধুরভাষী),প্রিয়দর্শিনী, সুশোভনা, লাবণ্যযুক্তা ও বীর্যশালিনী । দেবী সে গৃহেই বাস করেন, যেখানে কলহ নেই । দেবী সে গৃহেই বাস করেন যেখানে গৃহস্থ পরিজনের মধ্যে ধন ও ভোগ্যবস্তু সমান ভাগ করে ভোগ করেন। দেবী সে গৃহেই বাস করেন যেখানে গৃহকর্তা/ গৃহকর্ত্রী  মিষ্টভাষী, বৃদ্ধগণকে সেবা করেন, প্রিয়দর্শন, স্বল্পভাষী, অদীর্ঘসূত্রী (অর্থাৎ কোন কাজে অধিক সময় ব্যয় করেন না), ধার্মিক,বিদ্বান, অগর্বিত, সেবাপরায়ণ ও পরকে পীড়া দেন না। সে ব্যক্তিই দেবীর প্রিয় যিনি ফুল তোলার পর গন্ধ নেন না, পরস্ত্রীর প্রতি দুর্ভাবনা রাখেন না এবং যিনি সংযত। 
ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণে দেবী বলেছেন- আমি সে সব নারীর শরীরে নিত্য বাস করি যারা গুরুজনের কাছে শিক্ষা লাভ করেছেন এবং যারা ভক্তিপরায়ণা, যারা পতিবাক্য কখনও অবহেলা করেন না এবং পতির ভোজনের পর ভোজন করেন, যারা পরিতুষ্টা (সন্তুষ্ট,অতিশয় তৃপ্ত),  এছাড়া  কৃষ্ণ ভক্ত  সুদামার স্ত্রী  বসুন্ধরা কে  মা লক্ষ্মী বলেছিলেন আমি সে সব নারীর শরীরে নিত্য বাস করি যারা, রুপবতী ,সুন্দরী (অন্তরে  এবং বাহিরে ),সর্বাঙ্গীণ যৌবনের  অধিকারী ।

কি ভাবে জানবেন যে আপনার বাড়িতে দেবী লক্ষ্মীর আগমন ঘটতে চলেছে/শুভ দৃষ্টি পড়তে চলেছে?
প্রচলিত বিশ্বাসের ভিত্তিতে;-
1.কেউ যদি স্বপ্নে ঝাড়ু, পেঁচা,কলস,বাঁশি,হাতি, টিকটিকি, শঙ্খ, সাপ, গোলাপফুল,উজ্জ্বল নক্ষত্র বেশ কিছু দিন /মাস /বছর  ধরে মাঝে মাঝেই  দেখতে পান ,তাহলে জানবেন যে তাঁর বাড়িতে দেবী লক্ষ্মীর আগমন ঘটতে চলেছে/শুভ দৃষ্টি পড়তে চলেছে ।
2.আপনি যদি আপনার বাড়িতে অথবা বাড়ির সীমানার মধ্যে শুভ লক্ষণ যুক্ত পাখিদের  (রাজহাঁস/হাঁস,বুলবুল,ময়ূর,তোতা,নীলকণ্ঠ,সারস,পেঁচা,পায়রা ইত্যাদি )বাসা বাঁধতে দেখেন  এবং হঠাৎ করে আপনার বাড়িতে কালো রঙের পিঁপড়া এসে ঝাঁক বেঁধে কিছু খেতে শুরু করে, তাহলে মনে করা হয় যে খুব শীঘ্রই  আপনার বাড়িতে মা লক্ষ্মীর আগমন ঘটতে চলেছে। তবে  যেখানে পাখির বাসা,সেই স্থানটিকে প্রতি নিয়ত পরিষ্কার করা প্রয়োজন। পাখির বাসা অতিরিক্ত নোংরা থাকা অশুভ লক্ষণ।
পায়রা বা কপোত বা পারাবত /কবুতরের ঘর

 
 3.যদি বাড়িতে একই জায়গায় তিনটি টিকটিকি দেখা যায় তবে এটি একটি খুব শুভ লক্ষণ। মনে করা হয় দেবী লক্ষ্মীর আগমন ঘটতে চলেছে। 
4.এছাড়াও যদি কোনও ব্যক্তির ডান হাতে ক্রমাগত চুলকানি হয় তবে এর অর্থ হল যে মা লক্ষ্মীর কৃপায় ব্যক্তির অর্থ পাওয়ার আশা রয়েছে।
এবার জানা যাক  সহজ সরল ভাবে মা লক্ষ্মীর পূজার নিয়ম
 শ্রী শ্রী মা লক্ষ্মী পূজার নিয়ম :-
পূজার আগে প্রথমে মাথায় একটু গঙ্গাজল নিয়ে নারায়ণকে স্মরণ করুন । এরপর  মাথায় এবং শরীরে জল নিয়ে দেহ ও  মন শুদ্ধ করে সূর্যের উদ্দেশ্যে একটু  জল দিন, এরপর একটু গঙ্গাজল আপনার পূজার আসন, পূজার ফুল- নৈবেদ্য ইত্যাদি উপকরণের উপর ছিটিয়ে দিন। এইভাবে পূজা দ্রব্যগুলিকে শুদ্ধ করে নিন। এরপর মা লক্ষ্মীর সামনে সামান্য ধান ও সামান্য(এক চিমটি) মাটি ছড়িয়ে দিয়ে তার উপর জলভরা ঘট স্থাপন করুন। ঘটের গায়ে সিঁদুর দিয়ে মঙ্গলচিহ্ন বা স্বস্তিক চিহ্ন এঁকে নিন । এরপর ঘটে একটি আমপল্লব (যাতে বিজোড় সংখ্যায় আমপল্লব থাকে) ও তার উপর একটি কলা বা হরীতকী দিয়ে উপরে একটি ফুল দিবেন। ইচ্ছা করলে ঘটে ও লক্ষ্মীকে একটি করে মালাও পরাতে পারেন।এবার মা লক্ষ্মীর ধ্যান করুন । 
শ্রী শ্রী মা লক্ষ্মীর ধ্যান মন্ত্র
ওঁ পাশাক্ষমালিকাম্ভোজ-শৃণিভির্যাম্য-সৌম্যয়োঃ।
পদ্মাসনস্থাং ধ্যায়েচ্চ শ্রীয়ং ত্রৈলোক্যমাতরম্।।
গৌরবর্ণাং সুরূপাঞ্চ সর্বালঙ্কার-ভূষিতাম্।
রৌক্মপদ্ম-ব্যগ্রকরাং বরদাং দক্ষিণেন তু।।
অর্থঃ দক্ষিণহস্তে পাশ, অক্ষমালা এবং বামহস্তে পদ্ম ও অঙ্কুশধারিণী, পদ্মাসনে উপবিষ্টা, শ্রীরূপা, ত্রিলোকমাতা, গৌরবর্ণা, সুন্দরী, সর্বালঙ্কারভূষিতা, ব্যগ্রহস্তে স্বর্ণপদ্মধারিণী এবং দক্ষিণহস্তে বরদাত্রী দেবীকে ধ্যান করি।
যদি মন্ত্রটি পাঠ করতে অসুবিধা হয় তাহলে মা লক্ষ্মীর রূপটি চোখ বুজে, হাত জোড় করে মনে মনে খানিকক্ষণ চিন্তা করবেন।
এরপর মা লক্ষ্মীকে আপনার ঘরে আবাহন করুন
আবাহন মন্ত্র টি হল।
ওঁ লক্ষ্মীদেবী ইহাগচ্ছ ইহাগচ্ছ
ইহ তিষ্ঠ ইহ তিষ্ঠ ইহ সন্নিধেহি
ইহ সন্নিরুদ্ধস্য অত্রাধিষ্ঠান কুরু মম পূজান গৃহাণ।
যদি মন্ত্রটি পাঠ করতে অসুবিধা  হয় তাহলে  বাংলায় বলবেন, এসো মা লক্ষ্মী, বসো ঘরে ,যতক্ষণ তোমার পূজা করবো ,থেকো আমার  ঘরে ।
এরপর ভাববেন, মা লক্ষ্মী আপনার গৃহে পূজা নিতে এসেছেন , তাই প্রথমেই  মা লক্ষ্মীর পা ধুইয়ে শুদ্ধ কাপড়ে মায়ের পা মুছিয়ে দিন ।এরপর দুর্বা ও সামান্য গোটা আতপ চাল ঘটে দিন। এটি হল অর্ঘ্য। এর সঙ্গে একটি ফুলও দিতে পারেন।এরপর লক্ষ্মীকে একটি চন্দনের ফোঁটা দিন। মা লক্ষ্মীর প্রতিমা না থাকলে ফুলে চন্দন মাখিয়ে ঘটে দিন।এরপর মা লক্ষ্মীকে ফুল দিন। তারপর প্রথমে ধূপ ও তারপর প্রদীপ দেখাবেন। শেষে নৈবেদ্যগুলি নিবেদন করে দিবেন। তারপর ভাববেন, মা লক্ষ্মী আপনার হৃদয়ে এসে বসে আপনার দেওয়া ফুল- নৈবেদ্য গ্রহণ করছেন। একে বলে মানসপূজা। তারপর ফুল দিয়ে পুষ্পাঞ্জলি দিবেন।
পুষ্পাঞ্জলি মন্ত্র
এষ সচন্দনপুষ্পাঞ্জলি ওঁ শ্রীঁ লক্ষ্মীদেব্যৈ নমঃ। (শ্রীঁ উচ্চারণ হবে শ্রীং, নমঃ উচ্চারণ হবে নমহ।)
শ্রী শ্রী মা লক্ষ্মীর পুষ্পাঞ্জলি মন্ত্র:-
নমস্তে সর্বদেবানাং বরদাসি হরিপ্রিয়ে।
যা গতিস্তং প্রপন্নানাং সা মে ভূয়াত্বদর্চবাৎ।।
পুষ্পাঞ্জলি এক, তিন বা পাঁচ বার দিতে পারেন। পুষ্পাঞ্জলির পর নারায়ণের উদ্দেশ্যে একটি ফুল ও দুটি তুলসীপাতা ঘটে দিবেন।তারপর ইন্দ্র ও কুবেরের নামে দুটি ফুলও ঘটে দিবেন। মা লক্ষ্মীর বাহন পেঁচাকেও একটি ফুল দিবেন।
এরপর নারায়ণের ও মা লক্ষ্মীর আরতি :-




যদি আপনি কোন গুরুর কাছে দীক্ষা নিয়ে থাকেন, তবে এরপর আপনার গুরুমন্ত্র যথাশক্তি জপ করে মা লক্ষ্মীর বাঁ হাতের উদ্দেশ্যে জপসমর্পণ করবেন। শেষে নিম্নোক্ত মন্ত্রে মা লক্ষ্মীকে প্রণাম করবেন।
শ্রী শ্রী মা লক্ষ্মীর  -প্রনাম মন্ত্র :
ওঁ বিশ্বরূপস্য ভার্যাসি পদ্মে পদ্মালয়ে শুভে।
সর্বতঃ পাহি মাং নিত্যং দেবি মহালক্ষ্মী নমোহস্তুতে ।।
মন্ত্র পড়তে  অসুবিধা হলে বিনা মন্ত্রেই ভক্তিভরে মা-কে প্রণাম করবেন ।
এরপর ব্রতকথা পাঠ করবেন বা শুনবেন। এরপর বাড়িতে যে মা লক্ষ্মীর পাঁচালি আছে তা পাঠ করবেন ।
*পূজার শেষে  ক্ষমা প্রার্থনা  মন্ত্র  । 
ক্ষমা প্রার্থনা মন্ত্র:
ওঁ যদক্ষরং পরিভ্রষ্টং মাত্রাহীনঞ্চযদ্ ভবেৎ।
পূর্ণং ভবতু ত্বৎসর্বং ত্বৎপ্রসাদাত জনার্দ্দন।।
অর্থঃ হে ভগবান,তোমার পূজারকাজে যদি কোনঅক্ষর বাদ গিয়ে থাকে বা মাত্রা বিবর্জিত হয়ে থাকে, তোমার অনুগ্রহে তা পূর্ণত্বপ্রাপ্ত হউক। 

শ্রী শ্রী মা লক্ষ্মীর ব্রতকথা 
"বৃহস্পতিবারের ব্রতকথা"-য়  মা লক্ষ্মীর ব্রত ও পূজা প্রচলন সম্পর্কে একটি যে লৌকিক গল্পটি রয়েছে, তা এইরকম:
 এক দোলপূর্ণিমার রাতে নারদ বৈকুণ্ঠে লক্ষ্মী ও নারায়ণের কাছে গিয়ে মর্ত্যের অধিবাসীদের নানা দুঃখকষ্টের কথা বললেন। মা লক্ষ্মী মানুষের নিজেদের কুকর্মের ফলকেই এই সব দুঃখের কারণ বলে চিহ্নিত করলেন। কিন্তু নারদের অনুরোধে মানুষের দুঃখকষ্ট ঘোচাতে তিনি মর্ত্যলোকে লক্ষ্মীব্রত প্রচার করতে এলেন। অবন্তী নগরে ধনেশ্বর নামে এক ধনী বণিক বাস করতেন। তার মৃত্যুর পর তার ছেলেদের মধ্যে বিষয়সম্পত্তি ও অন্যান্য ব্যাপার নিয়ে ঝগড়া চলছিল। ধনেশ্বরের বিধবা পত্নী সেই ঝগড়ায় অতিষ্ঠ হয়ে বনে আত্মহত্যা করতে এসেছিলেন। লক্ষ্মী তাকে লক্ষ্মীব্রত করার উপদেশ দিয়ে ফেরত পাঠালেন। ধনেশ্বরের স্ত্রী নিজের পুত্রবধূদের দিয়ে লক্ষ্মীব্রত করাতেই তাদের সংসারের সব দুঃখ ঘুচে গেল। ফলে লক্ষ্মীব্রতের কথা অবন্তী নগরে প্রচারিত হয়ে গেল। একদিন অবন্তীর সধবারা লক্ষ্মীপূজা করছেন, এমন সময় শ্রীনগরের এক যুবক বণিক এসে তাদের ব্রতকে ব্যঙ্গ করল। ফলে লক্ষ্মী তার উপর কুপিত হলেন। সেও সমস্ত ধনসম্পত্তি হারিয়ে অবন্তী নগরে ভিক্ষা করতে লাগল। তারপর একদিন সধবাদের লক্ষ্মীপূজা করতে দেখে সে অনুতপ্ত হয়ে লক্ষ্মীর কাছে ক্ষমা চাইল। লক্ষ্মী তাকে ক্ষমা করে তার সব ধনসম্পত্তি ফিরিয়ে দিলেন। এইভাবে সমাজে লক্ষ্মীব্রত প্রচলিত হল।
**
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে আমাদের সমাজের বেশ কিছু লোক, না জেনে যেমন গজ লক্ষ্মীপূজা কে কোজাগরী লক্ষ্মী পূজা  বলে থাকেন,তেমনই অজ্ঞানতা বশতঃ অনেকেই ধান্যলক্ষ্মী পূজাকে নবান্ন  বলে থাকেন কিন্তু  উৎকল ব্রাহ্মণদের  বেশির ভাগ লোকই  বলেন  নবান্ন এবং ধান্যলক্ষ্মী পূজা দুটি সম্পূর্ণ  পৃথক জিনিস। নবান্ন নতুন আমন ধান কাটার পর সেই ধান থেকে প্রস্তুত চালের প্রথম রান্না উপলক্ষে আয়োজিত উৎসব । অন্যদিকে ধান্যলক্ষ্মী  পূজাতে ভোগটি  পুরানো চালের ই হয়,এছাড়া  এই  দুটি  অনুষ্ঠানের  তিথি ,দিন ,ক্ষণ  ও  আলাদা তাহলে সবিস্তারে জানা যাক  নবান্ন কি ?
নবান্ন :-
নবান্ন বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী শস্যোৎসব। বাংলার কৃষিজীবী সমাজে শস্য উৎপাদনের বিভিন্ন পর্যায়ে যে সকল আচার-অনুষ্ঠান ও উৎসব পালিত হয়, নবান্ন তার মধ্যে অন্যতম। "নবান্ন" শব্দের অর্থ "নতুন অন্ন"। নবান্ন উৎসব হল নতুন আমন ধান কাটার পর সেই ধান থেকে প্রস্তুত চালের প্রথম রান্না উপলক্ষে আয়োজিত উৎসব। সাধারণত অগ্রহায়ণ মাসে আমন ধান পাকার পর এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। কোথাও কোথাও মাঘ মাসেও নবান্ন উদযাপনের প্রথা রয়েছে। নবান্ন অনুষ্ঠানে নতুন অন্ন পিতৃপুরুষ, দেবতা, কাক ইত্যাদি প্রাণীকে উৎসর্গ করে এবং আত্মীয়-স্বজনকে পরিবেশন করার পর গৃহকর্তা ও পরিবারবর্গ নতুন গুড় সহ নতুন অন্ন গ্রহণ করেন। নতুন চালের তৈরি খাদ্যসামগ্রী কাককে নিবেদন করা নবান্নের অঙ্গ একটি বিশেষ লৌকিক প্রথা। লোকবিশ্বাস অনুযায়ী, কাকের মাধ্যমে ওই খাদ্য মৃতের আত্মার কাছে পৌঁছে যায়। এই নৈবেদ্যকে বলে "কাকবলী"। অতীতে পৌষ সংক্রান্তির দিনও গৃহদেবতাকে নবান্ন নিবেদন করার প্রথা ছিল।
Picture from The Statesman



 হিন্দুশাস্ত্রে নবান্নের উল্লেখ ও কর্তব্য নির্দিষ্ট করা রয়েছে। হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী, নতুন ধান উৎপাদনের সময় পিতৃপুরুষ অন্ন প্রার্থনা করে থাকেন। এই কারণে হিন্দুরা পার্বণ বিধি অনুসারে  নবান্নে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করে থাকেন। শাস্ত্রমতে, নবান্ন শ্রাদ্ধ না করে নতুন অন্ন গ্রহণ করলে পাপের ভাগী হতে হয়। একদা অত্যন্ত সাড়ম্বরে নবান্ন উৎসব উদযাপন হত,সকল মানুষের সবচেয়ে অসাম্প্রদায়িক উৎসব হিসেবে নবান্ন উৎসব সমাদৃত ছিলো। তবে এখনও বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের কিছু কিছু এলাকায় নবান্ন উৎসব অত্যন্ত উৎসব মুখর পরিবেশে উদযাপিত হয়। বাংলাদেশের বগুড়া জেলার আদমদিঘী উপজেলার শালগ্রাম সহ আশেপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামে আবহমানকাল ধরে নবান্ন উৎসব অত্যন্ত উৎসব মুখর পরিবেশে উদযাপিত হয়ে আসছে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ,বীরভূম, বর্ধমান সহ বিভিন্ন স্থানে আনুষ্ঠানিক নবান্ন উৎসব উদযাপিত হয়।
১৯৯৮ সন থেকে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরে আনুষ্ঠানিকভাবে নবান্ন উৎসব উদযাপন শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের জাতীয় নবান্নোৎসব উদযাপন পর্ষদ প্রতিবছর পহেলা অগ্রহায়ণ তারিখে নবান্ন উৎসব উদযাপন করেন।

লেখকের মন্তব্য:-এই নিবন্ধটি ভগবান জগন্নাথের ঐশ্বরিক অনুপ্রেরণায় লেখা হয়েছে। যদি কেউ বা কোনও সংস্থা এই নিবন্ধের কোনও বিষয়বস্তুর সাথে একমত না হন  তবে তিনি বা তারা এটিকে দলিল প্রমাণ সহ মন্তব্যে উল্লেখ করতে পারেন এবং এটি সংশোধন করা হবে। ডকুমেন্টারি প্রমাণ এবং তথ্যের উৎস  ছাড়া এই বিষয়ে যে কোনও মন্তব্যকে উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং  অসাধু বলে গণ্য করা হবে 

সবাই ভালো থাকুন ,সুস্থ থাকুন। সমগ্র মানব জাতি ও জীব জন্তুর  কল্যাণ হোক। শান্তির জয় হোক,সত্যের জয় হোক,মানবতার জয় হোক ,সনাতন ধর্মের জয়  হোক। 🙏হে মা আমাকে শুধু জ্ঞান দাও ,ভক্তি দাও আর শক্তি দাও🙏





 লেখক পরিচিতি:-প্রবীর মহান্তী ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের  উৎকল ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।  প্রবীরের  বইগুলি Amazon.com. flipkart.com, abebooks.com এর মাধ্যমে বিক্রি হয়। গুগল ও অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন থেকে সার্চ করে এখনো পর্যন্ত ১২ লাখের বেশি লোক  প্রবীরের লেখা আর্টিকেল গুলি পড়েছেন।
Comment of Author:-This article has been penned under the divine inspiration of Lord Jagannath. If anybody or any organization doesn't agree with any content of this article, he or they may mention it in the comments with documentary evidence and it will be corrected. Any comments in this regard without documentary evidence and source of Information will be treated as mala fide and will be deleted.

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আরতি কি ? আরতি কি ভাবে করবেন ? সন্ধ্যা দেওয়ার নিয়ম কি ? পড়ুন এবং দেখুন ।

শ্রী শ্রী মা ষষ্ঠীদেবীর পূজা এবং তাঁর ধ্যান মন্ত্র,প্রণাম মন্ত্র ও ব্রত পালন ।

কলি যুগের অবসান/সমাপ্তি ও কল্কি অবতার - সত্য যুগের পুনঃপ্রতিষ্ঠা- সত্য,ত্রেতা,দ্বাপর,কলি এই চার যুগের সময়,পরিমাণ,বৈশিষ্ট্যসমূহ ও অবতার এবং যুগ পরিবর্তন ।