পোস্টগুলি

আত্মা ও মৃত্যু। মৃত্যুর পরে কি হয় ও আত্মার শান্তির জন্য কি করতে হয় ? আত্মার সাথে কি ভাবে যোগাযোগ করবেন ? পুনর্জন্মের বৃত্তান্ত -আত্মা ও গর্ভাধান ,পূর্বজন্মের কথা /বৃত্তান্ত কি ভাবে জানবেন ?

ছবি
                       জীবের অন্তিম প্রার্থনা আমার সাধ যে মিটিল, আশা যে পুরিল, শেষে সকলই হারাইয়া গেল, নাথ। জনমের শোধে ডাকি যে তোমারে, কোলে তুলে নিতে তুমি এসো, নাথ। এই দুঃখসাগরে কেউ ভাল বাসিতে জানে না, এই দুঃখসাগরে কেউ ভাল তো বাসে না। যেথা আছে শুধু ভালবাসাবাসি, সেথায় যেতে চায় এই  মন, নাথ। বড় দাগা পেয়ে বাসনা ত্যাগেছি, বড় জ্বালা সয়ে কামনা ভুলেছি। অনেক কেঁদেছি-আর কাঁদিতে পারি না, বুক ফেটে যায়, হে নাথ। কোলে তুলে নিতে তুমি এসো, নাথ। (নাথ অর্থঃ  শ্রী জগন্নাথ)                      জীবনের পরম সত্য। শরীর তো শুধু একটি বস্ত্র-মাত্র, যা সময় হলে হয়  পরিবর্তিত । যে বোঝে এই পরম তত্ত্ব, সে-ই জয় করতে পারে জীবন যুদ্ধ। ★ আত্মা কি ? পরমাত্মা কি ?  আত্মা বলতে সাধারণ অর্থে এমন এক সত্ত্বাকে বোঝানো হয়, যা অদৃশ্য এবং মানুষের শরীর ভিতরে  স্বাধীনভাবে বসবাস করে  ।  এই আত্মা কখনও জন্মান না বা মরেন না,অথবা একবার জন্মগ্রহন করে আবার জন্মাবেন না,-এমনও নয়...

ভারতবর্ষ নামটির উৎপত্তি এবং প্রাচীন ভারতবর্ষের দুই প্রধান রাজবংশ - সূর্য বংশ ও চন্দ্র বংশের ইতিহাস।

ছবি
সূর্য বংশ ও চন্দ্র বংশ পৌরাণিক ইতিহাস থেকে আমরা জানতে পারি প্রাচীন কালে  দুটি প্রধান শক্তিশালী ও ধনশালী রাজবংশ ভারতবর্ষে রাজত্ব করেছিলেন ।এই  রাজ বংশ দুটির নাম হল সূর্য বংশ এবং চন্দ্র বংশ। রামায়ণ মহাভারত এবং পুরাণ গুলিতে এই বংশ দুটির শৌর্য, পরাক্রম, এবং ধর্ম পালন এর কথা  বর্ণনা করা   হয়েছে। বিভিন্ন পুরাণে এই বংশ দুটির পরম্পরা দেওয়া আছে। পুরাণ গুলিতে একই বংশের বর্ণনায় কিছুটা তারতম্য দেখা যায় । এই বিভ্রান্তির প্রধান  কারণ হল এর প্রাচীনত্ব। তবে যারা ইতিহাসের মূল নায়ক তাদের নিয়ে কোন দ্বিমত নেই যেমন- দশরথের পুত্র রাম, বাসুদেব (বসুদেব) পুত্র কৃষ্ণ  ইত্যাদি । যাই হোক প্রথমে  সূর্য বংশের কথাতে যাই। সূর্য বংশ:-  প্রজাপতি কশ্যপের পৌত্র বিবস্বান (সূর্য) থেকে সূর্য বংশের উৎপত্তি। এই সূর্য বংশের প্রথম রাজা  হলেন ইক্ষ্বাকু। তিনি ছিলেন বৈবস্বত মনুর পুত্র। তিনি প্রথম অযোধ্যার সিংহাসনে বসেন। এই রাজ বংশ থেকে অনেক জগৎ বিখ্যাত এবং দিগ্বিজয়ী রাজা আমাদের দেশের শাসক ছিলেন । যেমন রাজা যুবনাশ্বের পুত্র– রাজা মান্ধাতা ।  বিষ্ণুপুরাণে মান্ধাত...

শ্রী শ্রী মা ষষ্ঠীদেবীর পূজা এবং তাঁর ধ্যান মন্ত্র,প্রণাম মন্ত্র ও ব্রত পালন ।

ছবি
ভগবান শ্রী শ্রী কার্তিকের ধর্মপত্নী দেবী দেবসেনা এবং দেবী বল্লী ।। মা ষষ্ঠীদেবী ।। ষষ্ঠী দেবী বা ষষ্ঠীঠাকুর হলেন  প্রজননের দেবী, দেবী ষষ্ঠী সন্তান দায়িনী,  তার কৃপায় নিঃসন্তান সন্তানবতী হ ন  এবং তিনিই সন্তানের রক্ষাকর্ত্রী মাতৃকা ,   তিনিই  সন্তান পালিনী দেবী , মঙ্গলদায়িনী প্রকৃতি। হিন্দু বর্ষ পঞ্জীর প্রতিমাসের  শুক্লাষষ্ঠী তিথিতে বিভিন্ন নামে ষষ্ঠীদেবী পূজিতা হন ।যেমন  জৈষ্ঠ মাসে: অরণ্যষষ্ঠী, শ্রাবণ মাসে: লুণ্ঠন বা লোটনষষ্ঠী, ভাদ্র মাসে :  মন্থনষষ্ঠী, আশ্বিন মাসে: দুর্গাষষ্ঠী বা বোধনষষ্ঠী, অগ্রহায়ণ মাসে: মূলাষষ্ঠী, পৌষ মাসে: পাটাইষষ্ঠী, মাঘমাসে   শীতলষষ্ঠী   বা   গোটাষষ্ঠী  বা শিলষষ্ঠী , চৈত্র মাসে: অশোকষষ্ঠী এবং নীলষষ্ঠী ইত্যাদি  । এছাড়া, শিশুর জন্মের দু'দিন পর 'সূতিকা ষষ্ঠী , ষষ্ঠ দিনে 'ঘাটষষ্ঠী', একুশদিনে ' একুশে ' এবং শিশুর বারো বছর বয়স পর্যন্ত প্রতি জন্মতিথিতে 'জল ষষ্ঠী' দেবীর পূজা  হয়ে থাকে। শীতল ষষ্ঠী  /শিলষষ্ঠী/ গোটাষষ্ঠী  :- মাঘ মাসে সরস্বতী...