পোস্টগুলি

2016 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ভীম একাদশী ও দক্ষিণ বঙ্গের ভৈম-একাদশীর ব্রত পালন।

ছবি
মাঘ মাসের শুক্লা একাদশীতে দক্ষিণ বঙ্গের একটি বহুপ্রচলিত গ্রাম্যরীতি হল ভৈম-একাদশীর ব্রত পালন । মহাভারতের ভীম এবং একাদশীর এই যোগসূত্র কি  সেই নিয়ে এই আলোচনা। যদিও এই বিষয়ে নানা মুনির নানা মত। তাই পশ্চিমবঙ্গে প্রচলিত একটি মতের  কথা উল্লেখ করছি।  হিন্দুঘরের বিধবা কুন্তী স্নান করে একাদশীর উপবাস করেন । মাঘ মাসের প্রচন্ড ঠান্ডায় পুকুরের ঠান্ডাজলে কেমন করে স্নান করবেন তা ভেবে পান না । কিন্তু সাতপাঁচ ভেবেও ঐ ঠান্ডা জলে তাঁকে নামতে হ'ল । স্নান সেরে ঠান্ডায় কাঁপতে কাঁপতে কুন্তী ঘরের দিকে আসার পথে তাঁর মধ্যমপুত্র ভীমের সাথে দেখা হল । ঠান্ডায় কাবু মা'কে দেখে শীতের ওপর ভীমের খুব রাগ হ'ল  । মায়ের কষ্ট তাঁর সহ্য হচ্ছিল না। তখন ভীম লাঙ্গল থেকে ফাল খুলে নিয়ে আগুণে কশকশে করে গরম করে "জয় শ্রী কৃষ্ণ" বলে সেই লাঙ্গলের ফালকে পুকুরের ঠান্ডা জলে ডুবিয়ে দিলেন । আর দেখতে দেখতে যেন শীত পালিয়ে গেল। পান্ডবসখা শ্রী কৃষ্ণ ভক্ত ভীমের মনস্কামনা পূর্ণ করলেন । হঠাৎ ভীম মায়ের দিকে চেয়ে দেখেন, কুন্তী খুব আরাম বোধ করছেন । এদিকে জলের দেবতা হলেন বরুণদেব। পুকুরের জলে আগুনে গরম লাঙলে...

দেবশিল্পী বিশ্বকর্মা ।

ছবি
বিশ্বকর্মা। বিষ্ণু পুরাণ মতে,বিশ্বকর্মা একজন দেবশিল্পী। তাঁর মাতার নাম যোগসিদ্ধা  পিতার নাম প্রভাষ। প্রভাষ হচ্ছেন অষ্ট বসুর মধ্যে সপ্তম বসু। অষ্টবসু মানে আটজন গণদেবতা। তাঁরা হলেন ধর, ধ্রুব, সোম,অনিল, অনল, প্রত্যুষ, প্রভাষ ও দ্যু। এই অষ্টবসু দক্ষরাজার কন্যা বসুর পুত্র । হিন্দু  শাস্ত্রে নয় শ্রেণীর গণদেবতার উল্লেখ রয়েছে । এদের মধ্যে অষ্টবসু অন্যতম ।অন্যরা হলেন নিম্নরুপঃ  ১.আদিত্য ১২ জন, ২. বিশ্বদেব ১০ জন, ৩. বসু ৮ জন, ৪. তুষিত ৩৬ জন, ৫. আভাশ্বর ৬৪ জন, ৬. অনিল ৪৯ জন, ৭. মহারাজিক ২২০ জন, ৮.সাধ্য ১২ জন ও ৯. রুদ্র ১১ জন। নয় শ্রেণীর গণদেবতা সকলেই শিবের অনুচর। এই নয় শ্রেণীর গণদেবতার নেতা হচ্ছেন গণেশ। বিশ্বকর্মার মাতার নাম যোগসিদ্ধা। যোগসিদ্ধা হচ্ছেন দেবগুরু বৃহস্পতির বোন।বৃহস্পতি ও শুক্র দুই ভাই। ব্রহ্মা তনয় কশ্যপ ঋষির ঔরসে অদিতির গর্ভের সন্তান বৃহস্পতি এবং কশ্যপ ঋষির ঔরসে দিতির গর্ভের সন্তান শুক্র। বৃহস্পতি দেবতাদের গুরু এবং শুক্র অসুরদের গুরু। দেবতা ও অসুর কোন পৃথক জাতি নয়। মহাভারত ও পুরাণ মতে,তারা একই পিতার ঔরসজাত সন্তান। কশ্যপের অপর পত...

আরতি কি ? আরতি কি ভাবে করবেন ? সন্ধ্যা দেওয়ার নিয়ম কি ? পড়ুন এবং দেখুন ।

ছবি
আরতি বা আরাত্রিক :- আরতির অর্থ হল-পূর্ণ প্রেম। দেবতার প্রতিকৃতির সম্মুখে প্রদীপ, জলপূর্ণ শঙ্খ, বস্ত্র, পুষ্প এবং চামরাদি আবর্তনে দেবতাকে প্রীত ও সংবর্ধিত করবার যে অনুষ্ঠান তাকেই আরতি বা আরাত্রিক বলে।আরাত্রিকের অপর নাম 'নীরাজন', প্রচলিত ভাষায় বলে আরতি। দেবদেবীর আরতি  করলে,দেবদেবীর পূজার  মধ্যে যদি কোন ত্রুটি থেকে যায় তাহা দূর হয় এবং পূজা  ফলবতী  হয়।  দেবদেবীর আরতি অন্তরের ভক্তি দিয়ে করলে, যে কোন পূজা তা মন্ত্রবর্জিত হোক আর ক্রিয়াবর্জিত হোক, ফলবতী হবেই। যে ব্যক্তি নিষ্কাম কর্ম করেন  এবং নীরাজন দ্বারা শ্রীভগবানের পূজা করেন ,তিনি ইহলোক এবং পরলোক উভয় লোকে থেকেই  মুক্তিপ্রাপ্ত হন। ভক্তিনীতি: বাহ্যা ভক্তির্দুরাচারঃ, অন্তর্ভক্তিঃ সদাচারঃ। অন্তর্ভক্ত্যা আত্মশুদ্ধিঃ, আত্মশুদ্ধ্যা ঈশ্বরপ্রাপ্তিঃ॥  যিনি শঙ্খ, চক্র, গদা, পদ্ম ধারী ভগবান বিষ্ণুর আরাত্রিক ভক্তিচিত্তে দর্শন করেন, তিনি তাঁর পরম পদ লাভ করেন। আচমন, প্রাণায়াম, বিভিন্ন প্রকার শুদ্ধি এবং ন্যাসাদি যে-অর্থে পূজার অঙ্গীভূত অবশ্য করণীয় অনুষ্ঠান, আরতি ঠিক সেই অর্থে পূজাঙ্গীভূত অবশ্য করণী...

The Origin of Durgā Worship : দেবী দুর্গা এবং তাঁর বিভিন্ন রূপ। দুর্গাপূজা প্রথম কোথায় শুরু হয়েছিল ? বাংলার ও বাঙালির দুর্গাপূজা।

ছবি
                                                ওঁ মা দুর্গা। ত্বমেব পরমাত্মিকা, ত্বমেব মহালক্ষ্মীঃ, ত্বমেব যোগমায়ী। জীবসত্ত্বস্য পালনং পোষণং ধারণং রক্ষণং চ সর্বং ত্বমেব ভাবসি॥ Yogamāyā and the Origin of Durgā Worship The Parabrahma (Supreme Being) creates Yogamāyā according to His divine will. Yogamāyā is thus the Śakti (Power) of Lord Viṣṇu and is Mātā Prakṛti ( Mother Nature ) Herself. In the limitless expanse of countless universes, apart from Lord Śrī Hari Nārāyaṇa , no one possesses a Māyā (divine power) like Hers. She is known as Yogamāyā. In Vaiṣṇava tradition, She is worshipped as Nārāyaṇī, while the Śāktas (followers of Śakti) worship Her as the Ādiśakti, the Primordial Energy . This very goddess Yogamāyā is later described in the Purāṇas and Upapurāṇas as Devī Durgā. Mother Durgā She is Mahāmāyā Sanātanī — the eternal, supreme manifestation of divine...