বিশ্বকর্মা ও বিশ্বকর্মা পূজার বিধি ।


বিশ্বকর্মা। বিষ্ণু পুরাণ মতে,বিশ্বকর্মা একজন দেবশিল্পী। তাঁর মাতার নাম যোগসিদ্ধা  পিতার নাম প্রভাষ। প্রভাষ হচ্ছেন অষ্ট বসুর মধ্যে সপ্তম বসু। অষ্টবসু মানে আটজন গণদেবতা। তাঁরা হলেন ধর, ধ্রুব, সোম,অনিল, অনল, প্রত্যুষ, প্রভাষ ও দ্যু। এই অষ্টবসু দক্ষরাজার কন্যা বসুর পুত্র । হিন্দু  শাস্ত্রে নয় শ্রেণীর গণদেবতার উল্লেখ রয়েছে । এদের মধ্যে অষ্টবসু অন্যতম ।অন্যরা হলেন নিম্নরুপঃ 

১.আদিত্য ১২ জন,

২. বিশ্বদেব ১০ জন,

৩. বসু ৮ জন,

৪. তুষিত ৩৬ জন,

৫. আভাশ্বর ৬৪ জন,

৬. অনিল ৪৯ জন,

৭. মহারাজিক ২২০ জন,

৮.সাধ্য ১২ জন ও

৯. রুদ্র ১১ জন।

নয় শ্রেণীর গণদেবতা সকলেই শিবের অনুচর। এই নয় শ্রেণীর গণদেবতার নেতা হচ্ছেন গণেশ।
বিশ্বকর্মার মাতার নাম যোগসিদ্ধা। যোগসিদ্ধা হচ্ছেন দেবগুরু বৃহস্পতির বোন।বৃহস্পতি ও শুক্র দুই ভাই। ব্রহ্মা তনয় কশ্যপ ঋষির ঔরসে অদিতির গর্ভের সন্তান বৃহস্পতি এবং কশ্যপ ঋষির ঔরসে দিতির গর্ভের সন্তান শুক্র। বৃহস্পতি দেবতাদের গুরু এবং শুক্র অসুরদের গুরু। দেবতা ও অসুর কোন পৃথক জাতি নয়। মহাভারত ও পুরাণ মতে,তারা একই পিতার ঔরসজাত সন্তান। কশ্যপের অপর পত্নী দনুর গর্ভজাত সন্তান দানব। দেবতাদের সন্তান প্রসব একটি জ্যোতি মাত্র। এই জ্যোতি নাভি স্পর্শ হলেই সঙ্গে সঙ্গে সন্তান প্রসব হয়। 
 ঋকবেদে উল্লেখ আছে যে,বিশ্বকর্মা সর্বদর্শী ভগবান। তাঁর চক্ষু, মুখমন্ডল, বাহু ও পদদ্বয় সর্বদিক ব্যাপিয়া রয়েছে। বাহু ও পদদ্বয়ের সাহায্যে তিনি স্বর্গ, মর্ত্য ও পাতাল অর্থাৎ ত্রিভুবন নির্মাণ করেছেন।বিশ্বকর্মা শিল্প সমূহের প্রকাশক,অলঙ্কারের স্রষ্টা এবং দেবতাদের বিমান ও রথ নির্মাতা। তাঁর অশেষ কৃপায় মানবজাতি শিল্প কলায় পারদর্শিতা লাভ করেছে। উপবেদ, স্থাপত্যবেদ এর রচয়িতা এবং চতুঃষষ্ঠী কলার অধিষ্ঠাতা হচ্ছেন বিশ্বকর্মা।
তিনি প্রাসাদ, ভবন, উদ্যান প্রভৃতির শিল্প প্রজাপতি। বিশ্বকর্মা কেবল দেবশিল্পীই নন,তিনি দেবতার অস্ত্রাদিও নির্মাণ  করেছেন। সকল আগ্নেয়াস্ত্র তাঁরই নির্মিত। মহাভারত মতে তিনি শিল্পের শ্রেষ্ঠকর্তা, সহস্র শিল্পের আবিষ্কারক এবং সর্বপ্রকার কারুকার্য নির্মাতা।
পুরাণ অনুসারে বিশ্বকর্মা রাক্ষসপুরী লঙ্কা নগরীর নির্মাতা। নল নামধারী বানর বিশ্বকর্মার পুত্র।  বিশ্বকর্মা দেবতাদের পুষ্পক রথের নির্মাতা, আগ্নেয়াস্ত্রের স্রষ্টা, শ্রীবিষ্ণুর সুদর্শন চক্র, শিবের ত্রিশূল, লক্ষ্মীর কোষাধ্যক্ষ, কুবেরের কুবের পাস, পঞ্চপান্ডবের ইন্দ্রপ্রস্থ নগরী তৈরি এবং শ্রী ক্ষেত্রে প্রসিদ্ধ জগন্নাথের বিগ্রহ নির্মাতা, সহস্র শিল্প বিদ্যার অধিকারী বিশ্বকর্মা যবিষ্ঠ বা অগ্নিরূপে বর্ণিত। 
 তাঁর হস্তীবাহন মূর্তির হাতে হাতুড়ির সঙ্গে মশালও রয়েছে । বিশ্বকর্মা সৃষ্টিশক্তির রূপক নাম। তিনি ধাতা, বিশ্বদ্রষ্টা ও প্রজাপতি। তিনি পিতা, সর্বজ্ঞ দেবতাদের নামদাতা এবং মর্ত্যজীবের অনধিগম্য।বিশ্বকর্মা সর্বমেধ যজ্ঞে নিজেকে নিজের কাছে বলি দিয়েছেন। তিনি বাচস্পতি, বদান্য, কল্যাণ কর্মা ও বিধাতা। কোন এক পুরাণ মতে, বিশ্বকর্মা বৈদিক ত্বষ্টা দেবতাদের কর্মশক্তিও আত্মসাৎ করেছিলেন। এইজন্য তিনি ত্বষ্টা নামেও অভিহিত। বৈদিক দেবতা ত্বষ্টার বিভিন্ন গুণ ছিল। বিশ্বকর্মা নিজেরকন্যা সূর্যা সংজ্ঞা( সূর্যা ) সূর্যের সঙ্গে বিবাহ দেন। রামায়ণ ও মহাভারত মতে, সূর্য হচ্ছেন  কশ্যপ ঋষির ঔরসে অদিতির গর্ভের সন্তান। অদিতির নাম অনুসারে সূর্যের আরেক নাম আদিত্য। সূর্যা ( সংজ্ঞা ) সূর্যের প্রখর তাপ সহ্য করতে পারেন নাই, তাই সংজ্ঞার পিতা বিশ্বকর্মা শান চক্র স্থাপনকরে সূর্যের উজ্জ্বলতার এক অষ্টমাংশ কর্তন করেন। এই কর্তিত অংশ পৃথিবীর ওপর পতিতহলে উক্ত অংশের দ্বারা বিশ্বকর্মা দেবতাদের বিভিন্ন অস্ত্র তৈরি করে দিয়েছেন। 
বিশ্বকর্মা পূজা
বিশ্বকর্মা পূজা ভাদ্র সংক্রান্তিতে অনুষ্ঠিত হয়। ভাদ্র সংক্রান্তিতেই কেন তার পূজা করা হয় এ সম্পর্কে বৃহৎ সংহিতাতে উল্লেখ রয়েছে,গ্রীষ্মের শেষে সূর্য মেঘ রচনা করে কর্মের মাধ্যমে বিশ্বের কর্ম অর্থাৎ কৃষি সংরক্ষণ করেন। তাই তিনি হচ্ছেন বিশ্বকর্মা। ভাদ্র মাসের শেষের দিকে বর্ষা শেষ হয়ে যায়।তখন কৃষি কর্মের পূর্ণতা হয় এবং তখন কৃষকেরা ফসলের জন্য প্রতিক্ষা করেন। তাই সেই কর্ম ক্ষান্তিতে অর্থাৎ ভাদ্র মাসের সংক্রান্তিতে তাঁকে পূজা করে কৃতজ্ঞতা নিবেদন করেন। এমতাবস্থায় দেখা যায়,বিশ্বকর্মা শুধু শ্রমিকের নয়, কৃষকদেরও উপাস্য দেবতা। বিশ্বকর্মা শুধু দেবশিল্পী নন, তিনি মর্ত্যবাসী মানবদেরও শিল্প প্রজাপতি। তাঁর আশীর্বাদে মর্ত্যবাসীগণ শিল্পকাজে যথেষ্ট পারদর্শী হয়েছেন। তিনি বর্তমান শ্রীলঙ্কা নগরীর নির্মাতা এবং পঞ্চপান্ডবের প্রাসাদও নির্মাণ করেছেন। তাই দেবশিল্পী বিশ্বকর্মাকে পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তারূপে আখ্যায়িত করা হয়েছে। ঋকবেদেও বিশ্বকর্মাকে সর্বদর্শী ভগবান বলা হয়েছে।

বিশ্বকর্মা যে শুধু কর্মে সুদক্ষ তা নয়, তিনি বেশ কিছু গ্রন্থও লিখে রেখে গেছেন উত্তরসূরীদের জন্য। বিশ্বকর্মার রচিত স্থাপত্যশিল্প বিষয়ক গ্রন্থটির নাম “বাস্তুশাস্ত্রম”। “মানসার” এবং “ময়মতম” গ্রন্থে বস্তু ও বাস্তু শব্দদুটিকে সমার্থক হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে। ‘বস্তু’ শব্দ থেকে ‘বাস্তু’ কথাটা এসেছে। ‘বাস্তু’ শব্দের অর্থ পৃথিবী। ব্যাপক অর্থে সমস্ত প্রাণীর আবাসস্থলই বাস্তু। অর্থাৎ, স্রষ্টার যে-কোনো সৃষ্টিই বাস্তু। কাজেই শুধু পরিকল্পিত মনুষ্যগৃহই নয়, দেবতা থেকে শুরু করে পৃথিবীর সমস্ত প্রাণীর আবাসকেই বাস্তু বলে। বাস্তুশাস্ত্রে বাস্তু শব্দের অর্থ ব্যাপক। এই শিল্পকে নির্মাণ শিল্পকে না-বুঝিয়ে পরিকল্পনা, নির্মাণ, চিত্র, অলংকরণ, স্বর্ণ-চর্ম-বয়নশিল্প, অস্ত্রশিল্প, পোতনির্মাণ, মূর্তিনির্মাণ প্রভৃতি ক্ষেত্রে পরিব্যাপ্ত আছে।

পুরাণে উল্লেখ আছে, চারটি বেদের মতো চারটি উপবেদও আছে। উপবেদগুলি হল আয়ুর্বেদ, ধনুর্বেদ, গান্ধর্ববেদ এবং স্থাপত্যবেদ। এই স্থাপত্যবেদ উপবেদ বা স্থাপত্যবিদ্যা বা বাস্তুবিদ্যার রচয়িতা হলেন বিশ্বকর্মা। বলা হয় তিনি বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের প্রধান বাস্তুকার। তাঁর রচিত অন্তত দশখানি পুথি এ পর্যন্ত পাওয়া গেছে। অন্যদিকে মৎস্যপুরাণের ২৪২ থেকে ২৪৭ অধ্যায়, অগ্নিপুরাণের ১০৪ থেকে ১০৬ অধ্যায়, গরুড়পুরাণের ৪৬ থেকে ৪৭ অধ্যায়, ভবিষ্যপুরাণ, বিষ্ণুধর্মোত্তর পুরাণের তৃতীয় খণ্ড, বিভিন্ন আগম, শুক্রনীতিসারের চতুর্থ অধ্যায়, বৃহসংহিতা, গৃহ্যসূত্র, অর্থশাস্ত্র প্রভৃতিতে বাস্তুশাস্ত্রের আলোচনা পাওয়া  যায় । ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে মহামহোপাধ্যায় গণপতিশাস্ত্রী বাস্তুবিদ্যা বা বাস্তুশাস্ত্রম গ্রন্থটি আবিষ্কার করে মুদ্রিত করেন। বিশ্বকর্মার নামে প্রচলিত বাস্তুশাস্ত্রটির নাম “বিশ্বকর্মাবাস্তুশাস্ত্রম”। আর্যাবর্তের শিল্পধারা বিশ্বকর্মার দ্বারা প্রবর্তিত বলে মনে করা হয়। বিশ্বকর্মার “বাস্তুশাস্ত্রম”-এর প্রথমেই বলা হয়েছে, জগতের কল্যান কামনায় এই শাস্ত্র প্রচার করছেন – “বাস্তুশাস্ত্রং প্রবক্ষ্যামি লোকানাং হিতকাম্যয়া”। বিশ্বকর্মার নামে এরকম গ্রন্থ অন্ততপক্ষে দশটি পাওয়া গেছে।

কী আছে “বাস্তুশাস্ত্রম” গ্রন্থটিতে? সুপরিকল্পিতভাবে গৃহনির্মাণ, গ্রাম ও নগরের পত্তনের নিয়মাবলি এবং বিধিনিষেধ তাঁর গ্রন্থটিতে পাওয়া যায়।
বিশ্বকর্মা রচিত এই গ্রন্থে গৃহ, মন্দির, গ্রাম, নগর, যন্ত্র প্রভৃতির বর্ণনা দেখতে পাওয়া যায়। এই গ্রন্থের প্রধান আলোচ্য বিষয় হল – (১) সর্বপ্রথম গৃহারম্ভের কাল পরীক্ষা, উপকরণ সংগ্রহ, জমি পরীক্ষা, বিভিন্ন দিক নির্ণয়, ভবন লক্ষণ প্রভৃতি বিভিন্ন পরিচ্ছেদে আলোচিত হয়েছে। (২) বাসযোগ্য গৃহ ছাড়াও বিদ্যালয়, চিকিৎসালয়, সর্বসাধারণের ব্যবহার্য গৃহ, পাকশালা, শৌচাগার, পুষ্করিণী, উদ্যান প্রভৃতি কোনদিকে থাকবে, আলো-বাতাস প্রবেশের কীরকম হবে, সবই সুন্দরভাবে আলোচিত হয়েছে। (৩) বিশ্বকর্মার খ্যাতি পুরাণাদিতে দেবশিল্পী হিসাবে পাওয়া যায়। বিভিন্ন মন্দির ও তার উপকরণ প্রভৃতির বিস্তৃত আলোচিত হয়েছে। মন্দিরের কাজে ব্যবহারের জন্য আট প্রকার কাঠ এবং সাধারণ গৃহস্থদের গৃহনির্মাণের জন্য তেইশ প্রকারের কাঠের ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। কাঠগুলি কাটার পর পনেরো দিন জলের মধ্যে ভিজিয়ে রাখলে তাতে পোকা ধরবে না। এই প্রসঙ্গে বিশ্বকর্মা লিখেছেন – “কাষ্ঠং নো ভক্ষ্যতে কীটের্যদি পক্ষং ধৃতং জলে”।(৪) দেওয়ালের প্রস্থ ও উচ্চতা, ভিতের গভীরতা, দরজা ও জানালার পৃথক পৃথক মাপের বর্ণনাও এই গ্রন্থটিতে পাওয়া যায়।ভারতীয় স্থাপত্যশিল্পের ইতিহাসে বিশ্বকর্মার “বাস্তুশাস্ত্রম” গ্রন্থটি এক অমূল্য সম্পদ ।


বিশ্বকর্মা পূজা বিধি (সংক্ষিপ্ত)

আচমন 
গরুর কানের ন্যায় হাতের তেলো করে, ডান হাতের বুড়ো আঙ্গুলের গোড়ায় মাষকলাই ডুবতে পারে এমন পরিমাণ জল নিয়ে ‘ওঁ বিষ্ণু’ মন্ত্রে তিনবার জল পান করে,
 হাত ধুয়ে হাত জোড় করে পাঠ করবেন :
ওঁ তদ্বিষ্ণোঃ পরমং পদং সদা পশ্যন্তি সূরয়ঃ
দিবীব চক্ষুরাততম্ ।
 ওঁ বিষ্ণুঃ ওঁ বিষ্ণুঃ ওঁ বিষ্ণুঃ ।
ওঁ অপবিত্রঃ পবিত্রো বা সর্বাবস্থাং গতোহপি বা
যঃ স্মরেৎ পুণ্ডরীকাক্ষং স বাহ্যাভ্যন্তরঃ শুচিঃ।
গন্ধাদির অর্চনা-
 ‘ওঁ এতেভ্যো গন্ধাদিভ্যো নমঃ’ -মন্ত্রে পুষ্পপাত্রে সাজানো গন্ধ ও পুষ্পাদিতে  জলের দ্বারা তিনবার প্রোক্ষণ ( চিৎ হাতে জলের ছিটা ) করবেন। 
পরে গন্ধপুষ্প নিয়ে 
‘ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে এতেভ্যো গন্ধাদিভ্যো নমঃ’ বলে পুষ্পপাত্রে দিবেন
 অতঃপর হাতে এক একটি গন্ধপুষ্প নিয়ে নিচের এক একটি মন্ত্র বলে বলে গন্ধপুষ্প তাম্রকুণ্ডে দিয়ে দিয়ে পূজা করবেন-
‘ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে এতদধিপতয়ে দেবায় শ্রীবৈষ্ণবেই নমঃ’;
‘ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে এতৎসম্প্রদানেভ্যঃ পূজনীয়দেবতাভ্যো নমঃ’;
‘ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে শ্রীগুরবে নমঃ’;
‘ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে গণেশাদিপঞ্চদেবতাভ্যো নমঃ’;।
‘ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে নমো নারায়ণায় নমঃ’;
‘ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে ব্রাহ্মণেভ্যো নমঃ’।
 ৩)সূর্যার্ঘ্য- 
 কুশীতে জল, রক্তপুষ্প, রক্তচন্দন, আতপ চাল, যব, তিল, সরিষা, কুশের অগ্র ও দুর্বা নিয়ে নিম্নোক্ত মন্ত্রে নিবেদন করবেন : ‘ওঁ নমো বিবস্বতে ব্রহ্মন্  ভাস্বতে বিষ্ণুতেজসে।
জগৎসবিত্রে শুচয়ে সবিত্রে কর্মদায়িনে।
এষোহর্ঘ্যঃ শ্রীসূর্যায় নমঃ।।
এই অর্ঘ্যটি কপালে স্পর্শ করে সূর্যদেবের উদ্দ্যেশে তাম্রটাটে প্রদান করবেন, তৎপরে কৃতাঞ্জলি হয়ে  পাঠ করবেন,
প্রনাম – ওঁ জবাকুসুমসঙ্কাশং কাশ্যপেয়ং মহাদ্যুতিম্ ।ধান্তারিং সর্বপাপঘ্নং প্রণতোহস্মি দিবাকরম্ ।
স্বস্তিবাচন- 
তাম্রপাত্রে (কুশীতে) পুষ্প ও আতপ চাল নিয়ে বাম করতলে রেখে ডান হাতের করতল দিয়ে আচ্ছাদন করে পাঠ –
‘ওঁ কর্তব্যেহস্মিন্ গনেশাদি নানা দেবতা পূজা পূর্বক  শ্রী বিশ্বকর্ম্মন পূজাকর্মণি ওঁ পুণ্যাহং ভবন্তো ব্রুবন্তু’। 
পরে ‘ওঁ পুণ্যাহং’ তিনবার বলতে বলতে ঘণ্টাবাদনপূর্বক আতপ চাল ছড়াবেন।
‘ওঁ কর্তব্যেহস্মিন্ গনেশাদি নানা দেবতা পূজা পূর্বক  শ্রী বিশ্বকর্ম্মন পূজাকর্মণি  ওঁ স্বস্তি ভবন্তো ব্রুবন্তু’। 
পরে ‘ওঁ স্বস্তি’ তিনবার বলতে বলতে ঘণ্টাবাদনপূর্বক আতপ চাল ছড়াবেন।
‘ওঁ কর্তব্যেহস্মিন্ গনেশাদি নানা দেবতা পক  শ্রী বিশ্বকর্ম্মন পূজাকর্মণি  ওঁ ঋদ্ধিং ভবন্তো ব্রুবন্তু’। পরে ‘ওঁ ঋদ্ধ্যতাম্’ তিনবার বলতে বলতে ঘণ্টাবাদনপূর্বক আতপ চাল ছড়াবেন।  
স্বস্তিসুক্ত(যজুর্বেদীয়)-
নিম্নোক্ত মন্ত্রপাঠ ও ঘণ্টাবাদনসহ আতপ চাল ছড়াবেন।
 ওঁ স্বস্তি ন ইন্দ্রো বৃদ্ধশ্রবাঃ স্বস্তি নঃ পূষা বিশ্ববেদাঃ ।স্বস্তি নস্তার্ক্ষো অরিষ্টনেমিঃ স্বস্তি নো বৃহস্পতির্দধাতু।
ওঁ স্বস্তি ওঁ স্বস্তি ওঁ স্বস্তি।
(অব্রাক্ষন গন ওঁ স্থলে নমঃ বলবেন)
সঙ্কল্প- 
তাম্রপাত্রে ( কুশীতে )  তিনটি কুশ, তিল, তুলসী,  হরিতকী, গন্ধ, পুষ্প, আতপ চাল ও জল নিয়ে   পূর্বমুখী ( বা উত্তরমুখী ) বসবে। বাম করতলে কুশী স্থাপন করে দক্ষিণ  করতল দ্বারা আচ্ছাদনপূর্বক পাঠ করবেন ।
“বিষ্ণুরোম্ তৎসদদ্য ভাদ্র  মাসি অমুকপক্ষে অমুকতিথৌ ষড়শীতি সংক্রান্ত্যাং অমুক গোত্রস্য শ্রীঅমুকদেবশর্মা ( পরার্থে- অমুকগোত্রস্য অমুকদেবশর্মণঃ / দাসস্য) [অমুকগোত্রঃ শ্রীঅমুকঃ (যজমানের গোত্র ও নাম)]সিল্পনৈপুন্যাদি পূর্ব্বক-শ্রীবিশ্বকর্ম্ম প্রীতিকা গণপত্যাদি নানাদেবতা পুজাপূর্ব্বক শ্রীবিশ্বকর্ম্ম পূজাকর্ম অহং করিষ্যে
( পরার্থে- করিষ্যামি )।
পরে হাতের পাত্রটি ঈশান কোণে উপুড় করবেন
সঙ্কল্পসূক্ত(যজুর্বেদীয়)- 
নিম্নোক্ত মন্ত্রে  পাত্রটির ওপর  চাল ছড়াবে এবং ঘণ্টা বাজাবেন-
ওঁ যজ্জাগ্রতো দূরমুদৈতি দৈবং তদু সুপ্তস্য তথৈবৈতি।
দূরঙ্গমং জ্যোতিষাং জ্যোতিরেকং তন্মে মনঃ শিবসঙ্কল্পমস্তু। ওঁ অস্য সঙ্কল্পিতার্থস্য সিদ্ধিরস্তু। ওঁ অয়মারম্ভ শুভায় ভবতু।।
ঘটস্থাপন-(যজুর্বেদীয়) 
 হাত জোড় করে পাঠ করবেন,
ওঁ সর্বতীর্থোদ্ভবং বারি সর্বদেবসমন্বিতম।
ইমং ঘটং সমারুহ্য তিষ্ঠ তিষ্ঠ দেব গণৈঃ সহ।
ঘটস্পর্শ করে পাঠ করবেন- 
ওঁ স্থাং স্থীং স্থিরো ভব বিড্বঙ্গ আশুর্ভব বাজ্যর্ব্বন্ পৃথুর্ভব সুষদস্ত্বমগ্নেঃ পুরীষবাহণঃ। 
অতঃপর ব্রাক্ষন গন বৈদিক গায়েত্রী পাঠ করবেন
সামান্যার্ঘ্যস্থাপন- 
নিজের সামনে একটু বামদিকের ভূমিতে উর্ধমুখ ত্রিকোণ বৃত্ত ও চতুর্ভুজ মণ্ডল এঁকে তদুপরি পূজা করবেন-
ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে আধারশক্তাদিভ্যো নমঃ।
পরে ‘ফট্’ মন্ত্রে কোশা ধুয়ে মণ্ডলোপরি স্থাপন করে ‘নমঃ’ মন্ত্রে জলপূর্ণ করবেন এবং ‘ওঁ’ মন্ত্রে কোশার অগ্রভাগে একটি অর্ঘ্য (বিল্বপত্র, গন্ধপুষ্প, দুর্বা ও আতপ চাল) সাজিয়ে দিবে। ‘ওঁ’ মন্ত্রে দূর্বা, অক্ষত বিল্বপত্র, চন্দন, পুষ্প, তুলসীপত্র, আতপ চাল কোশার জলে নিক্ষেপ করবেন। 
পরে অঙ্কুশ মুদ্রায় জল স্পর্শ করে নিম্নোক্ত মন্ত্রে সূর্যমণ্ডল হতে তীর্থ আবাহন করবেন-
ওঁ গঙ্গে চ যমুনে চৈব গোদাবরি সরস্বতি।
নর্মদে সিন্ধু কাবেরি জলেহস্মিন্ সন্নিধিং কুরু।।
অতঃপর 
‘ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে তীর্থেভ্যো নমঃ’ মন্ত্রে জলে তীর্থপূজা করে
‘হূঁ’ মন্ত্রে অবগুণ্ঠন মুদ্রা ও 
‘বং’ মন্ত্রে ধেনুমুদ্রা প্রদর্শনপূর্বক 
মৎস্যমুদ্রায় জল আচ্ছাদন করে 
১০ বার ‘ওঁ’ মন্ত্র জপ করবেন
এরপর সামান্যার্ঘ্যের জল নিজের মাথায় ও দ্বারদেশে ছিটিয়ে দিয়ে দ্বারদেবতার পূজা করবেন।
দ্বারদেবতাপূজা- 
ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে দ্বারদেবতাভ্যো নমঃ(নৈঋতকোণে);
 তাম্রকুণ্ডে- 
ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে ব্রহ্মণে নমঃ;
 ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে বাস্তুপুরুষায় নমঃ
ভূতাপসারণ- 
‘ওঁ অস্ত্রায় ফট্’ মন্ত্রে আতপ চালে সাতবার জপ করে তা ঘন্টাবাদন করতে করতে নিম্নোক্ত মন্ত্রে নারাচ মুদ্রায় (অঙ্গুষ্ঠ ও তর্জনী যোগে) চারদিকে ছড়াবেন-
ওঁ সর্ববিঘ্নানুৎসারয় হূঁ ফট্ স্বাহা।
ওঁ অপসর্পন্তু তে ভূতা যে ভূতা ভুবি সংস্থিতাঃ।
যে ভূতা বিঘ্নকর্তারস্তে নশ্যন্তু শিবাজ্ঞয়া।।
আসনশুদ্ধি- 
স্ববামে আসনের নিম্নবর্তী ভূমিতে ত্রিকোণ মণ্ডল এঁকে 
‘ওঁ হ্রীঁ এতে গন্ধপুষ্পে আধারশক্ত্যাদিভ্যো নমঃ’ –মন্ত্রে গন্ধ পুষ্পে মণ্ডল পূজা করবেন। 
অতঃপর আসন স্পর্শ করে পাঠ করবেন- 
‘ওঁ অস্য আসনোপবেশনমন্ত্রস্য মেরুপৃষ্ঠ ঋষিঃ সুতলং ছন্দঃ কূর্মো দেবতা আসনোপবেশনে বিনিয়োগঃ’।
 পরে কৃতাঞ্জলিপূর্বক পাঠ-
ওঁ পৃথ্বি ত্বয়া ধৃতা লোকা দেবি ত্বং বিষ্ণুনা ধৃতা।
ত্বঞ্চ ধারয় মাং নিত্যং পবিত্রং কুরু চাসনম্ ।।
অতঃপর আসনের উপর ত্রিকোণ মণ্ডল এঁকে
 ‘হ্রীঁ এতে গন্ধপুষ্পে আধারশক্তয়ে কমলাসনায় নমঃ’- মন্ত্রে ঐ মণ্ডল গন্ধপুষ্প দ্বারা পূজা করবেন।
 গুরুপ্রণাম-
হাত জোড় করে প্রণাম করবেন।
বামকর্ণোর্ধ্বে- ঐঁ গুরুভ্যো নমঃ; 
তদূর্ধ্বে- ঐঁ পরমগুরুভ্যো নমঃ; 
তদূর্ধ্বে- ঐঁ পরাপরগুরুভ্যো নমঃ; 
তদূর্ধ্বে- ঐঁ পরমেষ্ঠিগুরুভ্যো নমঃ; দক্ষিণকর্ণোর্ধ্বে- ওঁ গণেশায় নমঃ; 
মধ্যে অর্থাৎ ললাটে বা হৃদয়ে –
ওঁ বাং বিশ্বকর্মনে নমঃ ।।
করশুদ্ধি-
 ‘হেঁসৌঃ’ মন্ত্রে একটি সচন্দন রক্তবর্ণ পুষ্প নিয়ে ‘আং হূং ফট্ স্বাহা’ মন্ত্রে উভয় করতল দিয়ে মর্দন করে 
বাম হাতের 
নারাচ মুদ্রায় সেই ফুলটিকে মাথার চারদিকে 
‘ক্লীং’ মন্ত্রে ঘুরিয়ে
 ‘ঐং’ মন্ত্রে ঘ্রাণ নিয়ে ‘ফট্’ মন্ত্রে ঈশানকোণে নিক্ষেপ করবেন।
পুষ্পশুদ্ধি-
 ‘ওঁ শতাভিষেক হূঁ ফট্ স্বাহা’ মন্ত্রে পুষ্পে জলের ছিটা দিয়ে
 ‘ওঁ পুষ্পে পুষ্পে মহাপুষ্পে সুপুষ্পে পুষ্পসম্ভবে পুষ্পচয়াবকীর্ণে চ হূঁ ফট্ স্বাহা’ মন্ত্রে পুষ্প স্পর্শ করে শোধন করবেন।
ত্রিবিধ বিঘ্নাপসারণ ও দিগবন্ধন
দিব্যবিঘ্নাপসারণ-
 ‘ওঁ বাং’ মন্ত্র উচ্চারণ করে ঊর্ধ্বে দৃষ্টিপাতকরতঃ দিব্যবিঘ্নাপসারণ করবেন।
দিগবন্ধন-
 তারপর তর্জনী ও মধ্যমা দ্বারা বাম করতলে ঊর্ধ্ব ঊর্ধ্ব ক্রমে তালত্রয় দিয়ে দক্ষিণ হস্তের অঙ্গুষ্ঠ ও তর্জনী দ্বারা পূর্বদিক থেকে আরম্ভ করে ঈশানকোণ পর্যন্ত এবং অধঃ ও ঊর্ধ্ব- এই দশ দিকে ‘ফট্’ মন্ত্রে তুড়ি দিয়ে দিগবন্ধন করবেন। 
ভূমিবিঘ্ন-
তারপর ‘ফট্’ মন্ত্রে বামপায়ের গোড়ালি দ্বারা ভূমিতে তিনবার আঘাত করে ভূমিবিঘ্ন অপসারণ করবেন।
অন্তরিক্ষবিঘ্ন-
 ‘অস্ত্রায় ফট্’ মন্ত্রে ঊর্ধ্বদিকে জলের ছিটা দিয়ে অন্তরিক্ষবিঘ্ন দূর করবেন।
 ভূতশুদ্ধি (সংক্ষিপ্ত)- 
স্বক্রোড়ে বাম হাতের উপর ডান হাত চিৎভাবে স্থাপন করে নিম্নোক্ত মন্ত্র পাঠ করবেন-
ওঁ ভূতশৃঙ্গাটাচ্ছিরঃ সুষুম্নাপথেন
জীবশিবং পরমশিবপদে যোজয়ামি স্বাহা ।।১।।
ওঁ যং লিঙ্গশরীরং শোষয় শোষয় স্বাহা ।।২।।
ওঁ রং সংঙ্কোচশরীরং দহ দহ স্বাহা ।।৩।।
ওঁ পরমশিব সুষুম্নাপথেন
মূলশৃঙ্গাটমুল্লসোল্লস জ্বল জ্বল প্রজ্বল প্রজ্বল
সোহহং হংসঃ স্বাহা ।।৪।।
এখানে, পূজক যে দেবতার পূজা করতে অগ্রসর, তিনি স্বয়ং সেই দেবতায় রূপান্তরিত হয়েছেন, এরূপ দৃঢ় ভাবনা করতে হবে।
 ব্যাপকন্যাস-
‘ওঁ বাং ওঁ’ মাথা থেকে পায়ের আঙ্গুল এবং পায়ের আঙ্গুল থেকে মাথা পর্যন্ত উভয় হাত দ্বারা তিনবার মার্জনা করবেন। এতদ্বারা নিজ শরীর, বাক্য ও মন শুদ্ধ হল বলে চিন্তা করবেন।
 মাতৃকান্যাস- 
কৃতাঞ্জলি হয়ে পাঠ- ওঁ অস্য মাতৃকামন্ত্রস্য ব্রহ্ম ঋষির্গায়ত্রীচ্ছন্দো দেবী মাতৃকা সরস্বতী দেবতা, হলো বীজানি স্বরাঃ শক্তয়ঃ অব্যক্তং কীলকং সর্বাভীষ্টসিদ্ধয়ে লিপিন্যাসে বিনিয়োগঃ।
তত্ত্বমুদ্রায় স্পর্শ করে বলবেন  : 
মস্তকে- ওঁ ব্রহ্মণে ঋষয়ে নমঃ; 
মুখে- ওঁ গায়ত্রীচ্ছন্দসে নমঃ; 
হৃদয়ে- ওঁ মাতৃকাসরস্বত্যৈ দেবতায়ৈ নমঃ; মূলাধারে- ওঁ হলভ্যো বীজেভ্যো নমঃ; 
পাদদ্বয়ে- ওঁ স্বরেভ্যঃ শক্তিভ্যো নমঃ; 
সর্বাঙ্গে- ওঁ অব্যক্তকীলকায় নমঃ।
 করন্যাস-
 উভয় হাতের তর্জনী সেই সেই হাতের অঙ্গুষ্ঠ-পৃষ্ঠে দিয়ে বলবে- অং কং খং গং ঘং ঙং আং অঙ্গুষ্ঠাভ্যাং নমঃ। 
উভয় হাতের অঙ্গুষ্ঠ উভয় হাতের তর্জনীর পৃষ্ঠে দিয়ে পাঠ করবেন- ইং চং ছং জং ঝং ঞং ঈং তর্জনীভ্যাং স্বাহা। 
উভয় হাতের অঙ্গুষ্ঠ উভয় হাতের মধ্যমার পৃষ্ঠে দিয়ে পাঠ করবেন- উং টং ঠং ডং ঢং ণং ঊং মধ্যমাভ্যাং বষট্ । 
উভয় হাতের অঙ্গুষ্ঠ উভয় হাতের অনামিকার পৃষ্ঠে রেখে পাঠ করবেন- এং তং থং দং ধং নং ঐং অনামিকাভ্যাং হূঁ । 
উভয় হাতের অঙ্গুষ্ঠ উভয় হাতের কনিষ্ঠার পৃষ্ঠে দিয়ে পাঠ করবেন- ওং পং ফং বং ভং মং ঔং কনিষ্ঠাভ্যাং বৌষট্। 
 অং যং রং লং বং শং ষং সং হং লং ক্ষং অঃ করতলপৃষ্ঠাভ্যাং অস্ত্রায় ফট্- এই মন্ত্র পাঠ করে ডান হাতের যুক্ত তর্জনী ও মধ্যমা দ্বারা বাম হাতের তল ও পৃষ্ঠ স্পর্শ করে বাম করতলে তালি দিবে।
অঙ্গন্যাস- 
ডান হাতের তর্জনী, মধ্যমা ও অনামিকার অগ্রভাগ দ্বারা বক্ষঃস্থল স্পর্শ করে পাঠ করবেন- অং কং খং গং ঘং ঙং আং হৃদয়ায় নমঃ।
 ইং চং ছং জং ঝং ঞং ঈং শিরসে স্বাহা- মন্ত্রে তর্জনী ও মধ্যমার অগ্রভাগ দ্বারা মস্তক; 
উং টং ঠং ডং ঢং ণং ঊং শিখায়ৈ বষট্- মন্ত্রে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠের দ্বারা শিখা; 
এং তং থং দং ধং নং ঐং কবচায় হূঁ- মন্ত্রে ডান হাতের পঞ্চাঙ্গুলির অগ্রভাগ দ্বারা বাম বাহুমূল এবং বাম হাতের পঞ্চাঙ্গুলির অগ্রভাগ দ্বারা ডান বাহুমূল; 
ওং পং ফং বং ভং মং ঔং নেত্রত্রয়ায় বৌষট্- মন্ত্রে তর্জনী, মধ্যমা ও অনামিকার অগ্রভাগ দ্বারা যথাক্রমে দক্ষিণ নেত্র, ঊর্ধ্ব নেত্র (নাসামূল) ও বাম নেত্র স্পর্শ করবেন। 
অং যং রং লং বং শং ষং সং হং লং ক্ষং অঃ করতলপৃষ্ঠাভ্যাং অস্ত্রায় ফট্- মন্ত্রে ডান হাতের যুক্ত তর্জনী ও মধ্যমা দ্বারা বাম হাতের তল ও পৃষ্ঠ স্পর্শ করে বাম করতলে তালি দিবেন।
গুর্বাদিপূজা- 
গুরু ও গণেশাদি পঞ্চদেবতার পূজা নিম্নোক্ত মন্ত্রে গন্ধপুষ্পে করা যেতে পারে। 
সমস্ত পূজাই সন্মুখবর্তী তাম্রকুণ্ডস্থ জলে করবেন।
ওঁ ঐঁ এতে গন্ধপুষ্পে শ্রীগুরবে নমঃ।
ওঁ গং এতে গন্ধপুষ্পে শ্রীগণেশায় নমঃ।
ওঁ নমঃ শিবায় এতে গন্ধপুষ্পে শিবায় নমঃ।
ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে শ্রীসূর্যায় নমঃ।
ওঁ নমো নারায়ণায় এতে গন্ধপুষ্পে নারায়ণায় নমঃ।
ওঁ হ্রীঁ এতে গন্ধপুষ্পে শ্রীজয়দুর্গায়ৈ নমঃ।
ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে আদিত্যাদি-নবগ্রহেভ্যো নমঃ।
ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে ইন্দ্রাদি-দশদিকপালেভ্যো নমঃ।
ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে কাল্যাদি-দশমহাবিদ্যাভ্যো নমঃ।
ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে মৎস্যাদি-দশাবতারেভ্যো নমঃ।
ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে সর্বেভ্যো দেবেভ্যো নমঃ।
ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে সর্বাভ্যো দেবীভ্যো নমঃ।
পীঠন্যাস- 
মৃগমুদ্রায় বক্ষস্থল স্পর্শ করে বলবেন- 
ওঁ  পীঠদেবতাভ্যো নমঃ;
ওঁ  পীঠশক্তিভ্যো নমঃ। ।
করন্যাস-
 (স্পর্শ প্রভৃতি পূর্বোক্ত করন্যাসের অনুরূপ) 
বাং অঙ্গুষ্ঠাভ্যাং নমঃ;
বীং তর্জনীভ্যাং স্বাহা; 
বূং মধ্যমাভ্যাং বষট্;
বৈং অনামিকাভ্যাং হূং;
বৌং কনিষ্ঠাভ্যাং বৌষট্;
 বঃ করতল পৃষ্ঠাভ্যাম্ অস্ত্রায় ফট্।
অঙ্গন্যাস-
 (স্পর্শ প্রভৃতি পূর্বোক্ত অঙ্গন্যাসের অনুরূপ)
 বাং হৃদয়ায় নমঃ; 
বীং শিরসে স্বাহা;
 বূং শিখায়ৈ বষট্; 
বৈং কবচায় হূং; 
বৌং  নেত্রাভ্যাং বৌষট্; 
বঃ করতল পৃষ্ঠাভ্যাম্ অস্ত্রায় ফট্।
ব্যাপকন্যাস- 
ওঁ বাং বিশ্বকর্ম্মনে নমঃ- মন্ত্রে পাঁচবার দুই হাতে মাথা থেকে পা পর্যন্ত এবং পা থেকে মাথা পর্যন্ত মার্জনা করবেন।
শ্রী বিশ্বকর্মার ধ্যান- 
কূর্মমুদ্রায় হাতে ফুল নিয়ে হৃদয়ে জ্যোতির্ময় মূর্তি ভাবনাপূর্বক ধ্যান করবেন-
‘ওঁ বিশ্বকর্মন্ মহাভাগ সুচিত্রকর্মকারক্ ।
বিশ্বকৃৎ বিশ্বধৃক্ ত্বঞ্চ রসনামানদণ্ডধৃক্ ।।’
ধ্যানান্তে হাতের ফুল মাথায়  স্থাপন করবেন।
মানসপূজা- 
কোলে বাম করতলের উপর দক্ষিণ করপৃষ্ঠ রেখে মানস উপচারে পূজা করবেন। 
হৃদয়কেই দেবতার আসন কল্পনা করে সেখানে তাঁর আবাহন করবেন। 
অতঃপর সহস্রদলকমল-নিঃসৃত সুধারূপ পাদ্য, মনোরূপ অর্ঘ্য, পূর্বোক্ত সুধারূপ আচমনীয় ও স্নানীয়, আকাশতত্ত্বরূপ বসন, ক্ষিতিতত্ত্বরূপ গন্ধ, চিত্তরূপ পুষ্প, প্রাণরূপ ধূপ, তেজস্তত্ত্বরূপ দীপ, সুধাসমুদ্ররূপ নৈবেদ্য মনে মনে প্রদান করবেন। 
 বিশেষার্ঘ্য স্থাপন- 
যারা ঘটে পুজো করবেন তাদের  প্রয়োজন নেই।। 
পূজক নিজের সামনে কোশার বাম দিকে একটি ঊর্ধ্বমুখ ত্রিকোণ, তার বাইরে
বৃত্ত ও তার বাইরে চতুষ্কোণ মণ্ডল এঁকে সামান্যার্ঘ্যের জল দ্বারা প্রোক্ষণ করবেন এবং 
‘ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে আধারশক্তয়ে নমঃ’ 
মন্ত্রে মণ্ডল গন্ধপুষ্পে পূজা করবেন। 
মণ্ডলের উপর ত্রিপদিকা স্থাপন করে 
‘ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে মং বহ্নিমণ্ডলায় দশকলাত্মনে নমঃ’ মন্ত্রে ত্রিপদিকায় গন্ধপুষ্পেপূজা করবেন।
‘হূঁ ফট্’ মন্ত্রে শঙ্খ ধুয়ে ত্রিপদিকার উপর রেখে 
‘ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে অং অর্কমণ্ডলায় দ্বাদশকলাত্মনে নমঃ’ মন্ত্রে গন্ধপুষ্পে
পূজা করবেন। 
পরে ‘ বাং ‘ মন্ত্র উচ্চারণ করে শঙ্খের তিনভাগ জল দ্বারা পূর্ণ করবেন 
এবং ‘নমঃ’ মন্ত্রে গন্ধপুষ্প, দুর্বা ও আতপ তণ্ডুল দিয়ে অর্ঘ্য রচনা করে তদুপরি স্থাপন করবে 
অতঃপর
 ‘ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে উং সোমমণ্ডলায় ষোড়শকলাত্মনে নমঃ’ মন্ত্রে  অর্ঘ্য জলে গন্ধপুষ্পে পূজা করবে।
 পরে অঙ্কুশ মুদ্রায় ঐ জল স্পর্শ করে ‘ওঁ গঙ্গে চ যমুনে চৈব গোদাবরি সরস্বতি নর্মদে সিন্ধুকাবেরি জলেহস্মিন্ সন্নিধিং কুরু’ মন্ত্রে সূর্যমণ্ডল থেকে তীর্থ আবাহন করবেন এবং
 ‘ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে তীর্থেভ্যো নমঃ’ মন্ত্রে গন্ধপুষ্পে জলে তীর্থ পূজা করবেন।
 পরে ‘বষট্’ মন্ত্রে গালিনী মুদ্রা দেখিয়ে পূজা করবেন- ‘ওঁ বাং এতে গন্ধপুষ্পে বিশ্বকর্ম্মনে নমঃ’। 
অতঃপর আবাহন্যাদি পঞ্চমুদ্রা দেখিয়ে শঙ্খে দেবতার আবাহন করবেন-
‘ওঁ বাং বিশ্বকর্ম্মনে ইহাগচ্ছ ইহাগচ্ছ (আবাহনী মুদ্রা দ্বারা);  ইহ তিষ্ঠ ইহ তিষ্ঠ (স্থাপনী মুদ্রা দ্বারা); ইহ সন্নিধেহি ইহ সন্নিধেহি (সন্নিধাপনী মুদ্রা দ্বারা); ইহ সন্নিরুধ্যস্ব ইহ সন্নিরুধ্যস্ব (সংরোধনী মুদ্রা দ্বারা); ইহ সম্মুখী ভব ইহ সম্মুখী ভব (সম্মুখীকরণ মুদ্রা দ্বারা) অত্রাধিষ্ঠানং কুরু, মম পূজাং গৃহাণ’ (করজোড়ে) বলবে। 
পরে ‘ওঁ বাং এতে গন্ধপুষ্পে বিশ্বকর্ম্মনে নমঃ’ মন্ত্রে গন্ধপুষ্প দ্বারা পূজা করে 
মৎস্যমুদ্রায় আচ্ছাদনপূর্বক ‘ওঁ’ মন্ত্র দশবার জপ করবেন। 
তারপর বাম করতলে দক্ষিণ হস্তের তর্জনী ও মধ্যমা যোগে ‘ফট্’ মন্ত্রে ঊর্ধ্বোর্ধ্বে তালত্রয় দিয়ে ধেনু, যোনি ও পরমীকরণ মুদ্রা প্রদর্শন করবেন। 
শঙ্খ কাৎ করে কিঞ্চিৎ জল কুশীতে ঢেলে সেই জল ‘ওঁ বাং বিশ্বকর্ম্মনে নমঃ’ মন্ত্রে নিজের মাথায় ও পূজাদ্রব্যে ছিটিয়ে দিবেন।
পীঠপূজা-  
‘ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে পীঠদেবতাভ্যো নমঃ; 
ওঁ  এতে গন্ধপুষ্পে পীঠশক্তিভ্যো নমঃ’ মন্ত্রে তাম্রকুণ্ডে গন্ধপুষ্পে পূজা করবেন।
 পুনরায় করন্যাস, অঙ্গন্যাস প্রভৃতি---
করন্যাস-
 (স্পর্শ প্রভৃতি পূর্বোক্ত করন্যাসের অনুরূপ) 
বাং অঙ্গুষ্ঠাভ্যাং নমঃ;
বীং তর্জনীভ্যাং স্বাহা; 
বূং মধ্যমাভ্যাং বষট্;
বৈং অনামিকাভ্যাং হূং;
বৌং কনিষ্ঠাভ্যাং বৌষট্;
 বঃ করতল পৃষ্ঠাভ্যাম্ অস্ত্রায় ফট্।
 অঙ্গন্যাস-
 (স্পর্শ প্রভৃতি পূর্বোক্ত অঙ্গন্যাসের অনুরূপ)
 বাং হৃদয়ায় নমঃ; 
বীং শিরসে স্বাহা;
 বূং শিখায়ৈ বষট্; 
বৈং কবচায় হূং; 
বৌং নেত্রাভ্যাং বৌষট্; 
বঃ করতল পৃষ্ঠাভ্যাম্ অস্ত্রায় ফট্।
ব্যাপকন্যাস- 
ওঁ বাং বিশ্বকর্ম্মনে নমঃ- মন্ত্রে পাঁচবার দুই হাতে মাথা থেকে পা পর্যন্ত এবং পা থেকে মাথা পর্যন্ত মার্জনা করবেন।
শ্রী বিশ্বকর্মার ধ্যান- 
কূর্মমুদ্রায় হাতে ফুল নিয়ে হৃদয়ে জ্যোতির্ময় মূর্তি ভাবনাপূর্বক ধ্যান করবেন-
‘ওঁ বিশ্বকর্মন্ মহাভাগ সুচিত্রকর্মকারক্ ।
বিশ্বকৃৎ বিশ্বধৃক্ ত্বঞ্চ রসনামানদণ্ডধৃক্ ।।’
ধ্যানান্তে হৃদয়স্থ অষ্টদলপদ্মের দেবতার জ্যোতির্ময় মূর্তি হস্তস্থিত পুষ্পে আবির্ভূত ভাবনা করে সেই পুষ্প তাম্রকুণ্ডে বা পূজাধারে  স্থাপন করবেন।
[ এখন অপ্রতিষ্ঠিত মূর্তি বা পট হলে সেই মূর্তিতে বা পটে এবং ঘটে পূজা হলে ঘটে আবাহন করতে হবে।]
আবাহন- 
আবাহন্যাদি পঞ্চমুদ্রায় আবাহন করবেন-
‘ওঁ বাং শ্রী বিশ্বকর্ম্মনে ইহাগচ্ছ ইহাগচ্ছ (আবাহনী মুদ্রা দ্বারা);  ইহ তিষ্ঠ ইহ তিষ্ঠ (স্থাপনী মুদ্রা দ্বারা); ইহ সন্নিধেহি ইহ সন্নিধেহি (সন্নিধাপনী মুদ্রা দ্বারা); ইহ সন্নিরুধ্যস্ব ইহ সন্নিরুধ্যস্ব (সংরোধনী মুদ্রা দ্বারা); ইহ সম্মুখী ভব ইহ সম্মুখী ভব (সম্মুখীকরণ মুদ্রা দ্বারা) অত্রাধিষ্ঠানং কুরু, মম পূজাং গৃহাণ’ (করজোড়ে)। অতঃপর ‘হূং’ মন্ত্রে মূর্তিতে বা পটে বা ঘটে অবগুণ্ঠন মুদ্রা দেখিয়ে দেবতার অঙ্গে ষড়াঙ্গন্যাস করতে হবে।
ষড়াঙ্গন্যাস- 
প্রতিমায় পুজো হলে এটি করতে হবে। ঘট পুজোতে প্রয়োজন নেই। 
এক একটি ফুল নিয়ে 
বাং হৃদয়ায় নমঃ; 
বীং শিরসে স্বাহা;
 বূং শিখায়ৈ বষট্; 
বৈং কবচায় হূং; 
বৌং  নেত্রাভ্যাং বৌষট্; 
বঃ করতল পৃষ্ঠাভ্যাম্ অস্ত্রায় ফট্।
 ইত্যাদি ক্রমে দেবতার অঙ্গে নিক্ষেপ করতে হবে। 
পরে ধেনু মুদ্রা ও পরমীকরণ মুদ্রা প্রদর্শন করবেন।
[অপ্রতিষ্ঠিত মূর্তি বা পটে পূজা হলে এখন চক্ষুদান ও প্রাণ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ঘটে বা শালগ্রামে পূজা হলে এর দরকার নেই।]
 চক্ষুদান- 
ঘৃত দ্বারা একটি বিল্বপত্রে কাজল প্রস্তুত করে আর একটি বিল্বপত্রের বোঁটা দ্বারা সেই কাজল নিয়ে 
‘ওঁ শিল্পাচার্য্যায় দেবায় নমস্তে বিশ্বকর্ম্মনে স্বাহা– 
এই গায়ত্রী মন্ত্র পাঠপূর্বক প্রথমে ঊর্ধ্বনেত্রে পরে দক্ষিণ নেত্রের অতঃপর বামনেত্রে মণিতে দিয়ে চক্ষুদান করবেন।
গজের চক্ষুদান-
 গায়ত্রী মন্ত্র পাঠপূর্বক দক্ষিণ নেত্রের অতঃপর বামনেত্রে মণিতে দিয়ে চক্ষুদান করবেন।
প্রাণ প্রতিষ্ঠা-
 কুশপুষ্পযুক্ত হস্ত প্রতিমার মস্তকে স্থাপনপূর্বক ১০৮ বার মূলমন্ত্র (ওঁ বাং বিশ্বকর্ম্মনে নমঃ) জপ করে 
হৃদয় ধরে পাঠ করবেন এবং বাম হাতে ঘন্টাধ্বনি করবেন-
ওঁ আং হ্রীঁ ক্রোং যং রং লং বং শং ষং সং হৌঁ হংসঃ অস্যা শ্রী বিশ্বকর্ম্মন প্রাণা ইহ প্রাণাঃ।
ওঁ আং হ্রীঁ ক্রোং যং রং লং বং শং ষং সং হৌঁ হংসঃ অস্যা শ্রী বিশ্বকর্ম্মন জীব ইহ স্থিতঃ।
ওঁ আং হ্রীঁ ক্রোং যং রং লং বং শং ষং সং হৌঁ হংসঃ অস্যা শ্রী বিশ্বকর্ম্মন সর্বেন্দ্রিয়াণি।
ওঁ আং হ্রীঁ ক্রোং যং রং লং বং শং ষং সং হৌঁ হংসঃ অস্যা শ্রী বিশ্বকর্ম্মন বাঙ্ মনশ্চক্ষুস্ত্বক-শ্রোত্র-ঘ্রাণপ্রাণা ইহাগত্য সুখং চিরং তিষ্ঠন্তু স্বাহা।
এইবার লেলিহান মুদ্রায় দূর্বা ও আতপ তণ্ডুল নিয়ে দেবতার হৃদয় স্পর্শ করে বলবে-
ওঁ অস্যৈ প্রাণাঃ প্রতিষ্ঠন্তু অস্যৈ প্রাণাঃ ক্ষরন্তু চ। অস্যৈ দেবত্বসংখ্যায়ৈ স্বাহা।
ওঁ মনোজূতির্জুষতামাজ্যস্য বৃহস্পতির্যজ্ঞমিমং তনোত্বরিষ্টং যজ্ঞং সমিমং দধাতু বিশ্বেদেবাস ইহ মাদয়ন্তামোং প্রতিষ্ঠা।
গজের প্রাণ প্রতিষ্ঠা-
হৃদয় ধরে পাঠ করবেন এবং বাম হাতে ঘন্টাধ্বনি করবেন-
ওঁ আং হ্রীঁ ক্রোং যং রং লং বং শং ষং সং হৌঁ হংসঃ অস্যা গজঃ প্রাণা ইহ প্রাণাঃ।
ওঁ আং হ্রীঁ ক্রোং যং রং লং বং শং ষং সং হৌঁ হংসঃ অস্যা গজঃ জীব ইহ স্থিতঃ।
ওঁ আং হ্রীঁ ক্রোং যং রং লং বং শং ষং সং হৌঁ হংসঃ অস্যা গজঃ সর্বেন্দ্রিয়াণি।
ওঁ আং হ্রীঁ ক্রোং যং রং লং বং শং ষং সং হৌঁ হংসঃ অস্যা গজঃ বাঙ্ মনশ্চক্ষুস্ত্বক-শ্রোত্র-ঘ্রাণপ্রাণা ইহাগত্য সুখং চিরং তিষ্ঠন্তু স্বাহা।
এইবার লেলিহান মুদ্রায় দূর্বা ও আতপ তণ্ডুল নিয়ে দেবতার হৃদয় স্পর্শ করে বলবে-
ওঁ অস্যৈ প্রাণাঃ প্রতিষ্ঠন্তু অস্যৈ প্রাণাঃ ক্ষরন্তু চ। অস্যৈ গজত্বসংখ্যায়ৈ স্বাহা।
ওঁ মনোজূতির্জুষতামাজ্যস্য বৃহস্পতির্যজ্ঞমিমং তনোত্বরিষ্টং যজ্ঞং সমিমং দধাতু বিশ্বেদেবাস ইহ মাদয়ন্তামোং প্রতিষ্ঠা।
প্রধান পূজা 
শ্রী বিশ্বকর্মার ধ্যান- 
কূর্মমুদ্রায় হাতে ফুল নিয়ে হৃদয়ে জ্যোতির্ময় মূর্তি ভাবনাপূর্বক ধ্যান করবেন-
‘ওঁ বিশ্বকর্মন্ মহাভাগ সুচিত্রকর্মকারক্ ।
বিশ্বকৃৎ বিশ্বধৃক্ ত্বঞ্চ রসনামানদণ্ডধৃক্ ।।’
ধ্যান করে ফুল টি ঘটে দিবেন।
পরে যথাশক্তি উপচারে পূজা করবেন।
প্রতিমা হলৈ ষোড়শ  উপাচারে ঘটে পুজো হলে সংক্ষিপ্ত দশোপচারে 
ঘটে পুজো হলে সংক্ষিপ্ত দশোপচার বিধি
কুশীতে জল লইয়া - এতৎ পাদ্যং ওঁ বাং বিশ্বকর্ম্মনে নমঃ ’  মন্ত্রে দেবতার চরণযুগলের উদ্দেশে অর্পণ করবেন।
কুশীতে জল তিল দুর্বা আতপচাল ইত্যাদি লইয়া- এষঃ অর্ঘ্য ওঁ বাং বিশ্বকর্মনে নমঃ
কুশীতে জল লইয়া- ইদম আচমনীয়োদকম ওঁ বিং বিশ্বকর্মনে নমঃ।
কুশীতে জল লইয়া - ইদম স্নানীয়োদকায় দকম ওঁ বিং বিশ্বকর্মনে নমঃ।
চন্দন লইয়া - এষঃ গন্ধঃ ওঁ বিং বিশ্বকর্মনে নমঃ।
অনেকগুলি পুষ্প লইয়া- এতানি পুষ্পানি  ওঁ বিং বিশ্বকর্মনে নমঃ।
বিল্বপত্র লইয়া - ইদং সচন্দন বিল্বপত্রম ওঁ বিং বিশ্বকর্মনে নমঃ।
এষঃ ধূপ ওঁ বিং বিশ্বকর্মনে নমঃ । ধুপে জলের ছিটা দেবেন
এষঃ দীপ ওঁ বিং বিশ্বকর্মনে নমঃ।দীপে জলের ছিটা দেবেন ।
নৈবেদ্য নিবেদন :-
যথা বিধি অর্চনা করে নিবেদন করা হয় যারা পুজো শিখেছেন তার সংক্ষিপ্ত ভাবে নিবেদন করবেন
ইদং সোপকরন নৈবেদ্য ওঁ বিং বিশ্বকর্মনে নমঃ ।
নৈবেদ্যে জলের ছিটা দেবেন ।
পানার্থ জল- এতদ পানার্থোদকম ওঁ বিং বিশ্বকর্মনে নমঃ ।
কুশীতে জল লইয়া ইদম পুনরাচমনীয়ম ওঁ বিং বিশ্বকর্মনে নমঃ ।
প্রতিমা পুজোর বিস্তারিত ষোড়শ উপাচার পুজো বিধি:-
আসনাদি উপাচারেভ্য নমঃ ইত্যাদি বলে একবারে অর্চনা করলে পুজো সংক্ষিপ্ত হবে অথবা পৃথক পৃথক ভাবে অর্চানান্তে নিবেদন করবেন
১.আসন- অর্চনা , 
আসন (রৌপ্য বা বস্ত্রাদি নির্মিত হতে পারে) সামনের কোন পাত্রে রেখে, 
‘বং এতস্মৈ রজতাসনায় নমঃ’ মন্ত্রে তিনবার সামান্যার্ঘ্য জল দ্বারা ছিটা দিয়ে
 ‘ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে রজতাসনায় নমঃ, মন্ত্রে আসনের ওপর গন্ধপুষ্প দিবেন
অতঃপর একটি গন্ধপুষ্প নিয়ে
ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে এতদধিপতয়ে দেবায় শ্রীবিষ্ণবে নমঃ, মন্ত্রে পুস্পটি শালগ্রাম শিলায় দিবে 
অতঃপর একটি গন্ধপুষ্প নিয়ে
ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে এতৎ সম্প্রদানায় বিশ্বকর্ম্মনে নমঃ’ 
মন্ত্রে পূজা করবেন।
 এইভাবে সকল উপচার এক এক করে অর্চনা করে নিবেদন করবেন।
 তারপর হাতজোড় করে পাঠ করবেন-
ওঁ আসনং গৃহ্ন দেবেশ সদা বিজয় বর্দ্ধণ ।
ত্রায়স্ব মে মহাদেব দীব্যস্থানঞ্চ দেহিমে ॥ 
তারপর ‘ ইদং রজতাসনং  ওঁ বাং বিশ্বকর্ম্মনে নমঃ ’ মন্ত্রে প্রদান করবেন।
২.স্বাগত  (করজোড়ে বলবেন)-
ওঁ যস্যা দর্শনমিচ্ছন্তি দেবাঃ স্বাভীষ্টসিদ্ধয়ে ।
তস্যৈ তে পরমেশায় স্বাগতং স্বাগতঞ্চ মে ।।
ওঁ বাং বিশ্বকর্ম্মনে স্বাগতং সুস্বাগতয় তে ।
৩.পাদ্য-অর্চনা
কুশীতে বা অন্যপাত্রে সামান্যার্ঘ্য জল নিয়ে তাতে অগুরু, চন্দন , ফুল দিবে এবং আধারের উপর স্থাপন করে অর্চনা করবেন। 
বং এতস্মৈ পাদ্য জলায় নমঃ’ মন্ত্রে তিনবার সামান্যার্ঘ্য জল দ্বারা ছিটা দিয়ে
 ‘ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে পাদ্য জলায় নমঃ, মন্ত্রে পাদ্য জলের ওপর গন্ধপুষ্প দিবেন
অতঃপর একটি গন্ধপুষ্প নিয়ে
ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে এতদধিপতয়ে দেবায় শ্রীবিষ্ণবে নমঃ, মন্ত্রে পুস্পটি শালগ্রাম শিলায় দিবেন 
অতঃপর একটি গন্ধপুষ্প নিয়ে
ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে এতৎ সম্প্রদানায় বিশ্বকর্ম্মনে নমঃ’ 
মন্ত্রে পূজা করবেন।
পরে করজোড়ে পাঠ করবেন—
ওঁ যদ্ ভক্তিলেশ সর্ম্পকাৎ পরমানন্দসংপ্লবঃ ।
তষ্মৈ তে পরমেশান পাদ্যং শুদ্ধায় কল্পয়ে ॥
তারপর ‘ এতৎ পাদ্যং ওঁ বাং বিশ্বকর্ম্মনে নমঃ ’  মন্ত্রে দেবতার চরণযুগলের উদ্দেশে অর্পণ করবেন।
৪.অর্ঘ্য-অর্চনা-
 পূর্বস্থাপিত বিশেষার্ঘ্য (এর ওপর অর্ঘ্য রেখে) অর্চনা করবেন-
বং এতস্মৈ অর্ঘ্যায় নমঃ’ মন্ত্রে তিনবার সামান্যার্ঘ্য জল দ্বারা ছিটা দিয়ে
 ‘ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে অর্ঘ্যায় নমঃ, মন্ত্রে অর্ঘ্যর ওপর গন্ধপুষ্প দিবেন
অতঃপর একটি গন্ধপুষ্প নিয়ে
ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে এতদধিপতয়ে দেবায় শ্রীবিষ্ণবে নমঃ, মন্ত্রে পুস্পটি শালগ্রাম শিলায় দিবেন 
অতঃপর একটি গন্ধপুষ্প নিয়ে
ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে এতৎ সম্প্রদানায় বিশ্বকর্ম্মনে নমঃ’ 
মন্ত্রে পূজা করবেন
 করজোড়ে পাঠ করবেন-
ওঁ দুর্ব্বাক্ষত সমাযুক্তং বিল্বপত্রং তথাপরম্।
শোভনং শঙ্খপাত্রস্থং গৃহাণার্ঘ্যং সুরেশ্বর ॥
ওঁ তাপত্রয়হরং দিব্যং পরমানন্দলক্ষণম্ ।
তাপত্রয়বিমোক্ষায় তবার্ঘ্যং কল্পয়াম্যহম্ ।।
তারপর ‘ এষোহর্ঘ্যঃ ওঁ বাং বিশ্বকর্ম্মনে নমঃ ’ মন্ত্রে ঘন্টাধ্বনি সহযোগে দেবতার মস্তকে দিবেন।
৫.আচমনীয়-অর্চনা-
কুশীতে বা অন্যপাত্রে সামান্যার্ঘ্য জল নিয়ে তাতে অগুরু, চন্দন, ফুল দিবে এবং আধারের উপর স্থাপন করে অর্চনা করবেন। 
বং এতস্মৈ আচমনীয়োদকায় নমঃ’ মন্ত্রে তিনবার সামান্যার্ঘ্য জল দ্বারা ছিটা দিয়ে
 ‘ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে আচমনীয়োদকায় নমঃ, মন্ত্রে আচমনীয়তে গন্ধপুষ্প দিবেন
অতঃপর একটি গন্ধপুষ্প নিয়ে
ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে এতদধিপতয়ে দেবায় শ্রীবিষ্ণবে নমঃ, মন্ত্রে পুস্পটি শালগ্রাম শিলায় দিবেন
অতঃপর একটি গন্ধপুষ্প নিয়ে
ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে এতৎ সম্প্রদানায় বিশ্বকর্ম্মনে নমঃ’ 
মন্ত্রে পূজা করবেন
পরে করজোড়ে পাঠ করবেন—
ওঁ যদুচ্ছিষ্টমপস্পৃষ্টং শুদ্ধিমেত্যখিল জগৎ।
তস্মৈমুখারবিন্দায়  আচমনং কল্পয়ামি তে ॥
তারপর ‘ ইদমাচমনীয়োদকং ওঁ বাং বিশ্বকর্ম্মনে নমঃ’  এইমন্ত্রে দেবতার মুখারবিন্দের উদ্দেশে অর্পণ করবেন।
৬.মধুপর্ক-অর্চনা-
কাঁসার বা রৌপ্য পাত্রে সমপরিমাণ দই, ঘি, মধু ও চিনি মিশ্রিত করে অল্প জল দিবে। মধুর পরিমাণ অধিক থাকবে। পূর্ববৎ অর্চনা করবেন 
বং এতস্মৈ মধুপর্কায় নমঃ’ মন্ত্রে তিনবার সামান্যার্ঘ্য জল দ্বারা ছিটা দিয়ে
 ‘ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে মধুপর্কায় নমঃ, মন্ত্রে মধুপর্কের ওপর গন্ধপুষ্প দিবেন
অতঃপর একটি গন্ধপুষ্প নিয়ে
ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে এতদধিপতয়ে দেবায় শ্রীবিষ্ণবে নমঃ, মন্ত্রে পুস্পটি শালগ্রাম শিলায় দিবেন 
অতঃপর একটি গন্ধপুষ্প নিয়ে
ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে এতৎ সম্প্রদানায় বিশ্বকর্ম্মনে নমঃ’ 
মন্ত্রে পূজা করবেন
হাতজোড় করে পাঠ করবেন-
ওঁ তাপত্রয়বিনাশার্থম অখন্ডানন্দহেতবে ।
মধুপর্কং দদামাদ্য প্রসিদ ভক্তবৎসল ॥
তারপর ‘এষ মধুপর্কং ওঁ বাং বিশ্বকর্ম্মনে নমঃ’  এইমন্ত্রে দেবতার মুখারবিন্দের উদ্দেশে অর্পণ করবেন।
৭.পুনরাচমনীয়- অর্চনা-
কুশীতে বা অন্যপাত্রে সামান্যার্ঘ্য জল নিয়ে তাতে অগুরু, চন্দন, ফুল দিবে এবং আধারের উপর স্থাপন করে অর্চনা করবেন। 
বং এতস্মৈ পুনরাচমনীয়োদকায় নমঃ’ মন্ত্রে তিনবার সামান্যার্ঘ্য জল দ্বারা ছিটা দিয়ে
 ‘ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে পুনরাচমনীয়োদকায় নমঃ, মন্ত্রে পুনরাচমনীয়তে গন্ধপুষ্প দিবেন
অতঃপর একটি গন্ধপুষ্প নিয়ে
ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে এতদধিপতয়ে দেবায় শ্রীবিষ্ণবে নমঃ, মন্ত্রে পুস্পটি শালগ্রাম শিলায় দিবেন 
অতঃপর একটি গন্ধপুষ্প নিয়ে
ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে এতৎ সম্প্রদানায় বিশ্বকর্ম্মনে নমঃ’ 
মন্ত্রে পূজা করবেন
হাতজোড় করে পাঠ করবেন-
ওঁ উচ্ছিষ্টমপ্যশুচির্বা যস্য স্মরণমাত্রতঃ ।
শুদ্ধিমাপ্নোতি তস্মৈ তে পুনরাচমনীয়কম্ ।।
তারপর ‘ ইদং পুনরাচমনীয়োদকং ওঁ বাং বিশ্বকর্ম্মনে নমঃ’  মন্ত্রে দেবতার মুখারবিন্দের উদ্দেশে অর্পণ করবেন।
৮.গন্ধতৈল-অর্চনা-
একটি পাত্রে বা কুশীতে গন্ধতৈল নিয়ে পূর্ববৎ অর্চনা-
বং এতস্মৈ গন্ধতৈলং নমঃ’ মন্ত্রে তিনবার সামান্যার্ঘ্য জল দ্বারা ছিটা দিয়ে
 ‘ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে গন্ধতৈলং নমঃ, মন্ত্রে গন্ধতৈলতে গন্ধপুষ্প দিবেন
অতঃপর একটি গন্ধপুষ্প নিয়ে
ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে এতদধিপতয়ে দেবায় শ্রীবিষ্ণবে নমঃ, মন্ত্রে পুস্পটি শালগ্রাম শিলায় দিবেন 
অতঃপর একটি গন্ধপুষ্প নিয়ে
ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে এতৎ সম্প্রদানায় বিশ্বকর্ম্মনে নমঃ’ 
মন্ত্রে পূজা করবেন
হাতজোড় করে পাঠ করবেন-
 ওঁ স্নেহং গৃহাণ স্নেহেন লোকানাং হিতকারিণি ।
সর্বলোকেষু শুদ্ধ ত্বং দদামি স্নেহমুত্তমম্ ।।
তারপর
‘ ইদং গন্ধতৈলং ওঁ বাং বিশ্বকর্ম্মনে নিবেদয়ামি’  এইমন্ত্রে প্রদান করবেন।
৯.স্নানীয়-অর্চনা-
ভৃঙ্গারাদি পাত্রে বা কুশীতে সুরভিদ্রব্যমিশ্রিত জল নিয়ে তাতে সচন্দন পুষ্প, অগুরু  দিবে এবং আধারের উপর স্থাপন করে অর্চনা করবেন। 
বং এতস্মৈ স্নানীয়োদকায় নমঃ’ মন্ত্রে তিনবার সামান্যার্ঘ্য জল দ্বারা ছিটা দিয়ে
 ‘ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে স্নানীয়োদকায় নমঃ, মন্ত্রে স্নানীয়তে গন্ধপুষ্প দিবেন
অতঃপর একটি গন্ধপুষ্প নিয়ে
ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে এতদধিপতয়ে দেবায় শ্রীবিষ্ণবে নমঃ, মন্ত্রে পুস্পটি শালগ্রাম শিলায় দিবে 
অতঃপর একটি গন্ধপুষ্প নিয়ে
ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে এতৎ সম্প্রদানায় বিশ্বকর্ম্মনে নমঃ’ 
মন্ত্রে পূজা করবেন
*পূজার শেষে  ক্ষমা প্রার্থনা  মন্ত্র এবং আরতি  করুন  
ক্ষমা প্রার্থনা মন্ত্র:
ওঁযদক্ষরং পরিভ্রষ্টং মাত্রাহীনঞ্চযদ্ ভবেৎ।
পূর্ণং ভবতু ত্বৎসর্বং ত্বৎপ্রসাদাত জনার্দ্দন।।
অর্থঃ হে ভগবান,তোমার পূজারকাজে যদি কোনঅক্ষর বাদ গিয়ে থাকে বা মাত্রা বিবর্জিতহয়ে থাকে, তোমার অনুগ্রহে তা পূর্ণত্বপ্রাপ্ত হউক।

সবাই ভালো থাকুন ,সুস্থ থাকুন। সমগ্র মানব জাতি ও জীব জন্তুর  কল্যাণ হোক। শান্তির জয় হোক,সত্যের জয় হোক,মানবতার জয় হোক ,সনাতন ধর্মের জয়  হোক।🙏হে প্রভু আমাকে শুধু জ্ঞান দাও ,ভক্তি দাও আর শক্তি দাও🙏



                                                     
 প্রবীর মহান্তী ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের  উৎকল ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।  প্রবীরের  বইগুলি Amazon.com. flipkart.com, abebooks.com এর মাধ্যমে বিক্রি হয়। গুগল ও অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন থেকে সার্চ করে এখনো পর্যন্ত ১২ লাখের বেশি লোক  প্রবীরের লেখা আর্টিকেল গুলি পড়েছেন।Comment of Author:-
This article has been penned under the divine inspiration of Lord Jagannath. If anybody or any organization doesn't agree with any content of this article, he or they may mention it in the comments with documentary evidence and it will be corrected. Any comments in this regard without documentary evidence and source of Information will be treated as mala fide and will be deleted.

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আরতি কি ? আরতি কি ভাবে করবেন ? সন্ধ্যা দেওয়ার নিয়ম কি ? পড়ুন এবং দেখুন ।

শ্রী শ্রী মা ষষ্ঠীদেবীর পূজা এবং তাঁর ধ্যান মন্ত্র,প্রণাম মন্ত্র ও ব্রত পালন ।

কলি যুগের অবসান/সমাপ্তি ও কল্কি অবতার - সত্য যুগের পুনঃপ্রতিষ্ঠা- সত্য,ত্রেতা,দ্বাপর,কলি এই চার যুগের সময়,পরিমাণ,বৈশিষ্ট্যসমূহ ও অবতার এবং যুগ পরিবর্তন ।