পোস্টগুলি

শ্রী শ্রী সরস্বতী ।

ছবি
সরস্বতী পূজা শ্রী শ্রী সরস্বতী:-   সরস্বতী র  অর্থ  জ্যোতির্ময়ী । দেবীভাগবত পুরাণ অনুসারে,দেবী সরস্বতী ভগবান বিষ্ণুর জিহ্বাগ্র থেকে উৎপন্ন হয়েছেন।  তিনি    বুদ্ধি, বিদ্যা,   জ্ঞান ,  সংগীত ও   শিল্পকলার  অধিষ্ঠাত্রী দেবী,  তিনি  সকল সংশয় দূরকারিণী,সর্বসিদ্ধিপ্রদায়িনী এবং উপজীবিকা স্বরূপিনী ।  তিনি  শুক্লবর্ণা, পীতবস্ত্রধারিণী এবং বীণা ও পুস্তকহস্তা। তিনি   ব্রহ্মার  সৃষ্টিতে  যে  জ্ঞানের   দরকার হয়,  সেই   জ্ঞান প্রদায়িনী ।  তিনি   লক্ষ্মী - সরস্বতী - পার্বতী এই   ত্রিদেবীর   অন্যতম । বসন্ত পঞ্চমী:- বসন্ত পঞ্চমী তিথিতে ব্রহ্মা পরম জ্ঞানকে আহ্বান করেন, তখন  দেবী  সরস্বতী সাকার স্বরূপে প্রকট হন ও তিনি ব্রহ্মা কে বিবাহ করেন।  সেই জন্য  বসন্তপঞ্চমী  ( মাঘ   মাসের   শুক্লাপঞ্চমী   তিথি )  তিথিতে   দেবী  সরস্বতী র   পূজা হয় ।   জ্ঞান ,  সংগীত   ও   শিল্পকলার ...

কলি যুগের অবসান/সমাপ্তি ও কল্কি অবতার - সত্য যুগের পুনঃপ্রতিষ্ঠা- সত্য,ত্রেতা,দ্বাপর,কলি এই চার যুগের সময়,পরিমাণ,বৈশিষ্ট্যসমূহ ও অবতার এবং যুগ পরিবর্তন ।

ছবি
চার যুগের সময় পরিমাণ ও বৈশিষ্ট্যসমূহ:-   হে ভক্ত বৎসল প্রভু ,হে প্রভু নারায়ণ ,আপনিই এই সৃষ্টির  স্রষ্টা এবং আপনি ই আদি এবং আপনিই অন্ত। আপনিই যুগ পরিবর্তক দেবতা। আপনারেই ইচ্ছায় যুগ পরিবর্তনের প্রাক্কালে  আপনার প্রিয় ভক্তদের রক্ষা, পরিত্রাণ ও  কল্যাণের জন্য যুগ পরিবর্তন ও তার লক্ষণ  ও  এই  কলিযুগের অন্তে  আপনার  অবতারের কথা বর্ণনা করিলাম, ভুল ত্রুটি মার্জনা করিবেন।  ★ ১.সত্য যুগ হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী সত্য যুগ হলো, চার যুগের প্রথম যুগ। অন্য যুগ গুলো হলো ত্রেতা যুগ, দ্বাপর যুগ ও কলি যুগ। মৎস্য অবতার বৈশাখ মাসের শুক্ল পক্ষে তৃতীয়া তিথিতে রবিবারে সত্যযুগের উৎপত্তি।  এই যুগে ভগবান ৪ টি রূপে অবতার নিয়েছিলেন । 1. মৎস্য (মাছ), 2.কুর্ম (কচ্ছপ), 3.বরাহ (শুকর), 4. নরসিংহ (সংস্কৃত: नरसिंह, বানানান্তরে নৃসিংহ-মানুষ ও সিংহের সমন্বিত রূপ)। কুর্ম অবতার  বরাহ অবতার   এই যুগে শুধু পুণ্য ছিল,পাপ ছিল না। প্রাণ ছিল মজ্জায়। মৃত্যু ছিল ইচ্ছাধীন। এই যুগে সোনার পাত্র ব্যবহার করা হত।  এই যুগে মানুষের সমস্ত ইচ্ছাই...

ভীম একাদশী ও দক্ষিণ বঙ্গের ভৈম-একাদশীর ব্রত পালন।

ছবি
মাঘ মাসের শুক্লা একাদশীতে দক্ষিণ বঙ্গের একটি বহুপ্রচলিত গ্রাম্যরীতি হল ভৈম-একাদশীর ব্রত পালন । মহাভারতের ভীম এবং একাদশীর এই যোগসূত্র কি  সেই নিয়ে এই আলোচনা। যদিও এই বিষয়ে নানা মুনির নানা মত। তাই পশ্চিমবঙ্গে প্রচলিত একটি মতের  কথা উল্লেখ করছি।  হিন্দুঘরের বিধবা কুন্তী স্নান করে একাদশীর উপবাস করেন । মাঘ মাসের প্রচন্ড ঠান্ডায় পুকুরের ঠান্ডাজলে কেমন করে স্নান করবেন তা ভেবে পান না । কিন্তু সাতপাঁচ ভেবেও ঐ ঠান্ডা জলে তাঁকে নামতে হ'ল । স্নান সেরে ঠান্ডায় কাঁপতে কাঁপতে কুন্তী ঘরের দিকে আসার পথে তাঁর মধ্যমপুত্র ভীমের সাথে দেখা হল । ঠান্ডায় কাবু মা'কে দেখে শীতের ওপর ভীমের খুব রাগ হ'ল  । মায়ের কষ্ট তাঁর সহ্য হচ্ছিল না। তখন ভীম লাঙ্গল থেকে ফাল খুলে নিয়ে আগুণে কশকশে করে গরম করে "জয় শ্রী কৃষ্ণ" বলে সেই লাঙ্গলের ফালকে পুকুরের ঠান্ডা জলে ডুবিয়ে দিলেন । আর দেখতে দেখতে যেন শীত পালিয়ে গেল। পান্ডবসখা শ্রী কৃষ্ণ ভক্ত ভীমের মনস্কামনা পূর্ণ করলেন । হঠাৎ ভীম মায়ের দিকে চেয়ে দেখেন, কুন্তী খুব আরাম বোধ করছেন । এদিকে জলের দেবতা হলেন বরুণদেব। পুকুরের জলে আগুনে গরম লাঙলে...