পোস্টগুলি

বেদ এবং পুরাণের সংক্ষিপ্ত বিবরণ ও ইতিহাস।

ছবি
 বেদ এবং পুরাণের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস:- कृष्णं नारायणं वन्दे कृष्णं वन्दे व्रजप्रियम्। कृष्णं द्वैपायनं वन्दे कृष्णं वन्दे पृथासुतम्॥ বেদ:- সনাতন হিন্দু ধর্মের সর্বপ্রাচীন পবিত্র ধর্মগ্রন্থ । বেদ "অপৌরুষেয়, "নৈর্বক্তিক ও রচয়িতা-শূন্য"। সনাতন ধর্মের  শাস্ত্র অনুযায়ী পরব্রহ্মই সৃষ্টির আদিতে মানব হিতার্থে বেদের জ্ঞান প্রকাশ করেন। তাই সনাতন হিন্দু ধর্মে বেদের স্থান সবার উপরে ,বেদ ই সনাতন হিন্দু ধর্মের মূল ভিত্তি স্তম্ভ।বেদ যেমন পরব্রহ্ম শ্রী হরি নারায়ণের মুখ নিঃসৃত বাণী তেমনি শ্রীমদ্ভগবদ গীতা  শ্রী হরি নারায়ণের অংশ অবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মুখ নিঃসৃত বাণী সেই কারনে গীতা বেদের সমতুল্য। সনাতন ধর্মে  বেদ বাক্য  ও গীতার বাণী সর্বোপরি। শ্রীমদ্ভগবত গীতা সংস্কৃত মহাকাব্য মহাভারতের  অংশ তথাপি এটি একটি স্বতন্ত্র ধর্মগ্রন্থের তথা পৃথক শাস্ত্রের মর্যাদা পেয়ে থাকে। বেদ শ্রুতি বিভাগের মধ্যে আসে,শ্রীমদ্ভগবত গীতা স্মৃতি সাহিত্যের মধ্যে আসে।  শ্রী হরি নারায়ণ ব্রহ্ম রূপে ব্রহ্মা কে বেদ প্রদান করেন এবং মৎস্য রূপে বেদ কে রক্ষা করেন।  পুরাণ:- অত্যন্ত  সহজ  সরল ভাষায় পুরাণ হলো -পুরাকালের  ইতিহাস,

গোবর্ধন পূজা ,অন্নকূট মহোৎসব ও বাঁধনা পরব।

ছবি
  গিরি গোবর্ধন  পূজা  ,অন্নকূট মহোৎসব ও  বাঁদনা  বা  বাঁধনা পরব। পৌরাণিক কাহিনি। প্রত্যেক বছর বৃন্দাবনবাসীরা বৃষ্টির দেবতা দেবরাজ ইন্দ্রের পূজা  করতেন । গোকুলে থাকার সময়ে কৃষ্ণ একবার বৃন্দাবনবাসীদের  দেবরাজ ইন্দ্রের পূজা করতে নিষেধ করেন। তাই কৃষ্ণের উপদেশ অনুসারে তারা সেই বছর ইন্দ্রের পূজা  বন্ধ করে দেন। এতে দেবরাজ  ইন্দ্র রেগে গিয়ে বৃন্দাবনের উপরে মুষলধারে বর্ষণ করেন। বৃন্দাবনবাসীদের ওই বিপদ থেকে রক্ষার জন্য কৃষ্ণ গিরিধারীরূপে গোবর্ধন পর্বতকে  উপরে ছাতার মতো করে ধারণ করলেন এবং বৃন্দাবনবাসীরা তার নিচে তাদের গাভী দের  নিয়ে আশ্রয় নিলেন। । ইন্দ্র পরাজিত হন। অহংকারী ইন্দ্র লজ্জিত হয়ে শ্রীকৃষ্ণ পদে আত্মনিবেদন করলেন। তার পর থেকে কৃষ্ণের নির্দেশে বৃন্দাবনবাসীরা কার্তিক মাসে অমাবস্যার পরদিন ‘গিরি গোবর্ধন’পূজা ও  গরু গাভীদের  পূজা আরম্ভ করেন। সেই পূজাই গোবর্দ্ধন পূজা / অন্নকূট উৎসব। এই অনুষ্ঠান থেকেই গোবর্দ্ধন পূজা / অন্নকূট মহোৎসবের সূচনা।  এদিন থেকেই  গিরি গোবর্দ্ধন পূজার সাথে  গোমাতার (সুরভি /কামধেনু) পূজা ও গো বন্দনা করা হয় । এদিন গরু গাভীদের  গায়ে বিভিন্ন প্রকারের রং ও  আলতা দিয়ে ছাপ দেও

অযোধ্যার এক রাজকন্যা কিভাবে দক্ষিণ কোরিয়ার মহারানী হয়েছিলেন ।

ছবি
অযোধ্যার  রাজকন্যা  সূর্য রত্না  (সুরিরত্না) বিয়ের পরে  -দক্ষিণ কোরিয়ার রানী   হিও ।   দক্ষিণ কোরিয়া উত্তর-পূর্ব এশিয়ার একটি দেশ যা কোরীয় উপদ্বীপের দক্ষিণ অংশটি নিয়ে গঠিত। এর সরকারি নাম কোরীয় প্রজাতন্ত্র (কোরীয়: 대한민국 দাএ-হান্-মিন্-‌গুক্‌ )। দক্ষিণ কোরিয়ার উত্তরে, উত্তর কোরিয়া, পূর্বে জাপান সাগর, দক্ষিণে ও দক্ষিণ-পূর্বে কোরিয়া প্রণালী, যা জাপান থেকে দেশটিকে পৃথক করেছে, এবং পশ্চিমে পীত সাগর। সিউল হচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়ার বৃহত্তম শহর ও রাজধানী । এই এই সুন্দর দেশ দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে  ভারতের এক পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে।  দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে  ভারতের এক পারিবারিক সম্পর্ক। দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে  ভারতের   এই পারিবারিক সম্পর্কের কারণ অযোধ্যা নগরীর  রাজকন্যা সূর্য রত্না(সুরিরত্না)।  পড়ুন >> তথ্য অনুসন্ধান অনুসারে ,৩৩ খ্রিষ্টাব্দে ভারতবর্ষের অযোধ্যা নগরীতে রাজকন্যা সূর্য রত্নার(সুরিরত্না) জন্ম হয় । কিংবদন্তি অনুসারে অযোধ্যার  রাজকন্যা সুরিরত্নার  পিতা মাতা  স্বপ্নে  দেখেছিলেন  তার মেয়ে সূর্যরত্নার  দক্ষিণ কোরিয়ার( Geumgwan Gaya  also known as Bon-Gaya (본가야, 本伽倻, "original Gay

ভারতবর্ষ নামটির উৎপত্তি এবং প্রাচীন ভারতবর্ষের দুই প্রধান রাজবংশ - সূর্য বংশ ও চন্দ্র বংশের ইতিহাস।

ছবি
সূর্য বংশ ও চন্দ্র বংশ পৌরাণিক ইতিহাস থেকে আমরা জানতে পারি প্রাচীন কালে  দুটি প্রধান শক্তিশালী ও ধনশালী রাজবংশ ভারতবর্ষে রাজত্ব করেছিলেন ।এই  রাজ বংশ দুটির নাম হল সূর্য বংশ এবং চন্দ্র বংশ। রামায়ণ মহাভারত এবং পুরাণ গুলিতে এই বংশ দুটির শৌর্য, পরাক্রম, এবং ধর্ম পালন এর কথা  বর্ণনা করা   হয়েছে। বিভিন্ন পুরাণে এই বংশ দুটির পরম্পরা দেওয়া আছে। পুরাণ গুলিতে একই বংশের বর্ণনায় কিছুটা তারতম্য দেখা যায় । এই বিভ্রান্তির প্রধান  কারণ হল এর প্রাচীনত্ব। তবে যারা ইতিহাসের মূল নায়ক তাদের নিয়ে কোন দ্বিমত নেই যেমন- দশরথের পুত্র রাম, বাসুদেব (বসুদেব) পুত্র কৃষ্ণ  ইত্যাদি । যাই হোক প্রথমে  সূর্য বংশের কথাতে যাই। সূর্য বংশ:-  প্রজাপতি কশ্যপের পৌত্র বিবস্বান (সূর্য) থেকে সূর্য বংশের উৎপত্তি। এই সূর্য বংশের প্রথম রাজা  হলেন ইক্ষ্বাকু। তিনি ছিলেন বৈবস্বত মনুর পুত্র। তিনি প্রথম অযোধ্যার সিংহাসনে বসেন। এই রাজ বংশ থেকে অনেক জগৎ বিখ্যাত এবং দিগ্বিজয়ী রাজা আমাদের দেশের শাসক ছিলেন । যেমন রাজা যুবনাশ্বের পুত্র– রাজা মান্ধাতা ।  বিষ্ণুপুরাণে মান্ধাতার কাহিনি পাওয়া যায় । ভগবান শ্রী রামচন্দ্র। এই বংশের আরেক