পোস্টগুলি

শ্রী শ্রী মা মহালক্ষ্মী এবং তাঁর বিভিন্ন রূপ ও পূজার নিয়ম ।

ছবি
ऊँ श्रीं ह्रीं श्रीं कमले कमलालये प्रसीद प्रसीद श्रीं ह्रीं श्रीं ऊँ महालक्ष्मी नमः শ্রী শ্রী মা লক্ষ্মী (সংস্কৃত: लक्ष्मी) হলেন  ধনসম্পদ, আধ্যাত্মিক সম্পদ, সৌভাগ্য ও সৌন্দর্যের দেবী। ভগবান নারায়নের বাম বাহুর থেকে এঁনার উৎপত্তি সেই জন্য দেবী লক্ষ্মীকে বিষ্ণু-শক্তি বলা হয় , ইনি ভগবান নারায়নের পত্নী। এঁনার  অপর নাম মহালক্ষ্মী ।  মা লক্ষ্মী প্রকৃতির রজোগুণের প্রতীক। ভগবান বিষ্ণু  রজোগুণের দ্বারা প্রাণিকুলকে পালন করছেন। যে শক্তি দ্বারা ভগবান বিষ্ণু জগৎকে পালন করছেন সে শক্তিই হলেন মা লক্ষ্মী ।  আমাদের শাস্ত্রে অষ্টলক্ষ্মীর কথা বলা হয়েছে ।  মা লক্ষ্মীর এই আটটি রূপ হলেন।  1. আদিলক্ষ্মী 2.ধনলক্ষ্মী 3.ধান্যলক্ষ্মী 4.গজলক্ষ্মী 5. সন্তানলক্ষ্মী 6.  ধৈর্য/ বীর লক্ষ্মী 7. বিজয়লক্ষ্মী 8. বিদ্যালক্ষ্মী । শুনুন অষ্টলক্ষ্মীর বন্দনা/স্তুতি/ স্তব। শ্রী শ্রী  আদি লক্ষ্মী অষ্টলক্ষ্মীর বিবরণ। 1 .“ আদি লক্ষ্মী ” এঁনাকে কিছু পুরাণে সাগর কন্যা বলা হয়। সমুদ্র মন্থনের সময় ইনি প্রকটিত হয়ে ভগবান বিষ্ণুকে পতি রূপে বরণ করেন । ধনতেরাস (ধনতেরাস/ ধন ত্রয়োদশী-এই দিন ভগবান নারায়ণের অংশ  অবতার ভগবান ধন্বন্

বিলুপ্তির পথে পুরোহিত ও পৌরহিত্য' এবং সংক্ষেপে সনাতন হিন্দু ধর্মে পূজার ক্রম/নিয়ম।

ছবি
পৌরহিত্য' ও পুরোহিত ব্রাহ্মণ । পুরোহিত ও পৌরহিত্য নিয়ে জানার  আগে আমাদের কতগুলি টার্ম (সংজ্ঞা ) স্পষ্ট ভাবে  জানা  দরকার।  1.গুরু: গু এর  অর্থ অন্ধকার এবং রু এর অর্থ প্রকাশ । অর্থাৎ যিনি অন্ধকার থেকে  আলোর রাস্তায় নিয়ে যান  তিনি হলেন গুরু। উদাহরণ;দেব গুরু(বৃহস্পতি ), রাজগুরু ইত্যাদি।  2.আচার্য: যার বেদ এবং শাস্ত্রের জ্ঞান আছে  এবং যিনি গুরুকুলে  ছাত্রদের  শিক্ষা প্রদান করেন তাকে আচার্য বলা হয় ।মহান আচার্য্যের উদাহরণ - কৃপাচার্য,দ্রোণাচার্য্য ।  3.পুজারি:- যিনি মন্দির বা অন্য কোন স্থানে পূজা পাঠ করেন তিনি হলেন পূজারী।পূজারীগণ পূজা, আরতি, ভগবানের মূর্তির যত্ন নেওয়া সহ মন্দিরের নিত্যকর্মসমূহ সম্পাদন করেন। 4.পুরোহিত;- পুরোহিত দুটো শব্দ দিয়ে তৈরি :-পর এবং হিত অর্থাৎ যিনি অন্যের (হিত ) ভালো করেন। উদাহরণ;-রাজ পুরোহিত ,কুলপুরোহিত ইত্যাদি।  আমাদের সমাজের এই পুরোহিতরা অতি  সামান্য পারিশ্রমিকের বিনিময়ে আমাদের হিত করে চলেছেন কারণ এঁদের  ধর্মচিন্তা আলাদা  কিন্তু  আমাদের ধর্মচিন্তা বড়ই অদ্ভুত ও বিচিত্র। আমরা  যেমন  হাজার হাজার অন্যায় ,অবিচার পাপ ও ব্যভিচার করার পর, একবার গঙ্গা স্নান করেই অন্

মুক্তি ,ভক্তি ও ষড়রিপু এবং মানব জীবনে ষড়রিপুর প্রভাব:ষড়রিপু কে নিয়ন্ত্রণ বা দমন করার উপায়।

ছবি
পৃথিবীতে সৃষ্ট প্রাণীর মধ্যে মানুষই সর্বশ্রেষ্ঠ । এই  শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের পেছনে মানুষের মধ্যে যে বিষয়গুলো সদা-সর্বদা ক্রিয়াশীল তা হলো তার বিবেক, বুদ্ধি, বিচক্ষণতা ও আত্মনিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা। 1.বিবেক- হলো মানুষের অন্তর্নিহীত শক্তি যার দ্বারা ন্যায়, অন্যায়, ভালোমন্দ,  ধর্ম,অধর্ম বিচার-বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা অর্জিত হয়। 2.বুদ্ধি -হলো মানুষের বিচার শক্তি  বা বোধশক্তি যার দ্বারা আমরা পেয়ে থাকি  জীবন ও জগতে সংগঠিত যাবতীয় ক্রিয়াকলাপে নিজেকে খাপ খাইয়ে নেওয়ার বিজ্ঞানসম্মত ক্ষমতা ও দক্ষতা । 3.বিচক্ষণতা হলো মানুষের দূরদর্শীতা যার মাধ্যমে মানুষ জীবনে আগত ও অনাগত বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করে নিজেকে সর্বত্র সাবলীল ও সফল করে তুলতে সক্ষম হয়। 4.আত্মনিয়ন্ত্রণ- হলো মানুষের সংযমন যার দ্বারা মানুষ তার জীবনের সর্বত্র সংযত,সুসংবদ্ধ ও শৃঙ্খলিত জীবন অনুধাবনে সক্ষম হয়। সুন্দর ও আদর্শ জীবন গঠনের উল্লেখিত সূচকগুলো যার কারণে প্রায়ই বাধাপ্রাপ্ত ও শ্বাসরুদ্ধ হয় তার নাম হলো ষড়রিপু । এই ষড়রিপু আমাদের মন অনিয়ন্ত্রত করে এবং অনিয়ন্ত্রত মন আমাদের কুপথে চালনা করে।   শ্রীমদ্ভাগবত মহাপুরাণে ষড়রিপুকে এই সংসার সাগরের জল জন্তু হিসাবে বর্ণনা