হে প্রভু ,হে শ্রী হরি, হে নারায়ণ ,আপনিই অনন্ত ,আপনিই এই সৃষ্টির স্রষ্টা এবং আপনি ই আদি এবং আপনিই অন্ত। এই লেখাটিতে আপনার কথা বর্ণনা করিলাম,ভুল ত্রুটি মার্জনা করিবেন। আপনার শ্রী চরণে অনন্ত কোটি বার প্রণাম। 🙏
শ্রী মহা বিষ্ণুর ষোড়শ (১৬) নাম স্তোত্রম।
ব্রহ্মা ,বিষ্ণু ,ও শিবের আয়ু কত?
আমাদের বেদে এই বিষয়ে কোনো কিছু স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ নেই তবে পরব্রহ্ম কে অনাদি ,অনন্ত বলা হয়েছে। আমাদের পুরান গুলিতে ভগবানদের আয়ু নিয়ে নানা মুনির নানা মত,ভিন্ন ভিন্ন ভগবানের নামে ভিন্ন ভিন্ন পুরান তৈরি হয়েছে এবং প্রত্যেক পুরান তাঁর দেবতা কে সর্বোচ্চ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করে। এগুলি ঘটার কারন পুরানগুলি স্মরণ করে লেখা হয়েছে এবং প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম মুখেমুখে প্রচারিত এবং লিপিকার দের পরিমার্জিত ,পরিবর্তিত ও সংশোধিত হয়েছে। সেই জন্য পুরানগুলির মধ্যে স্থান ,কাল ও ভাষা ভেদে পার্থ্যক্য লক্ষ্য করা যায়।
দ্বাপর যুগে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুন কে যে বিরাট রূপ /বিশ্বরূপ দেখিয়েছিলেন তাতে ঈশ্বরের সমস্ত রূপ গুলিকে একসাথে ও এক ঈশ্বরের মধ্যে দেখতে পাওয়া যায়। তাই ব্রহ্মা ,বিষ্ণু ,ও মহেশ (শিব) এঁরা তিন জন একই ,এঁরা পৃথক নন। তাই ভগবান বিষ্ণু ও শিবের এককৃত রূপ হরিহর ( যিনি হরি তিনিই হর) কে আমরা পূজা করি। অনন্ত কোটি ব্রহ্মান্ডের ও চিন্ময় জগতের মালিক প্রভু শ্রী হরি নারায়নের বয়স কত এর উত্তর শ্রেফ তিনিই জানেন ,দেব ,দানব ও মানবের পক্ষে এর উত্তর দেওয়া অসম্ভব। তাই ব্রহ্মা ,বিষ্ণু ,ও শিবের আয়ু কত? তা বলা সম্ভব নয়।
তবে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন যে বস্তুগত মহাবিশ্বের সমস্ত গ্রহ, নক্ষত্র ইত্যাদি 4,300,000 x 1,000 x 2 x 30 x 12 x 100 সৌর বছরের শেষে ধ্বংস হয়ে যায়। তাই বলা যেতে পারে এক ব্রহ্মার আয়ু কাল 4,300,000 x 1,000 x 2 x 30 x 12 x 100 সৌর বছর = 311,040,000,000,000 বছর।
সবাই ভালো থাকুন ,সুস্থ থাকুন। সমগ্র মানব জাতি ও জীব জন্তুর কল্যাণ হোক। শান্তির জয় হোক,সত্যের জয় হোক,মানবতার জয় হোক ,সনাতন ধর্মের জয় হোক। 🙏
প্রবীর কুমার মহান্তী ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উৎকল ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। প্রবীরের বইগুলি Amazon.com. flipkart.com, abebooks.com এর মাধ্যমে বিক্রি হয়। গুগল ও অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন থেকে সার্চ করে এখনো পর্যন্ত ১২ লাখের বেশি লোক প্রবীরের লেখা আর্টিকেল গুলি পড়েছেন।Comment of Author:-This article has been penned under the divine inspiration of Lord Jagannath. If anybody or any organization doesn't agree with any content of this article, he or they may mention it in the comments with documentary evidence and it will be corrected. Any comments in this regard without documentary evidence and source of Information will be treated as mala fide and will be deleted.
আরতি বা আরাত্রিক :- আরতির অর্থ হল-পূর্ণ প্রেম। দেবতার প্রতিকৃতির সম্মুখে প্রদীপ, জলপূর্ণ শঙ্খ, বস্ত্র, পুষ্প এবং চামরাদি আবর্তনে দেবতাকে প্রীত ও সংবর্ধিত করবার যে অনুষ্ঠান তাকেই আরতি বা আরাত্রিক বলে।আরাত্রিকের অপর নাম 'নীরাজন', প্রচলিত ভাষায় বলে আরতি। দেবদেবীর আরতি করলে,দেবদেবীর পূজার মধ্যে যদি কোন ত্রুটি থেকে যায় তাহা দূর হয় এবং পূজা ফলবতী হয়। আরতির মাহাত্ম্য/মহিমা প্রসঙ্গে শাস্ত্রে আছে:- " মন্ত্রহীনং ক্রিয়াহীনং যৎকৃতং পূজনং হরেঃ। সর্বং সম্পূর্ণতামেতি কৃতে নীরাজনে শিবে।।" (হরিভক্তিবিলাস) অর্থাৎ দেবদেবীর আরতি করলে, যে কোন পূজা তা মন্ত্রবর্জিত হোক আর ক্রিয়াবর্জিত হোক, ফলবতী হবেই। যে ব্যক্তি নীরাজন দ্বারা শ্রীভগবানের পূজা করেন ,তিনি ইহলোক এবং পরলোক উভয় লোকে থেকেই মুক্তিপ্রাপ্ত হন। যিনি শঙ্খ, চক্র, গদা, পদ্ম ধারী ভগবান বিষ্ণুর আরাত্রিক ভক্তিচিত্তে দর্শন করেন, তিনি তাঁর পরম পদ লাভ করেন। আচমন, প্রাণায়াম, বিভিন্ন প্রকার শুদ্ধি এবং ন্যাসাদি যে-অর্থে পূজার অঙ্গীভূত অবশ্য করণীয় অনুষ্ঠান, আরতি ঠিক সেই অর্থে পূজাঙ্গীভূত অবশ্য করণ...
ভগবান শ্রী শ্রী কার্তিকের ধর্মপত্নী দেবী দেবসেনা এবং দেবী বল্লী ।। মা ষষ্ঠীদেবী ।। ষষ্ঠী দেবী বা ষষ্ঠীঠাকুর হলেন প্রজননের দেবী, দেবী ষষ্ঠী সন্তান দায়িনী, তার কৃপায় নিঃসন্তান সন্তানবতী হ ন এবং তিনিই সন্তানের রক্ষাকর্ত্রী মাতৃকা , তিনিই সন্তান পালিনী দেবী , মঙ্গলদায়িনী প্রকৃতি। হিন্দু বর্ষ পঞ্জীর প্রতিমাসের শুক্লাষষ্ঠী তিথিতে বিভিন্ন নামে ষষ্ঠীদেবী পূজিতা হন ।যেমন জৈষ্ঠ মাসে: অরণ্যষষ্ঠী, শ্রাবণ মাসে: লুণ্ঠন বা লোটনষষ্ঠী, ভাদ্র মাসে : মন্থনষষ্ঠী, আশ্বিন মাসে: দুর্গাষষ্ঠী বা বোধনষষ্ঠী, অগ্রহায়ণ মাসে: মূলাষষ্ঠী, পৌষ মাসে: পাটাইষষ্ঠী, মাঘমাসে শীতলষষ্ঠী বা গোটাষষ্ঠী বা শিলষষ্ঠী , চৈত্র মাসে: অশোকষষ্ঠী এবং নীলষষ্ঠী ইত্যাদি । এছাড়া, শিশুর জন্মের দু'দিন পর 'সূতিকা ষষ্ঠী , ষষ্ঠ দিনে 'ঘাটষষ্ঠী', একুশদিনে ' একুশে ' এবং শিশুর বারো বছর বয়স পর্যন্ত প্রতি জন্মতিথিতে 'জল ষষ্ঠী' দেবীর পূজা হয়ে থাকে। শীতল ষষ্ঠী /শিলষষ্ঠী/ গোটাষষ্ঠী :- মাঘ মাসে সরস্বতী...
চার যুগের সময় পরিমাণ ও বৈশিষ্ট্যসমূহ:- হে ভক্ত বৎসল প্রভু ,হে প্রভু নারায়ণ ,আপনিই এই সৃষ্টির স্রষ্টা এবং আপনি ই আদি এবং আপনিই অন্ত। আপনিই যুগ পরিবর্তক দেবতা। আপনারেই ইচ্ছায় যুগ পরিবর্তনের প্রাক্কালে আপনার প্রিয় ভক্তদের রক্ষা, পরিত্রাণ ও কল্যাণের জন্য যুগ পরিবর্তন ও তার লক্ষণ ও এই কলিযুগের অন্তে আপনার অবতারের কথা বর্ণনা করিলাম,ভুল ত্রুটি মার্জনা করিবেন। নারায়ণ নারায়ণ জয় জয় গোবিন্দ হরে। ★ ১.সত্য যুগ হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী সত্য যুগ হলো, চার যুগের প্রথম যুগ। অন্য যুগ গুলো হলো ত্রেতা যুগ, দ্বাপর যুগ ও কলি যুগ। মৎস্য অবতার বৈশাখ মাসের শুক্ল পক্ষে তৃতীয়া তিথিতে রবিবারে সত্যযুগের উৎপত্তি। এই যুগে ভগবান ৪ টি রূপে অবতার নিয়েছিলেন । 1. মৎস্য (মাছ), 2.কুর্ম (কচ্ছপ), 3.বরাহ (শুকর), 4. নরসিংহ (সংস্কৃত: नरसिंह, বানানান্তরে নৃসিংহ-মানুষ ও সিংহের সমন্বিত রূপ)। কুর্ম অবতার বরাহ অবতার এই যুগে শুধু পুণ্য ছিল,পাপ ছিল না। প্রাণ ছিল মজ্জায়। মৃত্যু ছিল ইচ্ছাধীন। এই যুগে সোনার পাত্র ব্যবহার করা হত। ...