পোস্টগুলি

ভগবান কে ? পরমাত্মা কে ? ভগবান কোথায় থাকেন ? ভগবান কি খাবার খান ?

ছবি
হে প্রভু , হে নারায়ণ ,আপনিই অনন্ত ,আপনিই এই সৃষ্টির  স্রষ্টা এবং আপনি ই আদি এবং আপনিই অন্ত। এই লেখাটিতে আপনার কথা বর্ণনা করিলাম,ভুল ত্রুটি মার্জনা করিবেন। আপনার শ্রী চরণে অনন্ত কোটি বার প্রণাম। 🙏 শ্রী মহা বিষ্ণুর ষোড়শ (১৬) নাম স্তোত্রম।    ভগবান কে ? ভগবান একটি গুন বাচক শব্দ। যার অর্থ গুণবান। এটি ভগ ধাতু থেকে এসেছে। এখানে ভগের  ছটি  অর্থ ১.সমগ্র  ঐশ্বর্য,২. সমগ্র বীর্য,৩.সমগ্র যশ, ৪.সমগ্র শ্রী,৫. সমগ্র জ্ঞান,৬. সমগ্র বৈরাগ্য। আর যিনি এই ছয় টি   গুণ ধারন করেন তাকে আমরা বলি 'ভগবান'।   এই জগতে কেউ বড় ধনী হতে পারে, কিন্তু কেউ দাবী করতে পারে ন  না আমি সমস্ত ধনের মালিক । এই জগতে কেউ জ্ঞানী হতে পারে ন  ,কিন্তু  কেউ  দাবী করতে পারে ন  না  সে  সমস্ত জ্ঞানের অধিকারী । কিন্তু ভগবান সমস্ত ধন ,সমস্ত জ্ঞান ,সমস্ত সৌন্দর্য্য ,সমস্ত যশ ,সমস্ত শক্তির অধিকারী , তাই তাকে বলা হয় ভগবান । ঈশ্বর   ।   শাস্ত্র বা শব্দকোষ অনুসারে ঈশ্বর শব্দের অর্থ হচ্ছে -নিয়ন্ত্রণ বা নিয়ন্ত্রণ কর্তা অর্থাত্‍ যিনি নিয়ন্ত্রণ করেন ।  পরমেশ্বর । আর যিনি  ঈশ্বরগণেরও ঈশ্বর তিনি হলেন পরমেশ্বর । তাঁর  অপর নাম গ

সনাতন ধর্মের লক্ষণঃ শাস্ত্রগ্রন্থের সংখ্যা এবং ৩৩ কোটি দেবতার ধারণা।

ছবি
ধর্মঃ। ধারণাদ্ ধর্ম ইত্যাহুধর্মেণ বিধৃতাঃ প্রজাঃ। যঃ স্যাদ্ ধারণসংযুক্তঃ স ধর্ম ইতি নেতরঃ ॥ অর্থাত্‍ ধারণ ক্রিয়া (ধৃ+মন্) থেকে ধর্ম শব্দের উত্‍পত্তি ।  ধর্ম সৃষ্টিকে বিশেষভাবে ধারণ করে রয়েছে ।   বৈষয়িক দর্শনে বলা হয়েছে- যতোহভ্যুদয়-নিঃশ্রেয়সিদ্ধি সঃ ধর্মঃ ॥   অর্থাত্‍   যা থেকে জাগতিক কল্যাণ ও মোক্ষলাভ হয়-সেটিই ধর্ম।  হিন্দু ।   হিন্দু শব্দটি র  উৎপত্তি   হয়েছে সংস্কৃত সিন্ধু শব্দটি থেকে। সিন্ধু ভারতীয় উপমহাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের একটি ঐতিহাসিক নদীর নাম। ঐতিহাসিকভাবে সিন্ধুনদের পূর্বে বর্তমান ভারতকেই হিন্দুদের ভূমি বলে বর্ণনা করা হয়েছে। পরবর্তীকালের আরবি সাহিত্যেও আল-হিন্দ শব্দটির মাধ্যমে সিন্ধু নদ অববাহিকায় বসবাসকারী জনগোষ্ঠীকে বোঝানো হয়েছে। ত্রয়োদশ শতাব্দীতে ভারতের নামের সমার্থক শব্দ হিসেবে হিন্দুস্তান বা হিন্দুস্থান শব্দটির উৎপত্তি হয়। এই শব্দের আক্ষরিক অর্থ "হিন্দুদের দেশ"। হিন্দুধর্মের    গুরুত্বপূর্ণ বিষয় । হিন্দুধর্মকে বলা হয় পৃথিবীর প্রাচীনতম ধর্ম। কারণ  এটি ( হিন্দু ধর্ম  ) প্রাচীনযুগে আর্বিভূত হয়েছে এবং  হিন্দু  ধর্মাবলম্বীরা একে সনাতন ধর্ম

ভগবান শিব - শিবরাত্রি এবং মহাশিবরাত্রি।

ছবি
শিব আক্ষরিক অর্থে "শুভ" বা "মঙ্গল"। তিনি ত্রিমূর্তির  অন্যতম।  শিব ধ্বংসের প্রতীক।তাঁর অন্য নাম গুলি হল -মহেশ /মহেশ্বর, শঙ্কর, ভোলানাথ, নীলকণ্ঠ, মহাদেব, রুদ্র ইত্যাদি। তাঁর তৃতীয় নয়ন, গলায় বাসুকী নাগ, জটায় অর্ধচন্দ্র, জটার উপর থেকে প্রবাহিত গঙ্গা, তাঁর অস্ত্র- ত্রিশূল ও বাদ্য ডমরু। তাঁর মন্ত্র :-ওঁ নমঃ শিবায়।   ব্যুৎপত্তি ও  নাম : প্রথমে এই মহাবিশ্বে কিছুই ছিল না সম্পূর্ন শূন্য ছিল । সেই শূন্যতার সৃষ্টি মহা জ্যোতি পূঞ্জ থেকে । সেই জ্যোতি ধীরে ধীরে মানুষ রূপ ধারন করে ।সেই আদি পূরুষ হচ্ছেন ভগবান নারায়ন । তারপর নারায়ন যোগ নিদ্রায় মগ্ন হন  ।সেই যোগ নিদ্রা থেকে ব্রহ্মা জল নির্গত হয় ও ক্ষীর সাগরের তৈরী হয় । এরপর শ্রী নারায়নের নাভী থেকে একটি পদ্মফুলের কলি সৃষ্টি হয় এবং নারায়নের একটি প্রতিরুপ গিয়ে ঐ পদ্মফুলকে প্রস্ফুটিত করেন ।ঐ পদ্মথেকে ব্রহ্মার সৃষ্টি হয় । এরপর নারায়নের ভ্রকুটি থেকে একটি রুদ্রাক্ষের সৃষ্টি হয় । পরে নারায়নের একটি প্রতিরূপ গিয়ে তার বিষ্ফোরন ঘটিয়ে শিবের সৃষ্টি করেন  । এরপর ব্রহ্মা ও শিব নারায়নের স্তুতি করেন ও তাদের পরিচয় জানতে চা

অক্ষয় তৃতীয়া এবং অক্ষয় তৃতীয়ার পূজা ।

ছবি
সংস্কৃত ভাষায়, "অক্ষয়" (अक्षय) শব্দটি র   অর্থ  " যাহার  ক্ষয়  হয় না, যাহা    চিরস্থায়ী " ।  অক্ষয় তৃতীয়া আমাদের দেশে একটি পুণ্যতিথি রূপে বিবেচিত। এটি বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয়াতে পড়ে। অক্ষয় তৃতীয়া (ইংরেজি: Akshaya Tritiya) হল  বৈশাখ মাসের শুক্লাতৃতীয়া অর্থাৎ শুক্লপক্ষের তৃতীয়া তিথি। হিন্দু ও জৈন ধর্মাবলম্বীদের কাছে এটি একটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ তিথি। অক্ষয়তৃতীয়ার গুরূত্ব :- ১)বদ্রিনারায়ণ থেকে সামান্য দূরে  মানা গ্রাম। এই গ্রামের ব্যাস গুহায় বসে  ব্যাসদেব শ্রুতিলিখনকারী গণেশজিকে সঙ্গে নিয়ে অক্ষয় তৃতীয়ার পবিত্র দিনে শুরু করেছিলেন  মহাভারত রচনা।  ২) এদিনই রাজা ভগীরথ গঙ্গা দেবীকে মর্ত্যে নিয়ে এসেছিলেন। ৩) এদিনই দেবী অন্নপূর্ণার আবির্ভাব ঘটে। ৪) এদিনই সত্যযুগের সূচনা হয়। ৫) এদিনই কুবেরের তপস্যায় তুষ্ট হয়ে মহাদেব তাঁকে অতুল ঐশ্বর্য প্রদান করেন। এদিনই কুবেরের লক্ষ্মী লাভ হয়েছিল বলে এদিন বৈভব-লক্ষ্মীর পূজা করা হয়। ৬) এদিনই বিষ্ণুর ষষ্ঠ অবতার পরশুরাম জন্ম নেন পৃথিবীতে। সেই  জন্য এই দিনটি পরশুরাম জয়ন্তী হিসেবে পালিত হয় । ৭

শ্রীকৃষ্ণ ও শ্রীকৃষ্ণ লীলা এবং প্রভু জগন্নাথ।

ছবি
হে প্রভু ,হে শ্রী হরি, হে নারায়ণ ,আপনিই অনন্ত ,আপনিই এই সৃষ্টির  স্রষ্টা এবং আপনি ই আদি এবং আপনিই অন্ত। এই লেখাটিতে আপনার কথা বর্ণনা করিলাম,ভুল ত্রুটি মার্জনা করিবেন। আপনার শ্রী চরণে অনন্ত কোটি বার প্রণাম। 🙏 ভগবান শ্রীকৃষ্ণ,অর্জুনকে মহাভারতের যুদ্ধে উপদেশ দেবার সময় বলেছিলেন। "যদা যদা হি ধর্মস্য গ্লানির্ভবতি ভারত; অভ্যুত্থানম ধর্মস্য, তদাত্মানং সৃজাম্যহম্।। পরিত্রাণায় সাধুনাং, বিনাশায় চ দুষ্কৃতাম্, ধর্ম সংস্থাপনায় সম্ভবামি যুগে যুগে!!" কুরুক্ষেত্রে-ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বিরাট রূপ। শ্রী মহা বিষ্ণুর ষোড়শ (১৬) নাম স্তোত্রম।  যার বাংলা অর্থ- যদা যদা  (যখন যখন),-হি ( ইন্দ্রিয়গোচর/বাস্তব/),- ধর্মস্য (ধর্মের),- গ্লানিঃ ( গ্লানি),- ভবতি (হয়),-ভারত (হে ভরতবংশী অর্জুন),- অভ্যুত্থানম্ (অভ্যুত্থান ঘটে),- অধর্মস্য (অধর্মের),-তদা ( তখনি ), -আত্মানং  ( নিজের রূপকে রচনা করি),-সৃজামি (লোকের সামনে প্রকট হই),-অহম ( আমি )॥ পরিত্রাণায় (পরিত্রাণ হেতু),-সাধুনাং (সাধুদের),- বিনাশায় (বিনাশ নিমিত্ত),- চ (এবং),- দুষ্কৃতাং (দুষ্কৃতীকারীদের),- ধর্মসংস্থাপনায় (ধর্ম সংস্থাপনের জন্য),-সম্ভব