পোস্টগুলি

দীপাবলি ও ধনত্রয়োদশী বা ধনতেরাস ।

ছবি
 দীপাবলি ও ধনত্রয়োদশী বা ধনতেরাস । দীপাবলি" শব্দটির(নামটির) অর্থ " দীপের সমষ্টি।  এই দিন  সনাতন ধর্মের লোকেরা (হিন্দুরা) তাঁদের ঘরের বাহিরে ও ভিতরে সারি সারি দীপ জ্বালিয়ে তাঁদের ঘর ও বাহির আলোকিত করেন , কারণ জনশ্রুতি অনুসারে এই দিনে  ভগবান রাম, রাবণকে পরাজিত করার পরে এবং তাঁর নির্বাসনের ১৪ বছর পূর্ণ করার পরে তাঁর রাজ্য অযোধ্যাতে ফিরে আসেন। অযোধ্যার লোকেরা তাদের প্রিয় রাজার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে উপলক্ষ্য করে  তাঁদের ঘর ,নগর  সাজিয়ে মাটির প্রদীপ দিয়ে আলোকিত করে এই দিনটি   উদযাপন করেছিলেন। ২.সমুদ্র মন্থনের সময় , দেবী লক্ষ্মী ক্ষীর সাগর থেকে আদি লক্ষ্মীরূপে উত্থিত  হয়েছিলেন এবং ভগবান বিষ্ণু তাঁকে এই দিনে তাঁর স্ত্রী হিসাবে গ্রহণ করেছিলেন। সেইজন্য এই শুভ দিনে, দেবী আদি লক্ষ্মী, শ্রী হরি  বিষ্ণুর এবং ভগবান গনেশের পূজা করা হয়। ৩. ভগবান কৃষ্ণ নরকাসুরের শিরশ্ছেদ করার পর, লোকেরা তাঁদের ঘর ,নগর  সাজিয়ে মাটির প্রদীপ দিয়ে আলোকিত করে এই দিনটি   উদযাপন করেছিলেন ।    দীপাবলি/দিওয়ালি: পূজার আচার অনুষ্ঠান ;- উপরিউক্ত কারনে সনাতন ধর্মালম্বীদের  কাছে দীপাবলি একটি অতন্ত্য শুভ দিন,আনন্দের

সনাতন হিন্দুধর্মের আসল পতাকা (flag)এবং সনাতন ধর্মে বর্ণিত ১৪ লোকের বিবরণ ও সনাতন ধর্মে ব্যবহৃত শব্দাবলীর সঠিক অর্থ।

ছবি
 পতাকা হল সাধারণত কাপড়ের তৈরি কোন ব্যক্তি ,বস্তু অথবা সংস্থার একটি বিশেষ অর্থবহ নিশান। পতাকা শব্দের  প্রতিশব্দ হল ,কেতন, ধ্বজা,বৈজয়ন্তী (উর্দ্দু: ঝাণ্ডা)ইত্যাদি । যেমন সমস্ত দেশের নিজস্ব পতাকা আছে ,তেমনি সমস্ত ধর্মেরও  নিজস্ব পতাকা আছে ,কিন্তু অনন্ত কোটি ব্রহ্মান্ডে ও চিন্ময় জগতে যে সনাতন বৈদিক ধর্ম বিদ্যমান সেই সনাতন হিন্দু  ধর্মের বেশির ভাগ লোকই জানেন না যে সনাতন হিন্দু  ধর্মের আসল পতাকা কোনটি ? সনাতন ধর্মের আসল পতাকা টি পাঁচ টি রং দিয়ে তৈরি। এই রং গুলি হল শ্বেত ,লোহিত ,পীত ,হরিৎ ,নীল অর্থাৎ  সাদা ,লাল ,হলুদ ,সবুজ ,ও নীল। সাদা রং সত্যের প্রতীক। লাল রং ক্ষমার প্রতীক। হলুদ রং দয়ার প্রতীক। সবুজ  রং শান্তির প্রতীক। নীল রং বিশ্বমৈত্রীর প্রতীক। এর মাঝে  গোলাকার রিংয়ের মধ্যে স্টার এবং তার মধ্যে স্বস্তিক চিহ্ন বিদ্যমান ,এই পতাকা টিই  ভগবান শ্রী কৃষ্ণ ব্যবহার করতেন। সনাতন ধর্মের আসল পতাকা সনাতন ধর্মে বর্ণিত ১৪ লোকের বিবরণ।   পুরাণ ও অথর্ববেদে চোদ্দটি লোকের উল্লেখ করা রয়েছে – সাতটি ঊর্ধ্বলোক এবং সাতটি নিম্নলোক। ঊর্ধ্বলোকগুলো হল – ভূ (ভূমি), ভূবঃ (বায়ু), স্ব (স্বর্গ), মহঃ, জন, তপ ও সত্য  (ব

মন পরিষ্কার রাখার,ও ধ্যান করার সহজ উপায়।

ছবি
  মানুষ যখন এই পৃথিবীতে জন্ম নেয়,তখন তাদের প্রত্যেকেরই মন গঙ্গা জলের  মতো পবিত্র হয়। তাদের মন দেবশিশুর মতো হয় । তখন দেবশিশু ও মানব শিশুর মনের মধ্যে কোন পার্থক্য থাকেনা।এই মানব শিশু যখন ধীরে, ধীরে বড়ো  হতে শুরু করে ,তখন যদি তার পরিবার ,আত্মীয়,স্বজন, কুটুম্ব,বন্ধু, বান্ধব, পাড়া, প্রতিবেশী এবং সমাজের  লোক তার সেই   গঙ্গা জলের  মতো পবিত্র মনে কাম-ক্রোধ-লোভ-অন্ধ মোহ,অহংকার,ঈর্ষা,  হিংসা,ঘৃণা নামক নোংরা/আবর্জনা ঢুকিয়ে দেয়, তখন সেই মানব শিশুর  গঙ্গা জলের  মতো পবিত্র মন নর্দমা তে পরিণত হয়। যার ফলে জন্মজাত দেব শিশু হয়ে উঠে দৈত্য ,দানব, মানুষ হয়ে উঠে  অমানুষ ।  তাই  আপনার  নিজের ও আপনার  ছেলেমেয়েদের  গঙ্গা জলের  মতো পবিত্র  মনে  অন্য কাউকে নোংরা/আবর্জনা ঢোকাতে  দিবেন না  এবং তাদের খারাপ মানুষদের কাছ থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করুন। এছাড়া নিজের ও আপনার  ছেলেমেয়েদের  মনকে সর্বদাই পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করুন। মন অপরিষ্কার হলেই মাথায় মধ্যে উল্টোপাল্টা চিন্তা বাসা বাঁধতে শুরু করে। অপরিষ্কার-মন। আমাদের মন একটা প্যারাসুটের মতো, খোলা থাকলেই ভালো কাজ করে ।’ আমরা সবাই খোলা মন নিয়ে জন্ম নিই। পারিবারিক, সামাজিক

মা বিপদতারিনীর পূজা ও তাঁর পূজার নিয়ম

ছবি
 মা বিপদতারিনীর পূজা ও তাঁর  পূজার নিয়ম পড়ার জন্য ক্লিক  করুন নিচে লাল রঙে লেখা মা বিপত্তারিণী  লিংক টি তে। মা বিপত্তারিণী

সিমলাপালের ইতিহাস।

ছবি
সিমলাপালের ইতিহাস পড়ার জন্য ক্লিক  করুন নিচে লাল রঙে লেখা - সিমলাপালের ইতিহাস লিংক টি তে। >>  সিমলাপালের ইতিহাস পড়ুন >>মাত্র ২১ বছর বয়স্ক এক আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সফটওয়্যার ডেভেলপার এবং একটি উৎকল ব্রাহ্মণ পরিবারের এক মাত্র সন্তান ৺ আকাশ মহান্তীর সংক্ষিপ্ত জীবনী ।

কলি যুগের নাথ প্রভু জগন্নাথ এবং তাঁর লীলা ও তাঁর মন্দিরের রহস্য এবং তাঁর পরম ভক্তদের কাহিনী।

ছবি
পুরির জগন্নাথ  মূর্তির মধ্যে এখনও স্পন্দিত হয় শ্রীকৃষ্ণের হৃদয় । কথিত আছে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের হৃদয় [ ব্রহ্ম পদার্থ ] রয়েছে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে। বিশ্বাস করা হয়, এই জগন্নাথ মন্দিরে ভগবান জগন্নাথের মূর্তির ভিতরে এখনও শ্রীকৃষ্ণের হৃদয় স্পন্দিত হয়।  ১২ বছর পর পর ভগবান জগন্নাথ, বলভদ্র এবং তাদের বোন সুভদ্রার মূর্তি পরিবর্তন করা হয়। যখনই এই প্রতিমাগুলি প্রতিস্থাপন করা হয়, তখনই পুরো শহরের বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় মন্দিরের চারপাশে সম্পূর্ণ অন্ধকার হয়ে যায়। মন্দিরের নিরাপত্তা সিআরপিএফ-এর হাতে তুলে দেওয়া হয় । এই সময় মন্দিরে কারও প্রবেশ করা চলে না। এই মূর্তিগুলি প্রতিস্থাপন করার জন্য শুধুমাত্র একজন পুরোহিতকে মন্দিরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। মূর্তি পরিবর্তন করার সময়, পুরোহিতের হাতে গ্লাভস থাকে এবং চোখ বেঁধে রাখা হয় যাতে তিনিও মূর্তিগুলি দেখতে বা সরাসরি অনুভব  করতে না পারেন।এই অন্ধকারেই প্রথা মেনে ভগবান জগন্নাথের পুরনো মূর্তি থেকে নতুন মূর্তিতে ব্রহ্ম পদার্থ পরিবর্তন করা হয়। মূর্তি পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল এই পুরানো মূর্তি থেকে ব্রহ্ম পদার্থকে নতুনটিতে স্থান

আত্মা ও মৃত্যু। মৃত্যুর পরে কি হয় ও আত্মার শান্তির জন্য কি করতে হয় ? আত্মার সাথে কি ভাবে যোগাযোগ করবেন ? পুনর্জন্মের বৃত্তান্ত -আত্মা ও গর্ভাধান ,পূর্বজন্মের কথা /বৃত্তান্ত কি ভাবে জানবেন ?

ছবি
                                          আত্মা কি ? পরমাত্মা কি ?  আত্মা বলতে সাধারণ অর্থে এমন এক সত্ত্বাকে বোঝানো হয়, যা অদৃশ্য এবং মানুষের শরীর ভিতরে  স্বাধীনভাবে বসবাস করে ,   ভগবত  গীতা"(2.20: Verse 20.)  অনুসারে न जायते म्रियते वा कदाचि- न्नायं भूत्वा भविता वा न भूयः । अजो नित्यः शाश्वतोऽयं पुराणो- न हन्यते हन्यमाने शरीरे ॥ ন জায়তে ম্রিয়তে বা কদাচি- নায়ং ভুত্বা ভবিতা বা ন ভূয়ঃ । অজো নিত্যঃ শাশ্বতোঃয়েং পুরাণো - ন হন্যতে হন্যমানে শরীরে।। এর বাংলা অর্থঃ- ''এই আত্মা কখনও জন্মান না বা মরেন না,অথবা একবার জন্মগ্রহন করে আবার জন্মাবেন না,-এমনও নয়  ।  এই আত্মা  জন্মহীন, নিত্য, সনাতন এবং পুরাতন , শরীরের মৃত্যু হলেও আত্মার মৃত্যু হয় না''।   পরমাত্মা   ।   পরমাত্মা  বা পরমাত্মান্ (সংস্কৃত: परमात्मन्)  শব্দটি র  দ্বারা কোন সীমাহীন জীবন, সীমাহীন চেতনা, সীমাহীন মহাকাশে সীমাহীন সত্তাকে  বোঝা য় ।  পরমাত্মা র অর্থ সমস্ত আত্মার আত্মা বা সর্বোচ্চ  আত্মা   । পরমাত্মা শব্দটি সকলের সৃষ্টিকর্তাকে নির্দেশ করে । মৃত্যু কি? মৃত্যু কাকে বলে । মৃত্যু হলো জীবনের একটি স্বাভাবিক এবং অবশ্