বেদ এবং বিষ্ণু পুরাণ অনুযায়ী সৃস্টির রচনা।
হে প্রভু ,হে শ্রী হরি, হে নারায়ণ ,আপনিই অনন্ত ,আপনিই এই সৃষ্টির স্রষ্টা এবং আপনি ই আদি এবং আপনিই অন্ত। এই লেখাটিতে আপনার কথা বর্ণনা করিলাম,ভুল ত্রুটি মার্জনা করিবেন। আপনার শ্রী চরণে অনন্ত কোটি বার প্রণাম। 🙏
শ্রী মহা বিষ্ণুর ষোড়শ (১৬) নাম স্তোত্রম।
শ্রীহরি নারায়ণ।
সনাতন ধর্মের সবচেয়ে প্রাচীন গ্রন্থ বেদে হরি মানে -পরম পুরুষ । ঋগ্বেদের পুরুষ সূক্তে (পরম মহাজাগতিক সত্তার প্রশংসা)পুরুষ ( ব্রহ্ম) হলেন পরম ঐশ্বরিক সত্ত্বার প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নাম।
যজুর্বেদের নারায়ণ সূক্ত অনুযায়ী পরম সত্তার দ্বিতীয় ও বিকল্প নাম- নারায়ণ।
বেদ হলো ভগবান নারায়ণের আত্মবচন, সৃষ্টির আদিতে মানব হিতার্থে ভগবান নারায়ণ বেদ জ্ঞান প্রদান করেন।
ঈশ্বর ।
শাস্ত্র বা শব্দকোষ অনুসারে ঈশ্বর শব্দের অর্থ হচ্ছে - নিয়ন্ত্রণ কর্তা অর্থাত্ যিনি নিয়ন্ত্রণ করেন ।
পরমেশ্বর।
আর যিনি ঈশ্বরগণেরও ঈশ্বর তিনি হলেন পরমেশ্বর। তাঁর অপর নাম গুলি হল পরমাত্মা,পরব্রহ্ম,সত্য বিষ্ণু,সত্য নারায়ণ ইত্যাদি। ইনিই হলেন অবিনাশী সত্ত্বা , কেবল ইনিই ত্রিগুণাতীত অর্থাৎ ইনি সত্ত্ব রজঃ তমঃ এই তিন গুণের প্রভাব বা মায়ার বন্ধন থেকে মুক্ত অর্থাৎ পূর্ণব্রহ্ম। সৃষ্টিতত্ত্ব/সৃষ্টিচক্রর বর্ণনা অনুযায়ী সৃষ্টির আদিতে পরম পুরুষকে নিত্য সত্ত্বা হিসেবে দেখা হয়। এই নিত্য সত্ত্বার কোনো সৃষ্টি বা ধ্বংস হয় না। নিত্য সত্ত্বার দ্বারা সৃষ্ট বিশ্বব্রহ্মান্ডের মধ্যে বিদ্যমান সবকিছুর মধ্যে সত্ত্ব , রজঃ ও তমঃ এই তিন টি গুণ বিদ্যমান। এক মাত্র পরম পুরুষ /পরমেশ্বর হলেন ত্রিগুণাতীত অর্থাৎ সত্ত্ব রজঃ তমঃ এই তিন গুণের প্রভাব বা মায়ার বন্ধন থেকে মুক্ত।
সৃষ্টিতত্ত্ব;-
হিন্দু পুরাণে একাধিক উপায়ে সৃষ্টিকে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। ঋগ্বেদের পুরুষসূক্তে (১০.৯০) বলা হয়েছে , এক অলৌকিক পুরুষ ( ভগবান নারায়ন) থেকে বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের সৃষ্টি হয়েছে।(Purusha sukta (पुरुषसूक्तम्) is hymn 10.90 of the Rigveda, dedicated to the Purusha, the "Cosmic Being".It is also found in the Shukla Yajurveda Samhita 30.1-16 and Atharva Veda Samhita 19.6) সৃষ্টি রচনার বিশদ বিবরণ পাওয়া যায় শ্রীমদ্ভাগবত মহাপুরানও বিষ্ণু পুরাণে
,যার সাথে মিল খায় আমাদের পাশাপাশি অন্য ধর্মের সৃষ্টিতত্ত্ব।[ ‘দ্য বুক অব জেনেসিস’আদি পুস্তক হিব্রু বাইবেল (তানাখ) ও খ্রিস্টীয় পুরাতন নিয়মের প্রথম পুস্তক]।
Credit Best animation.com
বিষ্ণু পুরাণ অনুযায়ী সৃষ্টির রচনা:-
1.ভগবানের সৃষ্টি কি ভাবে হলো ?
শ্রীমদ্ ভাগবত অনুসারে, প্রকৃতি (ত্রিগুণাত্মক)অব্যক্ত , জ্ঞানের অতীত তবু ও মনে করা হয় প্রকৃতির ২৪ তত্ত্ব টি বিদ্যমান ।পরব্রহ্মর (নিরাকার) যোগমায়া শক্তিকে পন্ডিতরা প্রকৃতি বলেন । এই প্রকৃতির ২৪ টি তত্ত্বে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে:
পঞ্চ জ্ঞানেন্দ্রিয়:- নাক, জিহ্বা, চোখ, ত্বক, কর্ণ।
পঞ্চ কর্মেন্দ্রিয়:- পা, হাত, উপস্থ, পায়ু, বাক্।
পঞ্চ তন্মাত্র:- গন্ধ, রস, রূপ, স্পর্শ, শব্দ।
পঞ্চ মহাভূত:- পৃথিবী (পদার্থ), জল (পদার্থের অবস্থা), অগ্নি (শক্তি), বায়ু (বল/বায়ু), আকাশ ।
চার অন্তঃকরণ:- মন (অধিষ্ঠাতা/প্রধান নিয়ন্তা - চন্দ্র), বুদ্ধি (অধিষ্ঠাতা/প্রধান নিয়ন্তা - ব্রহ্মা), অহংকার (অধিষ্ঠাতা/প্রধান নিয়ন্তা - রুদ্র), চিত্ত (অধিষ্ঠাতা/প্রধান নিয়ন্তা - ক্ষেত্রজ্ঞ - বাসুদেব/শ্রীকৃষ্ণ)।
কপিল মুনি সাংখ্য দর্শনের মাধ্যমে বলেছেন যে ব্রহ্মাণ্ডটি দুটি শাশ্বত বাস্তবিকতা, অর্থাৎ পুরুষ এবং প্রকৃতি, এর সমন্বয়ে গঠিত। সাংখ্য শাস্ত্র অনুসারে, পুরুষ চেতনার কেন্দ্র এবং প্রকৃতি সমস্ত ভৌতিক অস্তিত্বের উৎস। সাংখ্য শাস্ত্র অনুসারে, পরব্রহ্মের ও প্রকৃতির মিলনে প্রথমে মহতত্ব ও তাঁর পরে অহংকার তত্ব উৎপণ্য হয় ,এই দুই তত্ব (মহতত্ব ও অহংকার তত্ব )এবং ,পঞ্চ তত্ব (পঞ্চমহাভূত) পৃথিবী (পদার্থ), জল (পদার্থের অবস্থা), অগ্নি (শক্তি), বায়ু (বল/বায়ু), আকাশ, পরব্রহ্ম (নিরাকার) এর প্রেরণায় ১০০০ দিব্য বর্ষ এক প্রদীপ্ত গর্ভ যার নাম হিরণ্যগর্ভ,তাঁর মধ্যে অবস্থান করে। এই হিরণ্যগর্ভ থেকে পরব্রহ্ম তাঁর ইচ্ছা অনুসারে ৭ টি তত্বের সমন্বয়ে এক বিরাট রূপ ধারণ করলেন ,এই বিরাট পুরুষ হলেন আদি পূরুষ।
हिरण्यगर्भ: समवर्तताग्रे भूतस्य जात: पतिरेक आसीत्।
स दाधार पृथिवीं द्यामुतेमां कस्मै देवाय हविषा विधेम॥ ऋग्वेद -सूक्त-10-121-1
এর পর আদি পূরুষ ভগবান নারায়ন অহংকার তত্বের দেবতা ,আদি দেব সঙ্কর্ষনের উপর যোগ নিদ্রায় মগ্ন হন, এরপর শ্রী নারায়নের নাভী থেকে একটি পদ্মফুলের কলি সৃষ্টি হয় এবং শ্রী নারায়নের একটি প্রতিরুপ গিয়ে ঐ পদ্মফুলকে প্রস্ফুটিত করেন, ,ঐ প্রস্ফুটিত পদ্মথেকে ব্রহ্মার সৃষ্টি হয় । এরপর শিবের সৃষ্টি হয় । এরপর ব্রহ্মা ও শিব শ্রী নারায়নের স্তুতি করেন ও তাদের পরিচয় জানতে চান , তারা বলেন হে নারায়ণ জন্ম যখন দিয়েছেন পরিচয়ও দিন । তখন শ্রীনারায়ন মধুর হাসি হেসে বলেন আমি বিষ্ণু আমি ও যা আপনারাও তা । আমার প্রতিরূপ আপনারা । হে চতুরানন আপনি ব্রহ্মা আর হে জটাধারী, হে ত্রিনেত্রেশ্বর আপনি শিব । আমরা তিনজন ত্রিদেব । শ্রী নারায়নের এই উত্তরের পর ব্রহ্মা ও শিব তাদের জন্মের উদ্দেশ্য জানতে চাইলেন । তখন শ্রী নারায়ন বললেন হে ব্রহ্মা , হে মহেশ এই সংসারে জন্ম নিলে তাকে কর্মও করতে হয় ।আপনাদেরও কর্ম করতে হবে । হে ব্রহ্মা আপনি সৃষ্টিকর্তা আপনি সৃষ্টি করবেন । আর হে মহেশ আপনি সংহার কর্তা আপনি সংহার করবেন । আর আমি নারায়ন যখন নিরাকার রূপ থেকে সাকার রূপ ধারন করেছি তখন আমাকেও কর্ম করতে হবে । আমি বিষ্ণু রুপে জগতের পালন করব । হে ব্রহ্মা আপনি গিয়ে সৃষ্টি রচনার প্রারম্ভ করুন । এরপর ব্রহ্মা ও শিব প্রস্থান করলেন ।
এরপর শ্রী বিষ্ণু শেষ নাগের শয্যা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে প্রনব মন্ত্র ওম্ এর উচ্চরন করলেন । তখন তার বাম হাত থেকে মা মহালক্ষী আবির্ভূত হলেন । তখন মা মহালক্ষী শ্রী নারায়নকে বললেন হে পরমশেষ্ঠ আপনি নিজেই তো সম্পূর্ন ছিলেন তবে আমায় কেন সৃষ্টি করলেন । তখন শ্রী বিষ্ণু মধুর হাসি হেসে বললেন আমি জানি আমি সম্পূর্ণ আমি সেই প্রদীপের মত পূর্ন যার থেকে অন্য প্রদীপ জালালেও তার পূর্ন আলো পূর্নই থাকে তবু হে প্রিয়া চাঁদ যেমন চাঁদনী ছাড়া , ফুল যেমন সুগন্ধ ছাড়া , সূর্য যেমন তেজ ছাড়া অপূর্ন তেমনি আমিও তোমাকে ছাড়া অপূর্ন । আর আজ থেকে আমি ঘোষনা করছি যে কোন পুরুষ নারীকে ছাড়া সম্পূর্ন হবে না আর এই সম্পূর্নতাই নতুন প্রজন্মকে জন্ম দিবে । আর তোমাকেও একটি বর দিচ্ছি আমার নাম আজ থেকে লক্ষীপতি এবং আমার নারায়ন নামের পূর্বে তোমার নাম যুক্ত হবে । আমার নাম আজ থেকে লক্ষীনারায়ন । তখন মা লক্ষী বললেন তোমায় কোটি কোটি প্রনাম শ্রী হরি এবার আমার কাজ বলে দিন । শ্রী বিষ্ণু বললেন তুমি আমার প্রেরনা । আমি তোমার কাছ থেকে প্রেরনা পেয়েই সৃষ্টি পালন করব । আর তুমি ব্রহ্মার সৃষ্ট প্রানীদের উপর ধনের বর্ষা করবে । এরপর শ্রী নারায়ন ব্রহ্মার কাজে সহায়তার জন্য যোগ নিদ্রায় মগ্ন হলেন এবং যোগের মাধ্যমে ব্রহ্মাকে শক্তি প্রদান করতে থাকলেন ।
ভগবান শ্রী বিষ্ণুর এবং ব্রহ্মার শক্তি একত্রিত হয়েও সৃষ্টি রচনার কাজ অগ্রসর হচ্ছিল না । এটাও শ্রী বিষ্ণুর লীলারই অংশ ছিল । এদিকে সৃষ্টি রচনার কাজ আগাচ্ছে না দেখে ব্রহ্মা বিষ্ণুর শরনাপন্ন হলেন ।তখন বিষ্ণু যোগ নিদ্রা মগ্ন ছিলেন । ব্রহ্মা গিয়ে বিষ্ণুর স্তব করতে লাগলেন । বিষ্ণু স্তবে খুশি হয়ে চোখ খুললেন । ব্রহ্মা বিষ্ণুকে বললেন হে নারায়ণ, কমল নয়ন রক্ষা কর । বিষ্ণু তার সুমধুর হাসি হেসে বললেন শান্ত হোন আদি প্রজাপতি শান্ত হন ।অধীরতা ত্রিদেবের মাঝে শোভা পায় না । ব্রহ্মা বললেন কিভাবে শান্ত হব প্রভু বলুন ।।আমি সৃষ্টি করার জন্য জন্ম নিয়েছি কিন্তু আমার এবং আপনার শক্তি মিলেও তো এই মহান কার্যকে রূপ দিতে পারছে না । এভাবে চলতে থাকলে তো আমার জন্ম বৃথা হয়ে যাবে ।আমাকে এই সংকট থেকে বাঁচান প্রভু । নারায়ন হাসলেন । বললেন আপনি সৃষ্টি কর্তা ,আমি পালন কর্তা কিন্তু আমরা ছাড়াও আর একজন আছেন যার কাছে একটা মহান কাজের দায়িত্ব আছে । তিনি হলেন মহাদেব । আপনি তার কাছে যান । তিনি আপনাকে সহায়তা করবেন,আর তখনি সৃষ্টি রচনার কাজ সার্থক হবে । কারন সৃষ্টির অর্থই জন্ম পালন এবং ধ্বংস । তিনি সংহার কর্তা । তার শক্তিই সৃষ্টি রচনাতে সাহায্য করবে ।শ্রী বিষ্ণুর আদেশে ব্রহ্মা শিবের কাছে গেলেন এবং তাকে শ্রী বিষ্ণুর কথা জানালেন । এরপর ত্রিদেবের একত্রিত শক্তি দিয়ে নক্ষত্র . গ্রহ , উপগ্রহ , জীব ও জড় তৈরী করলেন ।
ব্রহ্ম একাক্ষর মন্ত্র ওঁ
3.পৃথিবীর সৃষ্টি।
এদিকে ভগবান বিষ্ণু যখন যোগ নিদ্রায় মগ্ন থেকে ব্রহ্মাকে শক্তি দিচ্ছিলেন তখন তার কান থেকে মধু ও কৈটভ নামে দুটো অসুর জন্ম নিল । তারা প্রচন্ড শক্তিশালী ছিল । তারা ব্রহ্মাকে আক্রমন করল । ব্রহ্মা তাদের কাছ থেকে পালিয়ে বিষ্ণুর শরনে এলেন এবং বিষ্ণু তাদের হত্যা করলেন এবং এই বিশালদেহী অসুরদের মেদ আকাশে ছড়িয়ে পড়ল । তখন বিষ্ণুর আদেশে ব্রহ্মা এই মেদ বা চর্বি দিয়ে পৃথিবী সৃষ্টি করলেন । এজন্য পৃথিবীর অপর নাম মেদিনী ।
4.মানব জাতির আদি পিতা,মাতা, মনু ও শতরুপার সৃষ্টি।
সমগ্র জড় জগত্ সৃষ্টির পর ব্রহ্মা তার চার হাত থেকে চারজন ছোট ছেলেকে তৈরী করলেন । তাদের নাম সনদ ,সনাতন ,সনন্দন ও সনদকুমার । ব্রহ্মা তাদের সৃষ্টি পরিচালনা ও বংশবিস্তার করতে আদেশ দিলেন । কিন্তু তাদের ইচ্ছার অভাব ছিল তাই তারা এতে অপারগতা প্রকাশ করেন। যার ফলে ব্রহ্মা রূষ্ট হন এবং তাদের ব্রহ্মালোক থেকে তাড়িয়ে দেন । এবার ব্রহ্মা ভাবলেন সৃষ্টি রচনার আগে প্রয়োজন ভাল শিক্ষকের তাই তিনি সপ্তর্ষিকে তৈরী করলেন । এরপর তৈরী করলেন ব্রহ্মার মানসপুত্র দক্ষ এবং নারদকে । তিনি দক্ষকে প্রজাপতি নিযুক্ত করলেন এবং দেবর্ষি নারদকে ভগবত ভক্তি প্রচারের নির্দেশ দিলেন । এবার তৈরী করলেন মনু ও শতরুপাকে । এই মনু ও শতরুপাই মানব জাতির আদি পিতা মাতা ।
সমগ্র জড় জগত্ সৃষ্টির পর ব্রহ্মা তার চার হাত থেকে চারজন ছোট ছেলেকে তৈরী করলেন । তাদের নাম সনদ ,সনাতন ,সনন্দন ও সনদকুমার । ব্রহ্মা তাদের সৃষ্টি পরিচালনা ও বংশবিস্তার করতে আদেশ দিলেন । কিন্তু তাদের ইচ্ছার অভাব ছিল তাই তারা এতে অপারগতা প্রকাশ করেন। যার ফলে ব্রহ্মা রূষ্ট হন এবং তাদের ব্রহ্মালোক থেকে তাড়িয়ে দেন । এবার ব্রহ্মা ভাবলেন সৃষ্টি রচনার আগে প্রয়োজন ভাল শিক্ষকের তাই তিনি সপ্তর্ষিকে তৈরী করলেন । এরপর তৈরী করলেন ব্রহ্মার মানসপুত্র দক্ষ এবং নারদকে । তিনি দক্ষকে প্রজাপতি নিযুক্ত করলেন এবং দেবর্ষি নারদকে ভগবত ভক্তি প্রচারের নির্দেশ দিলেন । এবার তৈরী করলেন মনু ও শতরুপাকে । এই মনু ও শতরুপাই মানব জাতির আদি পিতা মাতা ।
দেখুন বিষ্ণু পুরাণ অনুযায়ী সৃস্টির রচনা।
পরম ঈশ্বর সবাই এর মঙ্গল করুন ।সবাই ভালো থাকুন ,সুস্থ থাকুন। সমগ্র মানব জাতি ও জীব জন্তুর কল্যাণ হোক। শান্তির জয় হোক,সত্যের জয় হোক,মানবতার জয় হোক ,সনাতন ধর্মের জয় হোক। 🙏হে প্রভু আমাকে শুধু জ্ঞান দাও ,ভক্তি দাও আর শক্তি দাও🙏
বিষ্ণু সহস্র নাম স্তোত্রম